রবিবার, ১ এপ্রিল, ২০১২

লাফিয়ে বাড়ছে ডিমের দাম


লাফিয়ে বাড়ছে ডিমের দাম। এক বছরের ব্যবধানে মুরগির ডিমের দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। গত বছরের মার্চ মাসে প্রতি হালি ডিমের দাম ছিল ২২ থেকে সর্বোচ্চ ২৪ টাকা। আর ঠিক এক বছরের মাথায় এসে সেই একই ডিম কিনতে হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায়। প্রতি হালিতে বেড়েছে ১১ থেকে ১৩ টাকা পর্যন্ত। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি’র  দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দাম বাড়ার এই হার ৫৫.৫৬ শতাংশ। ব্যবসায়ীরা জানান, দেশীয় ডিমের দাম বেশি। কিন্তু ভারত ও মিয়ানমারে ডিমের দাম কম। তাই ব্যবসায়ীরা ওই দেশগুলো থেকে ডিম আমদানি করছেন। তবে আমদানি হলেও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ডিমের দাম চড়া। ব্যবসায়ীরা জানান, বার্ড ফ্লুতে মুরগি মারা যাওয়া, সরকারিভাবে নিধন করায় ডিমের উৎপাদন আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে। একই সঙ্গে ওই রোগে আক্রান্ত ডিম নষ্ট করে দেয়ায় এ সংকট আরও বাড়িয়েছে। বর্তমানে চাহিদার চেয়ে উৎপাদন অনেক কম। ব্যবসায়ীরা জানান, উৎপাদন প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। তবে ভারতীয় ডিমের কারণে বাজারে সরবরাহে খুব একটা প্রভাব পড়েনি। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বার্ড ফ্লু আতঙ্ক কাজে লাগিয়ে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তেজগাঁওয়ের ডিমের আড়তের ফায়সাল ট্রেডার্সের মালিক আবুল কাশেম বলেন, বাজারে ডিম যে খুব একটা নেই তা নয়। কিন্তু ফার্ম ও পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে স্বাভাবিকভাবেই। এক মাস আগেও এই ডিম বিক্রি হয়েছে ২৮ টাকা থেকে ৩০ টাকা হালি। ব্যবসায়ীরা জানান, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের ডিমের চাহিদা মেটায় সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, রাজশাহী, কুমিল্লা, গাজীপুর, কক্সবাজারসহ কয়েকটি জেলায় থাকা পোল্ট্রি খামার। রাজধানীর প্রায় সব মার্কেটে গাজীপুর, সভার, ও কুমিল্লা থেকে ডিম আসে। বার্ড ফ্লু ধরা পড়ার পর ঢাকার আশপাশ ছাড়া অন্যান্য জায়গা থেকে ডিম খুব একটা আনা হচ্ছে না। আনতে গেলেই রাস্তায় পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ