রবিবার, ১ এপ্রিল, ২০১২

খালেদার অনুষ্ঠান হঠাৎ বন্ধ, বিএনপির বিক্ষোভ



একটি মোবাইল মেসেজের মাধ্যমেই রূপসী বাংলা হোটেল কর্তৃপক্ষ হঠাৎ বাতিল করে দিয়েছে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার অনুষ্ঠানের বুকিং। একটি গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশে এ বুকিং বাতিল করা হয় বলে জানানো হয়। ফলে সার্বিক প্রস্তুতির পরও সাংবাদিক শফিক রেহমানের লেখা ও সম্পাদিত ৫টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করতে পারেননি তিনি।
বইগুলোর বিষয়বস্তু ছিল- বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও অবদান। গতকাল বিকালে রূপসী বাংলা হোটেলের উইন্টার গার্ডেনে অনুষ্টানটি হওয়ার কথা ছিল। একই ভাবে গত সপ্তাহে হোটেল সোনারগাঁও কর্তৃপক্ষও প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের দোহাই দিয়ে অনুষ্ঠানটির বুকিং বাতিল করে। এদিকে শেষ মুহূর্তে অনুষ্ঠানের বুকিং বাতিলের ঘটনায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে অনুষ্ঠানের আয়োজক জি-৯। পরে বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি।

জেনেশুনে বুকিংয়ের পরও হঠাৎ বাতিল: জি-৯
সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠানের আয়োজক জি-৯ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা দুই সপ্তাহ আগে হোটেল সোনারগাঁও-এ অনুষ্ঠান করার জন্য বুকিং দিয়েছিলাম। বুকিং নেয়ার পর আমরা এক হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানাই। তাদেরকে কার্ডও দেয়া হয়েছে। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে হোটেল কর্তৃপক্ষ বুকিং বাতিল করে দেয়। কারণ হিসেবে তারা জানায়, প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান রয়েছে তাই বুকিং বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে। এ অবস্থায় আমরা রূপসী বাংলা হোটেল বুকিং দেই। রূপসী বাংলা কর্তৃপক্ষকে জানাই অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সব কিছু শুনে তারা আমাদেরকে হোটেল বুকিং দেয়। এরপর নতুন করে এক হাজারের বেশি কার্ড ছাপিয়ে আমরা আমন্ত্রিত অতিথিদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নতুন ভেন্যুতে তাদের দাওয়াত দেই। সব আয়োজন চূড়ান্ত হলে সোমবার রাতে ভেন্যু দেখতে যাই। এ সময় রূপসী বাংলার ক্যাটারিং সেলস এক্সিকিউটিভ মোশাররফ হোসেন আমাদেরকে ফোন করেন। ফোনে তিনি বলেন, সম্ভবত আপনাদের অনুষ্ঠান বাতিল করতে হচ্ছে। আমাদের বলা হয়েছে- আপনাদের বইগুলো সকাল দশটার মধ্যে একটি গোয়েন্দা সংস্থায় জমা দিতে হবে। তারা দেখবেন বইগুলোতে কি লেখা আছে। মোশাররফ হোসেন মোবাইলে আমাদেরকে একটি মেসেজও পাঠান। ওই মেসেজটিতে লেখা ছিল- ডিয়ার স্যার, আই হ্যাড শেয়ারড উইথ ইউ ফিউ মিনিটস আরলিয়ার ওভার সেল ফোন দ্যাট উই ক্যাননট অরগানাইজ ইওর ইভেন্ট টুমরো। আই হ্যাভ বিন ইনস্ট্রাকটেড টু কনভে দিস মেসেজ টু ইউ ফ্রম অথরিটি অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্ট অব বাংলাদেশ. সরি ফর দি ইনকনভেনিয়েন্স। তিনি জানান, বইগুলোর নাম হচ্ছে- ডেমোক্রেটিক লিডার খালেদা জিয়া (ইংরেজি), সংগ্রামী নেত্রী খালেদা জিয়া, স্টেটসম্যান জিয়াউর রহমান (ইংরেজি), রাষ্ট্রনায়ক জিয়া ও চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড লুণ্ঠন। জি-৯ থেকে জানানো হয়, পাঁচটি বইয়ের মধ্যে ‘চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড লুণ্ঠন’ প্রখ্যাত সাংবাদিক শফিক রেহমান লিখেছেন আর বাকি চারটি বই তারই সম্পাদিত।
মহাজোট সরকারের ভবিষ্যৎ
জিরো: শফিক রেহমান
বইগুলোর লেখক ও সম্পাদক শফিক রেহমান সংবাদ সম্মেলনে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, অবৈধ সরকারের চাকরি করবেন না। সেনাবাহিনী থেকে আপনারা চাকরি ছেড়ে দেন। স্বাধীনতার মাসে বাকস্বাধীনতা থাকবে না, মতামত প্রকাশ করা যাবে না, বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা যাবে না- এটা হতে পারে না। শফিক রেহমান সরকারের উদ্দেশে বলেন, লন্ডন থেকে এক চৌধুরী আপনাদের পক্ষে লেখেন। কলকাতার দীপাঞ্জন রায় চৌধুরী লেখেন। দুই চৌধুরী লেখেন। অনেক লেখক লেখেন। সাহিত্যিক-সাংবাদিকরাও লেখেন। শুধু আমার লেখা বন্ধ করবেন কেন? তিনি বলেন, আপনারা আমাকে কি করবেন? গুলি করবেন? প্রকাশ্যে গুলি করতে পারবেন না। আপনারা অন্ধকার রুমে নিয়ে টর্চার করতে পারবেন। শফিক রেহমান বলেন, এই সরকারের ভবিষ্যৎ জিরো, জিরো, জিরো...জিরো। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চলাফেরায়ও সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে। ’৭২-’৭৫ সালে সরকার যে ধরনের কর্মকাণ্ড করেছিল, বর্তমান সরকারও একইভাবে সেই আচরণ করছে। তিনি বলেন, এরশাদ ছয় বছর যায়যায়দিন বন্ধ রেখেছিল। তার করুণ পরিণতি হয়েছে। বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে বাধা দিয়ে এই সরকার আমার সাংবিধানিক অধিকার হরণ করেছে। তাই এদের পরিণতিও করুণ হবে।  উল্লেখ্য, শফিক রেহমান বিএনপি’র গবেষণা প্রতিষ্ঠান জি-৯’র প্রতিষ্ঠাতা।
দেশ কে চালাচ্ছে দেশবাসী
জানতে চায়: ফখরুল
জি-৯-এর সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন করে বলেন, দেশ কে চালাচ্ছে তা বোঝা যাচ্ছে না। মনে হয়, এখন কোন রাজনৈতিক দল দেশ চালাচ্ছে না। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গোয়েন্দা সংস্থার ওপর ভর করেছে এই সরকার। মহাজোটের শরিকরাই প্রশ্ন তুলেছেন, সরকারের উপদেষ্টারা বাংলাদেশের নাকি ভারতের? বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার অনুষ্ঠান বাতিল করা হলো কার নির্দেশে? কে মেসেজ পাঠালো? কে বা কারা এবং কেন পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিলো? কে দেশ চালাচ্ছে? এসব প্রশ্নের উত্তর দেশবাসী জানতে চায়। তিনি বলেন, স্মৃতিসৌধে যেতে বাধা দেয়া ও অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া একই সূত্রে গাঁথা। খালেদা জিয়া সাভারে যাওয়ার পর সরকার সেখানে ইচ্ছাকৃতভাবে একটি যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি করেছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মির্জা আলমগীর বলেন, স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক পথগুলো বন্ধ করবেন না। এর ফল কখনও ভাল হয় না। আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন যারা জনগণের নির্বাচিত সরকার দাবি করে তারা কোন ধরনের কাজ করছে। আমরা এ কোন দেশে বাস করছি। মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, সরকারের এই ধরনের কর্মকাণ্ডে মনে হয় তারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে বিশ্বাস করে না। জনগণের বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তারা অতীতে সব সংবাদপত্র ও রাজনৈতিক দল বাতিল করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। এখন ভিন্ন মুখোশে একই কাজ করছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রূপসী বাংলা হোটেলের পক্ষ থেকে একটি মেসেজে জানানো হয়েছে গোয়েন্দা বাহিনীর নির্দেশে বুকিং বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু এই গোয়েন্দা বাহিনী কারা ডিজিএফআই নাকি এনএসআই তা আমরা জানতে চাই। তাদেরকে এই ধরনের এখতিয়ার কে দিয়েছে? আমার গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকার, আমার লেখার অধিকার বন্ধ করবে কেন? ২৬শে মার্চ স্মৃতিসৌধে যাওয়ার সময় বাধা ও এ অনুষ্ঠান বাতিল করার মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার চলাফেরায় সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা আলমগীর বলেন, এতে সন্দেহের কিছু নেই। এটা তো এখন চক্ষুমান হয়ে গেছে। তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। সংবাদ সম্মেলনে জি-৯ সদস্য ব্যারিস্টার সরওয়ার হোসেন ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, মহিলা দল নেত্রী হেলেন জেরিন খান, এডভোকেট আসাদ ও মেজর (অব.) সাইদ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি’র বিক্ষোভ সমাবেশ
এদিকে নয়াপল্টনে বিএনপি’র তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা বলেছেন, জনসমর্থন হারিয়ে সরকার পুলিশ ও গোয়েন্দা নির্ভর হয়ে পড়েছে। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, স্বাধীনতায় বিশ্বাসী কোন রাজনৈতিক শক্তি স্বাধীনতা দিবসে বিরোধী দলের নেতাকে একটি অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেয় এমন নজির নেই। এভাবে অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে তারা নিজেদের দুর্বলতাই প্রমাণ করছে। স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, স্মৃতিসৌধে যাওয়ার পথে বাধা ও বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান বাতিল করে সরকার নিজেদের সত্যিকারের চরিত্র দেশবাসীর সামনে উন্মোচিত করেছে। মঈন খান বলেন, স্বাধীনতার পক্ষের লোকেরা কখনও এ ধরনের কাজ করতে পারে না। ’৭২-’৭৫ সালে যেভাবে মিডিয়ার স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছিল। দিন-দুপুরে মানুষ হত্যা করা হতো। তখন কারও জীবনের নিরাপত্তা ছিল না। সভা-সমাবেশে ছিল অলিখিত নিষেধাজ্ঞা। আওয়ামী লীগ আবার সে ধরনের শাসন চালু করতে চাইছে। তবে কোন গণতান্ত্রিক দেশে তা সম্ভব নয়। সাদেক হোসেন খোকা বলেন, সরকার খুব ভাল করেই বুঝতে পেরেছে তাদের জনসমর্থন একেবারেই নেই। তাই টিকে থাকার জন্য এখন তারা পুলিশ, প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কোন রাজনৈতিক দল বিরোধী দলের নেতা, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রীকে এভাবে বাধা দিতে পারে না। এ বাধা দেয়ার মধ্য দিয়েই সরকার প্রমাণ করেছে- তারাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি। মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় দলের যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, রিজভী আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম. ইলিয়াস আলী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, মহিলা দল সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা ও ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নয়াপল্টন থেকে নাইটিংগেল মোড়-পুরানা পল্টন মোড় হয়ে প্রেস ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় মিছিলের সামনে ও পেছনে পুলিশের সতর্ক উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
বেসামাল সরকারের আচরণ: আমান
এদিকে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন, বিরোধী নেতাকে চলাফেরায় বাধা ও তার অনুষ্ঠান বাতিল করে সরকার বেসামাল আচরণ করছে। সরকার যখন বেসামাল হয়ে যায় তখন মামলা, হামলা, নির্যাতন, বাধা দেয়া শুরু করে। তবে যত চেষ্টাই করুক পতন ঠেকাতে পারবে না। স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে যাওয়ার সময় খালেদা জিয়াকে বাধা ও আওয়ামী লীগের হামলার প্রতিবাদে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। আমান বলেন, স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসা পুলিশ ঘেরাও করে রেখেছিল। বাসা থেকে বের হওয়ার পর গুলশান-১, গুলশান-২, কাকলী, গাবতলী ও আমীনবাজারে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। তারা মনে করেছিল বাধা দিলে খালেদা জিয়া স্মৃতিসৌধে যেতে পারবে না। কিন্তু শত বাধা উপেক্ষা করে তিনি স্মৃতিসৌধে গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। আমান বলেন, হোটেল রূপসী বাংলায় বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের অনুষ্ঠানও বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু এ সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার। তারা যতই চেষ্টা করুক পতন ঠেকাতে পারবে না। সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্ব মানববন্ধনে যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব আবদুস সালাম, বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিমউদ্দিন আলম, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব বক্তব্য দেন। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ