বুধবার, ১৪ মে, ২০১৪

নগরীর দুই কলেজে পুলিশের বিশেষ অভিযান, আটক ৩

নগরীর চট্টগ্রাম কলেজ এবং হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় শিবির সন্দেহে মহসীন কলেজ থেকে ২জন এবং চট্টগ্রাম কলেজ থেকে একজনকে আটক করা হয়। জানা গেছে,জামায়াতের আজকের হরতালে সম্ভাব্য নাশকতা এড়াতেই এ অভিযান। এদিকে সোমবার গভীর রাতে অপর অভিযানে আটক হয়েছেন বাকলিয়া থানা ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল ইসলাম (৩৫)
চকবাজার থানা সূত্রে জানা গেছেচট্টগ্রাম কলেজ থেকে আটক হয়েছেন নূর আহমদ (২০), মহসীন কলেজ থেকে আটক হন বেলাল উদ্দিন (২০ও মোসলেম উদ্দিন সবুজ (২৪)। গত রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত পুলিশ আটককৃতদের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানানঅভিযান চলাকালে দুই কলেজের হলগুলো চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে পুলিশ সদস্যরা। হলের অধিকাংশ কক্ষই ছিল তালাবদ্ধ। পুলিশ সদস্যরা তালা কেটে কক্ষগুলো তল্লাশি করে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিক আহমেদ আজাদীকে বলেনআটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা একেক সময় একেক ধরনের কথাবার্তা বলছে। তবে তারা চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ এবং মহসীন কলেজের ছাত্রণ্ডসে বিষয়ে অনেকটা নিশ্চিত।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণমনজুর মোরশেদ জানান,আগামীকাল (আজবুধবার জামায়াতের ডাকা হরতালে সম্ভাব্য নাশকতা এড়াতে বিশেষ এ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে সিএমপি ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের আট প্লাটুন সদস্য অংশ নেয়। এদিকে বাকলিয়া থানা সূত্রে জানা গেছেসোমবার গভীর রাতে বাকলিয়ার সুরভি আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাকলিয়া থানা ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমহসীন জানানআটক নাজমুল শিবিরের সাথী। তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী কেন্দ্রে হামলাপুলিশের ওপর হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় তিনটি মামলা রয়েছে।

বীরের মত বর!

রুমালে মুখ ঢেকে রাখা লাজুক বর নয়রীতিমত বীর। গুজব শুনে বিয়ের আসরে ছুরিকাঘাত করে বসল শ্বশুরপক্ষকে। ঘটনাটি ঘটেছে সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড অলীনগর গ্রামে। এতে কনের চাচাসহ ২জন আহত হয়েছেন।
কনের পিতা রফিক জানানতার মেয়ে মর্জিনা আক্তারের (১৮সাথে নগরীর কর্নেলহাট এলাকার আমিন মিয়ার পুত্র রুবেলের বিয়ের দিন ধার্য হয় গত সোমবার। ঘটনার দিন বর থেকে মালা দেওয়ার সম্মানী বাবদ দুই হাজার টাকা চাইলে তা নিয়ে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বর রুবেল স্টেজ থেকে নেমে কনের চাচা নুর ইসলাম ও আত্মীয় সাইফুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে। স্থানীয় মেম্বার সামাজিকভাবে বিষয়টি সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন এএসআই মোমিনকে।
বর রুবেল বলেনআমার বাবাকে কনে পক্ষের লোকজন মারধর করছে শুনে আমি বিয়ের আসর থেকে নেমে ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সাথে আমার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা আমাদেরকে মারধর করে। ঘটনার পর স্থানীয়দের কেউ কেউ তাকে বীরের মত বর বলেও আখ্যায়িত করতে দেখা গেছে।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে স্থানীয় চেয়ারম্যান ছেলে পক্ষকে ক্ষতি পূরণ বাবদ ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়।

অপহরণের ৮ দিন পর ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরল যুবক

 রামুর গর্জনীয়া ইউনিয়ের বড়বিল গ্রামের মাষ্টার নুরুর রহমানের পুত্র অপহৃত যুবক মুজিবুর রহমান অবশেষে দীর্ঘ ৮ দিন পর ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে অপহরণকারীদের হাত থেকে ছাড়া পেলো। গত সোমবার গভীর রাতে তাকে ঈদগড়ের বৈদ্য পাড়া নামক স্থানে গহীন বনের পাশে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা । এর পর সে ঘরে ফিরে আসে। সাংবাদিকদের সে জানায়গত ৬ মে রাত ১ টার সময় নিজ বাড়ি থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গহীন রাতে ঘুম থেকে ডেকে তাকে চোখ বেঁধে নিয়ে যায় দূর পাহাড়ে। সেখানে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় রাখা হতো দিনে । রাতে বা মাঝে মধ্যে গহীন বনে নিয়ে যাওয়ার সময় চোখ খুলে দেয়া হতো। সে আরো জানায়৩ দিন ৩ রাত গহীন বনের ভেতর উঁচু-নিঁচু পাহাড় দিয়ে কোন্‌ জায়গায় রাখা হয়েছিল সে কিছুই জানে না এবং তাদের কাউকেও সে চিনতে পারে নি। তবে তাকে অপহরণকারীদের সবার নিকট দেশীয় তৈরী অস্ত্র ছিল। অপহরণকারীদের হাতে আরো বেশ কয়েকজন অপহৃত লোক বন্দি রয়েছে বলে জানান সাংবাদিকদের।এভাবে অপহরণের দিন গুলোর কথা বর্ণনা দিতে গিয়ে অনেক সময় হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন অপহৃত যুবক। তার মতে অপহরণকারীরা সকলেই অপরিচিত এবং সংখ্যায় অনেক বেশি। উল্লেখ্য,গতকাল মঙ্গলবার আজাদীতে ‘গর্জনিয়ায় ৭দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত যুবক’ এ সংক্রান্ত সংবাদ ছাপানো হয়।

বৃহত্তর চট্টগ্রামে আজ জামায়াতের হরতাল ।। পুলিশের ব্যাপক প্রস্তুতি

 বৃহত্তর চট্টগ্রামে আজ বুধবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে নগর জামায়াত। জামায়াতের মহানগর আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য আ ন ম শামসুল ইসলাম ও সেক্রেটারি নজরুল ইসলামসহ ২১ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে গত সোমবার হরতালের ঘোষণা দেন দলটির নায়েবে আমির আহছান উল্লাহ। চট্টগ্রামকক্সবাজারতিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিবান্দরবান ও খাগড়াছড়ি হরতালের আওতায় থাকবে।
হরতালে সম্ভাব্য নাশকতা এড়াতে প্রস্তুত থাকবে বলে জানিয়েছে নগর ও জেলা পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে গতকাল নগরীর হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজ ও চট্টগ্রাম কলেজে অভিযান চালানো হয়। এদিকে নগর আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ২৩টি পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে হরতাল প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে।
মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ আহসান উল্লাহ বলেনশামসুল ইসলামসহ ২১ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আগামীকাল (আজবৃহত্তর চট্টগ্রামে হরতাল পালিত হবে।
নগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সদরমাসুদ উল হাসান জানাননাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হরতালে প্রায় দুই হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে। সেই সাথে নগরীর বিশেষ কিছু পয়েন্টে সার্বক্ষণিক র‌্যাবসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎমিশ জানানজামায়াতের নাশকতা ঠেকাতে ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে জেলা পুলিশের।
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ইতোমধ্যে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
হরতালের সমর্থনে গতকাল নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াত-শিবির। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর শাখার বিক্ষোভ সমাবেশ দিদার মার্কেট চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেনএ সরকার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার না করে নিরাপদে দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে। অন্যদিকে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক পন্থায় চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের দলীয় কার্যালয় থেকে মহানগরী আমিরসহ একুশ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে নাশকতার পরিকল্পনার নাটক সাজাচ্ছেযা রীতিমত হাস্যকর ও কল্পনাপ্রসূত। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত নেতৃবৃন্দকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন। এতে বক্তব্য দেন মহানগরী উত্তরের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আজিজছাত্রনেতা ওমর গনিদিদারুল আলম ও জসিম উদ্দিন।
এদিকে দলীয় নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও হরতালের সমর্থনে নগর জামায়াত থানায় থানায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। কোতোয়ালী থানা জামায়াত লালদীঘি এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। থানা জামায়াত নেতা আজগর আলীর নেতৃত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দিদারুল আলম ও জামাল উদ্দিন।
বাকলিয়া থানা জামায়াতের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট এন আলমআজিজুর রহমান,আরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রহমান। চান্দগাঁও থানার সমাবেশে থানা ভারপ্রাপ্ত আমির কলিম উল্লার নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন নুরুল মোস্তফা হেলালীসাইফুল ইসলাম ও ইউছুফ বিন সিরাজ। এছাড়া ডবলমুরিং থানার সমাবেশে থানা আমির ফারুকে আজমের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন এমএ সবুরআমিনুল ইসলামআব্দুর রহিমমোস্তাক আহম্মদনুরুল হক ও আহম্মদ নুহ।

নগরীতে দুই গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু ।। পরিবারের অভিযোগ হত্যা

 নগরীতে দুই গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে। দক্ষিণ হালিশহর ও গোসাইলডাঙ্গায় গতকাল এ ঘটনা দুটো ঘটে। উভয় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে তাদের হত্যা করা হয়েছে। ইপিজেড থানাস্থ ৩৯নং দক্ষিণ হালিশহরে চান মালুম রোডের আলী মিয়া সারাংয়ের বাড়িতে নিহত হন চার মাসের অন্ত:স্বত্তা গৃহবধূ ইয়াসমিন আক্তার (২২)। গতকাল ভোরে তার নিথর দেহ পাওয়া যায় স্বামীর বাড়ির পাশের একটি পুকুরে। ঘটনার পর থেকে ইয়াসমিনের স্বামী ট্রাক চালক দিদারসহ পরিবারের অন্যান্যরা পালিয়ে গেছেন । ইয়াসমিন আগ্রাবাদ ছোট পুলস্থ কালামিয়ার বাড়ী মৃত শাহ আলমের প্রথম কন্যা।পরিবারের অভিযোগ যৌতুকের বলি হয়েছেন ইয়াছমিন। ইপিজেড থানার ওসি আবুল মুনসুর জানান নিহতের গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। মৃত্যুর ঘটনা রহস্যজনক মনে হচ্ছে। তার স্বামী দিদারুল আলমসহ শশুরবাড়ির কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে মামলা দায়ের করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
স্থানীয় প্রতিবেশি ফয়সাল ঘটনার বিবরণে জানানভোররাতে লোকজনের চিৎকার শোনে ঘুম থেকে উঠে দেখি এক মহিলার লাশ পুকুরে ভাসছে । তবে কেন বা কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলতে পারছি না । নিহতের চাচাত ভাই আবু জানান যেভোর ৬টায় স্বামী দিদারুল আলম মোবাইল ফোনে খবর দেন যে,ইয়াসমিন পানিতে পড়ে মারা গেছেন। খবর পাওয়া মাত্রই তিনি,ইয়াসমিনের ফুফু ফাতেমাএবং ছোট বোন লুৎফা আক্তার ঘটনাস্থলে এসে দেখেন ইপিজেড থানার পুলিশ ভাসমান অবস্থায় পুকুর থেকে লাশ তুলে নিচেছন । তিনি অভিযোগ করেনদীর্ঘদিন যাবত ১লাখ টাকা ,স্বর্ণের আংটিকালার টিভি ও ফ্রিজের জন্য ইয়াছমিনকে নির্যাতন করেছে শ্বশুর পক্ষের লোকেরা ।
ইয়াসমিনের ফুফু ফাতেমা বেগম আজাদীকে বলেনসে ৪ মাসের অন্ত:স্বত্তা ছিল । ২০১৩ সনের ১১ ডিসেন্বর তার বিয়ে হয়েছিল। তিনি বলেনইয়াসমিনকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দিয়েছেন স্বামী দিদার ও পরিবারের সদস্যরা। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি । এ ব্যাপারে নারীশিশুহত্যানির্যাতন এবং যৌতুক আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
অন্যদিকে বন্দর থানাধীন গোসাইল ডাঙ্গা এলাকায় সঞ্চিতা চৌধুরী (২২নামে অপর এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শ্বশুরপক্ষের লোকজন বলছেনসঞ্চিতা আত্মহত্যা করেছে। আর সঞ্চিতার পরিবারের লোকজন বলছেনপরিকল্পিতভাবে সঞ্চিতাকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর গোসাইলডাঙ্গাস্থ সঞ্চিতার স্বামীর ভাড়া বাসায় পুলিশ গিয়ে বাসা তালাবদ্ধ অবস্থায় পায়। ঘটনার পর ভিকটিমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেখে তারা পালিয়েছে বলে জানা গেছে।
সঞ্চিতার সাথে সাতকানিয়ার চরতি এলাকার রিগ্যান চৌধুরীর বিয়ে হয় তিন বছর আগে। তাদের ঘরে চারমাসের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে সঞ্চিতা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে সঞ্চিতার ভাই জানানগতকাল মঙ্গলবার বিকেল পৌনে তিনটার দিকে রিগ্যানের পরিবার থেকে ফোনে জানানো হয় সঞ্চিতা স্ট্রোক করেছেনতাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফোন পেয়ে সঞ্চিতার ভাই ও আত্মীয়-স্বজন দ্রুত মেডিকেলে গিয়ে তার লাশ দেখতে পায়। এসময় ডাক্তাররা জানানভিকটিমকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরে তারা এ নিয়ে বন্দর থানায় গিয়ে একটি জিডি দায়ের করেন। এ রিপোর্ট লেখার সময় ভিকটিমকে চমেক হাসপাতালের মর্গে পোস্ট মর্টেমের জন্য রাখা হয়েছে। কৃষ্ণপদ চৌধুরীর ছেলে রিগ্যান সিএন্ডএফ ব্যবসার সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।

ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারের বাসভবন সরিয়ে নেওয়ার দাবি ।। নজরুল স্কোয়ার ঘিরে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স গড়ার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান ।। সংস্কৃতিকর্মীদের মতবিনিময়

নগরীর সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র ডিসি হিল (নজরুল স্কোয়ারথেকে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের বাসভবন সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সংস্কৃতিকর্মীরা। সেই স্থানে ‘সিটি মিউজিয়াম’ করা এবং বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে অবিলম্বে চট্টগ্রাম থেকে বদলি করারও দাবি জানান তারা। যেকোনো মূল্যে নজরুল স্কোয়ার ঘিরে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স গড়ে তুলতে তারা বদ্ধ পরিকর।
থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে গতকাল মঙ্গলবার সকালে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত সভায় এ দাবি জানানো হয়। সভায় নেতৃবৃন্দ বলেনচট্টগ্রামের যেকোনো উন্নয়নের কথা উঠলেই এ ধরনের বাধা আসে। এর নেপথ্য কারণ কী তা খতিয়ে দেখতে হবে।
এতে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রামের আহ্বায়ক সমাজবিজ্ঞানী ডঅনুপম সেন। নাট্যব্যক্তিত্ব আহমেদ ইকবাল হায়দারের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন শহীদজায়া ও লেখিকা বেগম মুশতারী শফীকবি ও সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্তচবি উপ-উপাচার্য ডইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীমহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনঅধ্যক্ষ শীলা মোমেনডাএ কিউ এম সিরাজুল ইসলামসাংবাদিক নাসিরউদ্দিন চৌধুরীপ্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়াপ্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদারকবি ও সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরীওস্তাদ স্বর্ণময় চক্রবর্তী,আবৃত্তিকার অঞ্চল চৌধুরীমিলি চৌধুরী ও রাশেদ হাসানশিক্ষক নেতা অনুপ সাহাচলচ্চিত্র সংগঠক শৈবাল চৌধূরীসাংস্কৃতিক সংগঠক ফজল হোসেন প্রমুখ।
অনুপম সেন বলেনদীর্ঘ চার দশক ধরে চট্টগ্রামের ডিসি হিল সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রধান তীর্থশালা। ডিসি হিল রাষ্ট্রের সম্পত্তি। এটা কোনো আমলার ভোগ বিলাসের বাংলো হতে পারে না। বর্তমান জেলা প্রশাসক আমাদের সাথে যে ভাষায় কথা বলেছেনতারপর তার সাথে সমঝোতার আর কোনো পথ খোলা নেই। আমরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে আমাদের দাবির কথা বলব। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই জায়গাটি সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে সমন্বিত উদ্যোগে পূর্ণাঙ্গ সাংস্কৃতিক বলয়ে পরিণত করার আমাদের আকাঙক্ষাকে কিছুতেই বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।
শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফী বলেনডিসি হিলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবেণ্ডএটাই শেষ কথা। সংস্কৃতিকর্মীদের সবসময়ই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনেক আঘাত সইতে হয়েছে। এখনো আঘাত আসবে। তার জন্য আমরা পিছিয়ে পড়ব না। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে আমাদের দাবি জানাতে পারি। তবে এরই মধ্যে আমাদের দাবি হলোডিসির বাসভবন এখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে এই স্থান সংস্কৃতিসেবীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে।
কবি ও সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্ত বলেনডিসি হিলে সাংস্কৃতিক কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে অনেক বাধা এসেছে। পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে গিয়ে বাধা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারেনি। তিনি বলেনসংস্কৃতিমন্ত্রী আমাদেরপূর্তমন্ত্রী আমাদের। আমার স্থির বিশ্বাস,আমাদের পক্ষেই তাদের অবস্থান হবে। তবে তাদেরও মনে রাখতে হবেআমলাতন্ত্রকে যতদিন বেঁধে রাখা যাবে নাততদিন জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা পাবে না।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ডইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেনডিসি হিল চট্টগ্রামের জন্য একটি নান্দনিক শিল্পবোধ সম্পন্ন জায়গা হতে পারে। এই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে যা যা দরকার সব করতে হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেনডিসি হিল নিয়ে যে তিক্ততার সৃষ্টি হয়েছে তা না হলেও পারত। একটি সহজ বিষয়কে জটিল করে তোলা হয়েছে। বর্তমানে আমরা একজন প্রকৃত সংস্কৃতিকর্মীকে আমাদের সংস্কৃতিমন্ত্রী হিসেবে পেয়েছি। সুতরাং তাকে নিয়ে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এই বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব।
সাংবাদিক নাসিরউদ্দিন চৌধুরী বলেনআমাদের প্রত্যাশা পূরণে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বর্তমান সরকারকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে চাপ দিতে হবে। আর এই চাপ সৃষ্টির জন্য পুনর্জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। কেননা আন্দোলন সংগ্রাম ছাড়া কোনো গণ-আকাঙক্ষা পূরণ হয়নি। আমলারা একজোট হয়ে ডিসি হিলের আধুনিকায়নে নেওয়া প্রকল্প বাতিলে বাধ্য করেছে। তারা যদি পারেতবে আমরা দল-মত নির্বিশেষ চট্টগ্রামের সকল সংস্কৃতিকর্মী একজোট হয়ে কেন আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করতে পারব নাআমাদের সেই অনমনীয় জেদটা থাকতে হবে। তিনি বলেনবাঙালি সংস্কৃতির ওপর আঘাত এসেছে। সেই আঘাত প্রতিহত করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। চট্টগ্রাম বিপ্লবের সূতিকাগার। অতীতেও আন্দোলন ছাড়া কোনো দাবি আদায় হয়নিএবারও হবে না।
প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেনপ্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণকে ধমক দেওয়ার ধৃষ্ঠতার জন্য ডিসিকে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি বলেনডিসি হিলে সাংস্কৃতিক বলয় হবে কি হবে নাতার জন্য ডিসির কাছে ধর্ণা দেওয়ার দরকার নেই। অতীতেও অনেকে ডিসি হিলের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বন্ধের চেষ্টা করেছে। প্রবেশ পথ বন্ধ করে দিয়েছেরাতারাতি বাসভবনের সামনে নতুন করে গেট নির্মাণ করেছে। কিন্তু সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে পারেনিআগামীতেও পারবে না।
ডামাহফুজুর রহমান বলেনসরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবেডিসিরা কি রাজার ভূমিকায় থাকবে নাকি গণপ্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে থাকবে। তিনি বলেনসংস্কৃতিকর্মীরা প্ল্যানার্স ফর চিটাগাংয়ের প্রকৌশলীদের মাধ্যমে একটি প্ল্যান দিতে পারেন। পাশাপাশি ডিসির যদি কোনো প্ল্যান থাকে সেটিও মেলানো যেতে পারে। দুটি প্ল্যানের সমন্বয় করে চট্টগ্রামের জন্য যেটি ভালো হয় সেটি করা প্রয়োজন।
অধ্যক্ষ শীলা মোমেন বলেনডিসি প্রশাসকতিনি রাজা নন। এই ডিসি হিল চট্টগ্রামের ফুসফুস। জনগণের স্বার্থ তাদের বুঝতে হবে। যদি তা না পারেনতবে তারা অন্যত্র বদলি হয়ে চলে যান। তাদের বাসস্থানকে ‘সিটি মিউজিয়াম’ হিসেবে গড়ে তোলা যায়। চট্টগ্রাম শহরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ঢাকার চেয়েও পুরনো। অথচ তা কোথাও সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। সেটা সিটি মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করা যায়। তিনি বলেনএখান থেকে নার্সারিগুলি ধাপে ধাপে সরিয়ে নিয়ে পুরোটা জুড়ে সাংস্কৃতিক বলয় গড়ে তুলতে হবে। ছোট একটি চিড়িয়াখানাও করা যায়।
ডাএ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম বলেনআমলাতন্ত্রের বেড়াজাল থেকে আমরা এখনো বেরুতে পারিনি। স্বাধীন দেশে সরকারি জায়গা কখনো নিজের হয় নাএটা ডিসিকে বুঝতে হবে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেনএকের পর এক দখল হয়ে যাচ্ছে প্রতিটি সরকারি জায়গা। ডিসি হিলের মতো দেখলামবাটালি হিলের নিচে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে ‘সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষেধ’। কারণ সেখানে ডিআইজির বাংলো আছে। এভাবে তারা একদিন পুরো চট্টগ্রামকে গ্রাস করে নেবে। তিনি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করার প্রস্তাব দেন এবং ডিসি হিলকে নজরুল স্কোয়ার নামে লেখার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
অ্যাডভোকেট চন্দন দাশ বলেনডিসি সাহেবের বোঝা উচিত সরকারের খাস সম্পত্তি মানে রাষ্ট্রের সম্পত্তিজনগণের সম্পত্তি। এটা তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। চট্টগ্রামের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত জনগণ কিছুতেই মেনে নেবে না। প্রয়োজনে সরকারি দল ও বিরোধী দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে এ উদ্যোগে সম্পৃক্ত করা যায়।
আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসান বলেনসম্মানটা হারিয়ে ফেললে আমাদের আর কিছুই থাকে না। আমরা শুধু জানতে চাই ডিসি হিলে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স করতে সরকার আন্তরিক কিনা। সরকারকে তার অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। তবে ডিসি হিল যেহেতু চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণ,সেহেতু অবশ্যই সরকারকে চট্টগ্রামের সংস্কৃতিকর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েই তার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। আমরা বিশ্বাস করিএ সরকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারসংস্কৃতি-বান্ধব সরকার। তাই আমাদের দাবিএখানে অবশ্যই সংস্কৃতি কমপ্লেক্স গড়ে তুলতে হবেআধুনিক মঞ্চ নির্মাণ করতে হবে। ডিসি হিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুণ্ন রেখেই কাজগুলি করতে হবে। এই ডিসি হিলকে পরিচিত করেছি আমরাসংস্কৃতিকর্মীরাই। তাই এর ওপর ডিসি কিংবা বিভাগীয় কমিশনার নয়আমাদের অধিকারই সবচেয়ে বেশি।

অবশেষে চবির অবরোধ স্থগিত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে ছাত্রলীগের একাংশের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। টানা এক সপ্তাহ বিশ্ববিদ্যালয় অচল থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটায় দুই সপ্তাহের জন্য অবরোধ স্থগিত করল আন্দোলনকারীরা।
জানা গেছেবিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবনে (শহরগতকাল বিকাল ৫টায় চবি প্রশাসন ও অবরোধকারীরা সমঝোতা বৈঠকে বসে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা অবরোধ স্থগিত করে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক মোআনোয়ারুল আজিম আরিফ,চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক বেনু কুমার দেইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক সংকর লাল সাহা ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডসেকেন্দার চৌধুরী।
অবরোধকারীদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা নাছির হায়দার বাবুলউত্তর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল আলমচবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোখলিলকেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সদস্য সাহেদ সরোয়ারচবি ছাত্রলীগের সভাপতি মামুনুল হকসহ-সভপতি অমিত কুমার বসু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন মামুন।
উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ বলেনআওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাকে লাঞ্ছিতকারীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কয়েকদিন আগেই প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আন্দোলনকারীদের বাকি দাবিগুলোও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিবেচনার আশ্বাস দেওয়ায় তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
চবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অমিত কুমার বসু বলেনবিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। তাই অবরোধ কর্মসূচি দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে পুনরায় আন্দোলন শুরু হবে। এদিকে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল বিকেলে নগরীর প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রগতিশীল জোট। বক্তারা পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান দাবি করেন। এতে বক্তব্য দেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট শাখার সভাপতি প্রবাল মজুমদারছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি রাশেদুল সামির ও ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি আনোয়ার সাদাত।
অপরদিকে জরুরি সভা ডেকে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দায়ী করে ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রসেনা। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসেনার দপ্তর সম্পাদক সরওয়ার আলম প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রসঙ্গতগত ৫ এপ্রিল চবি ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা নাছির হায়দার বাবুলকে লাঞ্ছিত করে চবি ছাত্রলীগের একটি অংশ। তাদের বহিষ্কারসহ ৭ দফা দাবিতে ৭ মে থেকে ক্যাম্পাসে লাগাতার অবরোধ ঘোষণা করেন চবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অমিত কুমার বসু ও যুগ্ম সম্পাদক সুমন মামুন।

বন্দরে কন্টেনার থেকে কাপড় চুরি তদন্ত কমিটি গঠন

 চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে কন্টেনার ভেঙে প্রায় পঞ্চাশ লাখ টাকার জিন্সের কাপড় চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে গতকাল মঙ্গলবার বন্দর থানায় একটি মামলাও হয়েছে।
ঘটনা তদন্তে বন্দর কর্তৃপক্ষ দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সহকারী টার্মিনাল ম্যানেজারকে প্রধান করে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে ঘটনা তদন্ত করে দুই কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
মামলা থেকে জানা যায়ওনার্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ওডিসি ও জেএসএস লিমিটেড সম্প্রতি চীন থেকে প্রায় এক কোটি টাকা দামের ৫০৫ বেল জিন্সের কাপড় আমদানি করে। চালানটি খালাস করার জন্য গত সোমবার শুল্ক কর্তৃপক্ষ যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে। রাতে আমদানিকারকের প্রতিনিধিসিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট জিন্সের কাপড়গুলো আনতে গেলে দেখা যায়কন্টেনারের তালা ভাঙা। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়কন্টেনারের ভেতরে ৩০০ বেল কাপড় নেই।
বন্দর থানা পুলিশ বন্দরের অভ্যন্তরে কন্টেনার ভেঙে পণ্য চুরির ঘটনায় একটি মামলা রেকর্ডের কথা স্বীকার করেছে।

আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে!

একজন আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাকে চট্টগ্রাম বন্দরে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ওই কর্মকর্তার চাকুরির মেয়াদ আগামী মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। অবসরের পর তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়ার জন্য সম্প্রতি বন্দর কর্তৃপক্ষ নৌ-মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছেচট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলী খায়রুল মোস্তফা বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গঠিত সত্য ও জবাবদিহিতা কমিশনে নিজের দুর্নীতির দায় স্বীকার করে নিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি বন্দরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (মেকানিক্যালপদে কর্মরত রয়েছেন। আগামী জুনে তার অবসরে যাওয়ার কথা। অবসরের দিন থেকে তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
২০০৯ সালের ডিসেম্বরে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে খায়রুল মোস্তফাসহ চারজন কর্মকর্তাকে কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি এবং তাদের কার্যকলাপের ওপর নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়খায়রুল মোস্তফাসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে। তখন তিনি ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত এক কোটি ৩৫ লাখ টাকার সন্ধান পায় দুদক। সেই সময় হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি। পরে ট্রুথ কমিশনে দুর্নীতির দায় স্বীকার করে কমিশনের অনুকম্পা গ্রহণ করেন। কমিশন তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দরের এক কর্মকর্তা চিঠি পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

রাজনীতির কারণে গান থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছেন ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজ

রাজনীতির কারণে গান থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছেন ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজ। প্রতিদিনই সংগীতচর্চা করতে চান তিনি। কিন্তু সাধ থাকলেও তার সাধ্য নেই। বর্তমানে রাজনীতি ও জনসেবা নিয়ে তুমুল ব্যস্ত তিনি। পর পর দুই সেশনে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ও রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েই পুরো দিন পার করতে হয় তাকে। এ কারণে সংগীতচর্চাটা ঠিকমতো করতেই পারছেন না তিনি। কমিয়ে দিতে হয়েছে কনসার্ট-রেকর্ডিং। এ প্রসঙ্গে মমতাজ বলেন, নিয়মিত গান করতে ইচ্ছা করে। কিন্তু পারি না। কারণ, হাতে একদমই সময় নেই। তবে বিশেষ অনুরোধ এলে দু-একটি কনসার্টে অংশগ্রহণ করে থাকি। কিন্তু তাতে মনের পিপাসা মেটে না। রাজনীতিতে এসে সংগীতচর্চায় ভাটা পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নতুন একটি অ্যালবাম করার পরিকল্পনা করে আসছি। কিন্তু কোনভাবেই এর কাজ এগিয়ে নিতে পারছি না। ইদানীং প্রায়ই আমাকে নির্বাচনী এলাকায় যেতে হচ্ছে। সেখানকার উন্নয়নমুখী কাজগুলো দেখভাল করতে হচ্ছে। তবে আমার নির্বাচনী এলাকায় আপাতত বড় কোন সমস্যা নেই। শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন হচ্ছে। জনসাধারণ আমার ওপর খুবই খুশি। আশা করি তাদের ভালবাসা সঙ্গে থাকলে এলাকার সর্বোচ্চ উন্নয়ন করতে সক্ষম হব। তবে কি ক্রমশ গান থেকে সরে যাচ্ছেন ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজ? তাহলে কি রাজনীতির কাছে মার খেয়ে যাচ্ছে কণ্ঠশিল্পী মমতাজ? এমন প্রশ্নের জবাবে মমতাজ বেশ স্পষ্ট করেই এর প্রতিবাদ করেন। তিনি বলেন, সংগীত আমার রক্তে মিশে আছে। সবকিছু ছেড়ে দিতে পারি, কিন্তু গান নয়। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সংগীতাঙ্গনে কম সময় দিচ্ছি এ কথা সত্যি। আবার এটাও সত্যি রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার আগে সবচেয়ে বেশি গান এবং শো আমিই করেছি। এখনও যতটা সম্ভব করার চেষ্টা করছি। আমি আমার শেকড় ভুলতে পারি না। তাই যত কিছুই করি না কেন, সবশেষে আমি মূলত গানেরই মানুষ। তবে আপাতত বছরে একটি করে অ্যালবাম করার পরিকল্পনা রয়েছে। আশা করি সব ব্যস্ততা কাটিয়ে আমার ভক্তদের জন্য এ পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করতে পারবো।

কানে মল্লিকার এত প্রভাব কেন

পর্দা উঠলো ৬৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের। ফ্রান্সের কান শহরের এই জমকালো আয়োজনে গতকাল বসেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের তারকাদের মেলা। গত কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন বলিউড তারকাও এ উৎসব মাতাচ্ছেন।  এ কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দর্শকদের কাছে কান উৎসব আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। তবে গত কয়েক বছর ধরেই যিনি নিয়মিত কানে অংশ নিচ্ছেন তিনি হলেন বলিউডের সেক্সসিম্বল অভিনেত্রী মল্লিকা সারাওয়াত। অন্য অনেক বলিউড তারকা অংশ নিলেও কানে সব সময় মল্লিকার প্রাধান্যটা বেশি লক্ষ্য করা যায়। এমনকি এবার সিআইআই’র (কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি) প্যাভিলিয়নও উদ্বোধন করবেন মল্লিকা। অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠতে পারে, বলিউডের এতো শীর্ষ তারকা থাকতে মল্লিকার এতো প্রভাব কেন কান উৎসবে? কানে মল্লিকার এমন ধারাবাহিক প্রভাবের নেপথ্যোর কারণ হলো, এরই মধ্যে হলিউডে ভারতীয় তারকা হিসেবে নিজের একটি অবস্থান তৈরি করতে পেরেছেন এই অভনেত্রী। তিনি হলিউডের ‘হিস’ এবং ‘পলিটিকস অব লাভ’ ছবিতে কাজ করেছেন। এর আগে চাইনিজ ছবি ‘দ্য মিথ’-এ কাজ করেছিলেন। সামনেও কয়েকটি হলিউড ছবিতে কাজ করার কথা চলছে তার। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি এরই মধ্যে হোয়াইট হাউসেও আমন্ত্রিত হয়েছেন তিনি। এ কারণেই মল্লিকাকে এবার সিআইআই প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন করার দায়িত্ব ও সম্মাননা দেয়া হয়েছে। এদিকে মল্লিকা এবার দেশী পোশাকে হাজির হলেন কান উৎসবে। মনীষ ত্রিপাঠি তার পোশাক ডিজাইন করেছেন। লেহেঙ্গা ও অন্যরকম ডিজাইনের একটি ব্লাউজ পরে এবার কান উৎসবের রেড কার্পেটে হাঁটবেন তিনি। এ বিষয়ে মল্লিকা বলেন, কান উৎসবে যেহেতু আমি ভারতের একজন প্রতিনিধি হিসেবে যাচ্ছি, তাই দেশী পোশাকই বেছে নিয়েছি। আশা করছি এবারও কান উৎসব থেকে ভাল অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরবো।

রাবি ছাত্রলীগের ৪ নেতা দল থেকে বহিষ্কার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে হামলা চালিয়ে পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ মঙ্গলবার রাতেই তাদের বহিষ্কার করেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি রানা চৌধুরী, মেহেদী হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান পলাশ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাকিম বিল্লাহকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলো।


প্রতারিত যাত্রীরা এবার হজে যেতে পারবেন

হজ এজেন্সির প্রতারণার কারণে যেসব হজযাত্রীরা গত বছর হজে যেতে পারেননি তারা এ বছর হজে যেতে পারবেন। সংসদীয় কমিটিকে এ তথ্য জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। গত বছর দেড়শতাধিক যাত্রী এ ধরনের প্রতারণার শিকার হন। মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপের পর ওই যাত্রীরা তাদের টাকাও ফেরত পাওয়া শুরু করেছেন বলে জানানো হয়েছে। গতকাল সংসদ সচিবালয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা, সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, মো. মকবুল হোসেন, মোহাম্মদ আমীর হোসেন ও দিলারা বেগমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে অংশ নেন হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হাব সভাপতি ইব্রাহিম বাহার ও মহাসচিব শেখ আবদুল্লাহ। কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন বলেন, গত বছর ১৫৩ জন হজযাত্রী প্রতারণার কারণে হজে যেতে পারেননি। তারা এবার সরকারি-বেসরকারিভাবে হজে যেতে পারবেন। ওই যাত্রীর অনেকেই টাকা ফেরত পেয়েছেন। বাকিরা পেয়ে যাবেন। তিনি আরও বলেন, লাইসেন্সধারী হজ এজেন্সিগুলোর মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অনিয়ম করতে পারে। ঝামেলা করে মধ্যস্বত্বভোগীরা। তাই এ বছর কোন হজযাত্রী যাতে মধ্যস্বত্বভোগীদের কবলে না পড়ে সে জন্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি সার্বক্ষণিক সজাগ দৃষ্টি রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। গত বছর অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ১৫-২০ এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। এদিকে হজযাত্রী পরিবহনে কোন ফ্লাইট শিডিউল বিপর্যয় হলে ধর্ম মন্ত্রণালয় সে দায় নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন কমিটির সভাপতি। তিনি বলেন, উড়োজাহাজের শিডিউল ঠিক করার দায়িত্ব সিভিল এভিয়েশনের। ধর্ম মন্ত্রণালয় এখানে দায় নেবে না। এ বিষয়ে বিমান মন্ত্রণালয়কে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। চলতি বছর বিমান কোন উড়োজাহাজ লিজ না নিয়ে নতুন আনা উড়োজাহাজ দিয়ে হজযাত্রী পরিবহন করবে বলে তিনি জানান।

চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যা: টিভি, ফ্রিজ না দেয়ায় ঘুমন্ত স্ত্রীকে পুকুরে নিক্ষেপ

৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল ইয়াসমিন। তবুও মন গলেনি পাষণ্ড স্বামী দিদারের। যৌতুকের জন্য লোভ ছিল তার। আর তাই টাকার জন্য রোজ রাতে মারধর করতো স্ত্রীকে। বিয়ের ৩ মাসের মধ্যে সে চেয়ে বসে টিভি, ফ্রিজ, দামি গহনা, ফার্নিচার আর কয়েক লাখ টাকা। প্রতিবাদ করতে গিয়ে শেষমেশ লাশ হতে হলো গৃহবধূ ইয়াসমিনকে। তাকে হত্যার পর লাশ ভাসিয়ে দেয়া হলো বাড়ির পাশের পুকুরে। 
এমনি চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে চট্টগ্রামের হালিশহরে হত্যা করা গৃহবধূ ইয়াসমিনের মৃত্যুর ঘটনায়। মঙ্গলবার ভোরে মেয়েটির লাশ উদ্ধারের পর এই বিষয়ে কথা হয় তার ভাইয়ের সঙ্গে। তিনি বোনের ওপর চালানো নৃশংস নির্যাতনের কাহিনী তুলে ধরেন। 
বেশ ধুমধামের সঙ্গে তাকে বিয়ে দেয়া হয়েছিল ট্রাকচালক দিদারুলের সঙ্গে। শ্বশুরবাড়ি ছিল চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ হালিশহর চাঁদমালুম রোডের নিউমুরিং এলাকায়। প্রায় রাতে সেখানকার আশপাশের লোকজন চিৎকার শুনতো ইয়াসমিনের। যৌতুকের জন্য রাতভর হতো স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ। দিদারুল স্ত্রীকে প্রায় সময় ছোট লোকের মেয়ে বলে গালাগাল করতো। ক’দিন আগেও সে তার স্ত্রীকে বলেছিল ‘দুই লাখ টাকা আর এক ভরি সোনা না দিলে সোজা বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেবো। তোকে বিয়ে করে কিছুই পাইনি।’ বিয়ের এক মাসের মাথায় দিদার ইয়াসমিনকে বলেছিলেন, ‘আমি চাই তুমি তোমার ভাইদের টাকা দেয়ার জন্য বোঝাও। তাদের বলো কিছু নগদ টাকা হাতে পেলে ছোটখাটো ব্যবসা করতে পারবো।’ জবাবে ইয়াসমিন বলেছিল ‘আমার বাবার পরিবারের পক্ষে এই মুহূর্তে দুই লাখ টাকা দেয়া সম্ভব নয়। কারণ বাবা বেঁচে নেই। আমি সবার বড়। তুমি সব জেনেই আমাকে বিয়ে করেছো।’ 
স্বামী দিদারের এসব কথাবার্তা এক পর্যায়ে বাপের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ছোট ভাই সাদ্দাম হোসেনের কাছে বলেছিল ইয়াসমিন। আরও বলেছিল- ‘ভাই আমরা ভুল করেছি। দিদার একজন যৌতুকলোভী খারাপ মানুষ। তার সঙ্গে সংসার কিভাবে করবো জানি না।’
এসব কথা-বার্তার কিছুদিন পরই শুরু হয় নির্যাতন। সে নির্যাতন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, পরিবারের সবাই কষ্ট পাবে শুনে মুখ বুজে থাকতো ইয়াসমিন। 
সাদ্দাম হোসেন বলেন, বিয়ের এক বছরও হয়নি। আমার বোন ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। তার স্বামী দিদারুল টিভি, ফ্রিজের জন্য খোঁটা দিতো। শেষমেশ সহ্য করতে না পেরে তাকে মেরে পুকুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে গেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আমরা থানায় মামলা করেছি। তিনি আরও বলেন, ধারণা করছি ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে পুকুরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়। তার স্বামী পলাতক। তাকে গ্রেপ্তার করলে সব সত্য বেরিয়ে আসবে। আমরা ঘটনার বিচার চাই। আর যাতে কোন মেয়ে যৌতুকের জন্য এইভাবে মারা না যায় তার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
সরজমিনে গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোর ৫টায় স্থানীয়রা পুকুরে তার লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান। এরপর তারা পুলিশকে খবর দিলে পরে লাশ উদ্ধার করা হয়। 
তবে পুলিশ জানিয়েছে, ইয়াসমিনের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়নি। ঘুমন্ত অবস্থায় তার মুখ চেপে ধরে নিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সে আত্মহত্যা করতে পারে কিনা তা-ও তারা খতিয়ে দেখছেন। কিন্তু স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঘটনার পরপরই পলাতক থাকায় তা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। ইয়াসমিনের ছোট ভাই বাদী হয়ে ইপিজেড থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় স্বামী দিদারুল আলম, তার ছোটভাই মো. আজিজ, ছোটবোন মনোয়ারা বেগম ও পাখি বেগমকে আসামি করা হয়েছে। 
ইপিজেড থানার ওসি আবুল মনসুর বলেন, মাত্র ৫ মাসের মাথায় একটি মেয়ে এভাবে মারা যাবে- তা বিশ্বাস করা যায় না। থানায় মামলা হয়েছে। স্বামী পলাতক রয়েছে। তাদের খুঁজে বের করা হচ্ছে।

জীবনে সফল হতে চাইলে যা কিছু জানতেই হবে আপনাকে

জীবনে সাফল্যের জন্য কোন বিষয়টি জানা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ? এর কোনো সহজ উত্তর নেই। তবে ইতিহাস ঘেটে দেখা যায়, কিছু বিষয়ে নজর দেওয়া হলে তা সাফল্যের পথকে উন্মুক্ত করে। এতে বেড়ে যায় জীবনে সাফল্যের সম্ভাবনা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. অধিকাংশ মানুষ আপনার বিষয়ে লক্ষ্য রাখে না
আপনি নতুন একটি গাড়ি কিনেছেন কিংবা অফিসে একটা প্রমোশন পেয়েছেন, আপনি হয়তো ভাবছেন আপনার আশপাশের মানুষ এসব বিষয়ের বিস্তারিত খবর রাখছে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এসব বিষয় আপনার আশপাশের মানুষ খুব একটা খবর রাখে না।
২. সত্যিকার বন্ধুরা আপনার অর্জন কিংবা অবস্থান নিয়ে মনযোগী হবে না
আপনাকে যারা ভালোবাসে, কিংবা আপনার যারা সত্যিকার বন্ধু তাদের সহজেই চিনতে পারবেন কোনো লক্ষ্য অর্জন করার পর। আপনার ভালো কোনো অর্জনে প্রিয়জনরা অবশ্যই খুশি হবে। কিন্তু যারা আপনাকে ভালোবাসে, সে অর্জনের কারণে আপনার প্রতি তাদের আচরণ পাল্টাবে না।
৩. টাকার জন্য জীবন আপনার সুখ আনবে না
আপনার আগ্রহের বিষয়ে মনযোগ দিন, মানিব্যাগের দিকে নয়। বহু মানুষ আছে যারা বহু পরিশ্রম করে অর্থ সঞ্চয় করলেও সে অর্থ কোনো কাজে ব্যয় করতে পারেন না।
৪. ঋণ নেওয়ার কোনো আবশ্যিকতা নেই
আপনি যদি শিক্ষা বিষয়ে ঋণ নিতে চান, সেক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। কিন্তু শুধু জীবনযাপনের জন্য ঋণ নেওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। ঋণের বদলে আপনার বর্তমানে যা আছে, তাই নিয়ে চলাটাই সবচেয়ে ভালো।
৫. তোষামোদ শক্তিশালী বিষয়
কোন ধরনের শব্দ ও ভাষা মানুষকে অনুপ্রাণীত ও খুশী করতে পারে তা লক্ষ্য করুন। এতে অন্য মানুষেরা আপনার কথায় প্রভাবিত হবে। কারো মনোভাব পরিবর্তনে কীভাবে কাজ করতে হবে, সে বিষয়টি লক্ষ্য করতে পারলে আপনার উন্নতি সহজ হবে।
৬. সবার প্রতি আপনার দায়িত্ব রয়েছে, আবার নিজের প্রতিও রয়েছে
মানুষ হিসেবে আপনার দায়িত্ব রয়েছে সবার প্রতি নজর দেওয়ার। আবার নিজের প্রতিও আপনার নজর প্রয়োজন। আপনার নিজের সুখ ও সাফল্যের জন্যও প্রয়োজন এ দায়িত্ববোধ।
জীবনে সাফল্যের জন্য যে ৩০টি বিষয় জানা প্রয়োজন


৭. আশাতীত বিষয়ের জন্য প্রস্তুতি নিন
কোন বিষয়টি কীভাবে কাজ করে, কীভাবে প্রতিষ্ঠান চালানো হয়, সবকিছু জেনে রাখার পরেও অনেক সময় গণ্ডগোল হয়ে যায়। এ কারণে সম্ভাব্য সব বিষয়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হয়।
৮. নিজের বর্ণনা করার সুযোগ দেবেন না অন্যদের
মানুষ একটি সমাজের অংশ হিসেবেই গড়ে ওঠে। ফলে অন্য মানুষকে নিজের সম্পর্কে বলার সুযোগ দিলে তাতে সঠিক বিষয়টি নাও উঠে আসতে পারে।
৯. প্রয়োজনীয়তার বাইরে যেতে হবে
সাফল্যের জন্য আপনাকে অবশ্যই অন্য মানুষদের চেয়ে বেশি দক্ষতা দেখাতে হবে। আর আপনি যখন শীর্ষে চলে যাবেন তখন নিজের সঙ্গেই প্রতিযোগিতা করুন।
১০. সচেতনতার গুরুত্ব সর্বাধিক
অন্যরা আপনাকে যেভাবে দেখে, সেভাবে নিজের দিকে দেখা সবচেয়ে ভালো। এমন দৃষ্টিতে নিজেকে দেখতে পারলে আপনি অন্যদের সহজেই বুঝতে পারবেন্
১১. আপনার প্রত্যেক কাজেই পূর্বধারণা কাজ করে
আপনার প্রত্যেক সিদ্ধান্তের পেছনে কাজ করে পূর্বধারণা। আপনি যদি এ পূর্বধারণাগুলো সম্বন্ধে সঠিকভাবে জানতে পারেন, তাহলে যে কোনো সিদ্ধান্ত বা ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে বাস্তবতার ছোঁয়া পাবেন। এতে সঠিক কাজ করতে সুবিধা হবে।
১২. বর্তমানে গুরুত্ব দেওয়া আপনাকে লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যাবে
আপনি যদি মেনে নেন যে, অতীত পার হয়ে গেছে এবং তাকে পরিবর্তন করা যাবে না। আর ভবিষ্যৎকে আপনি নিজের কাজের মাধ্যমে পরিবর্তন করতে পারবেন, তাহলে তা আপনার লক্ষ্য সাধনে সহায়ক হবে।
১৩. ভিন্নধর্মী মানুষেরা আপনাকে সমৃদ্ধ করবে
প্রিয় মানুষদের আপনার আশপাশে সব সময় রাখলে তা আপনার সৃজনশীলতা কমিয়ে দেবে। আর আপনি যদি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি চান, তাহলে রাখুন ভিন্ন ধরনের মানুষদের। এতে আপনি দ্রুত বহু বিষয় শিখতে পারবেন।
১৪. বেশি বেশি ভ্রমণ করুন
ভ্রমণ শুধু বহু পথই দেখায় না, এর ফলে আপনি জীবনের নতুন নতুন সম্ভাবনাও আবিষ্কার করতে পারবেন। এটি আপনার মস্তিষ্ক থেকে স্বয়ংক্রিয় চালক দূর করবে এবং সতেজ অবস্থায় কাজে ফিরতে সাহায্য করবে।
১৫. নিজের আগ্রহের বিষয় না পাওয়া পর্যন্ত ঝুঁকি নিতেই হবে
আপনার আগ্রহের বিষয়ে কোনো কাজ যতদিন খুঁজে না পাচ্ছেন, খুঁজতে থাকুন। এজন্য ঝুঁকি নেওয়ার বিকল্প নেই।
১৬. নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা অবশ্যপালনীয়
আপনি যদি স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে দুর্বল বা অসুস্থ হন তাহলে ক্যারিয়ারের উন্নতিতে তা বিঘ্ন ঘটাতে পারে। এ কারণে স্বাস্থ্যগত বিষয়গুলোকে উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। অন্যথায় এটি কর্মক্ষমতাও কমিয়ে দিতে পারে।
১৭. আপনার সুনাম রক্ষা করতেই হবে
আপনার সুনাম রক্ষা করা খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। সৎ, বিশ্বাসী ও অন্যের প্রতি দয়ালু থাকা খুবই প্রয়োজনীয়।
১৮. সিদ্ধান্ত গ্রহণে আবেগের ভূমিকা দূর করুন
উদ্বেগ, ভয়, রাগ ইত্যাদি দীর্ঘদিনের অর্জনকে ধূলিস্যাৎ করে দিতে পারে। বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনি যথেষ্ট ঠাণ্ডা মাথায় বিষয়টি ভেবে দেখেছেন, তা নিশ্চিত হয়ে নিন।
১৯. অন্যকে ও নিজেকে ক্ষমা করে দিন
অপরিচিত মানুষ কিংবা প্রিয় মানুষ যে কেউ আপনাকে আঘাত দিতে পারে। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া দেখালেও পরে তা ভুলে যাওয়াই ভালো। ক্ষমা না করলে তা উল্টো আপনার ক্ষতির কারণ হবে।
২০. বড় লক্ষ্যের খোঁজ করুন
আপনি আপনার তুলনায় বড় একটি বিশ্বে বাস করেন। এ কারণে কীভাবে সে লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়, তার সন্ধান করুন।
২১. জীবন ছোট
সময়ের সদ্ব্যবহার করতে হবে। জীবন ছোট একটি সময়। এ সময়ে তাড়াহুড়া করার কোনো বিকল্প নেই।
২২. বহু বিষয় আপনি জানেন না
আপনার সব বিষয়ে জ্ঞান থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ কারণে কোনো কাজে যদি অন্যের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়, তাতে লজ্জার কিছু নেই। প্রয়োজনীয় সব সময় অন্যের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
২৩. নিজের সঙ্গে সৎ থাকুন
আপনি যদি একজন মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠেন তাহলে সব বিষয় সম্বন্ধেই ধারণা থাকতে হবে। আর এজন্য সততার কোনো বিকল্প নেই।
২৪. সুখ একটি পছন্দ
আপনার আচরণ নিজস্ব একটি সিদ্ধান্ত। সুখী ও ইতিবাচক হতে পারলে তা আপনার পক্ষে যে কোনো পরিস্থিতিতেই সাফল্য অর্জন করা সহজ হবে।
২৫. আত্মবিশ্বাস আপনাকে এগিয়ে নেবে
আপনি যদি আত্মবিশ্বাসী হন তাহলে অন্যেরাও আপনাকে বিশ্বাস করবে। আর নিজের প্রতি যদি আপনার বিশ্বাস না থাকে তাহলে অন্যরা বিশ্বাস করতে ভরসা পাবে না। ফলে আপনার এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটি প্রয়োজনীয়।
২৬. প্রত্যেকেই চিন্তিত থাকে
সবাই পতনের ভয়ে ভীত থাকে। এ কারণে তাদের ভয়কে কাজে লাগাতে পারলে আপনার পক্ষে সাফল্য পাওয়া সহজ হতে পারে।
২৭. যে কেউ আঘাত পেতে পারে
মাত্রাভেদে সবাই সংবেদনশীল। এ কারণে সবার প্রতি দয়ালু থাকা উচিত। সামান্য ইশারাও কাউকে খুশী বা অসন্তুষ্ট করতে পারে।
২৮. কোনোকিছুই নিখুঁত নয়
পৃথিবী সিনেমা নয়, বাস্তব। আর বাস্তবে ভালো মানুষেরা সব সময় বিজয়ী হয় না। আপনার যা আছে, তা নিয়েই সুখী হন। এতে আপনি শক্তিশালী ও সুখী হবেন।
২৯. অন্যদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান
হিরোদের থেকে অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করুন। তাদের পরামর্শ গ্রহণ করুন। এতে আপনার কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে।
৩০. সাফল্যের ক্ষেত্রে ভাগ্যের ভূমিকা সবচেয়ে কম
আপনি যদি সফল হতে চান তাহলে ভাগ্যের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না। এজন্য আপনার প্রচেষ্টাই ভাগ্য তৈরি করবে।

পর্ন ছবির পরিচালকের সাথে অন্তরঙ্গ ক্যাটরিনা!

68376ধীরে বলিউডের জমিতে নিজের জায়গা শক্ত করতে যখন ব্যস্ত সুন্দরী ক্যাটরিনা কাইফ। তখনই তাঁকে ঘিরে ধরছে নানা বিতর্ক, নানা গল্প। কখনও রণবীর কাপুরের সঙ্গে ফাঁস হচ্ছে বিকিনি পরা ছবি তো কখনও সালমান বচসা। তবে এবার ক্যাটরিনার সঙ্গে যা ঘটল, তা অবাক করেছে গোটা বলিউডসহ ক্যাটপ্রেমিদের। সকলেই হতবাক ক্যাটের কাণ্ডে। কিন্তু কী এমন করেছেন ক্যাট?
তবে কি ইন্টারনেটের দয়ায় ক্যাটরিনা হয়ে উঠলেন নীল ছবির নায়িকা? অনেকে অবশ্য বলছেন যে, পুরো ব্যাপারটাই বানোয়াট নিউজ, ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া মিথ্যা রটনা। তবে মজার বিষয়টা হচ্ছে, ক্যাটরিনা কিংবা ইসাবেলা কিন্তু এই ব্যাপারে কোনো প্রতিবাদ তোলেননি। অন্যদিকে ক্যারিয়োরের শুরুতে ‘বুম’ নামে একটি অত্যন্ত অশ্লীল ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমেই বলিউডে ক্যাটরিনার অভিষেক ঘটে। সূতরাং ক্যাটরিনার জন্য এটা নতুন কিছু নয় অবশ্যই।
মার্কিনের জনপ্রিয় পর্ন ছবির পরিচালক টেরি স্টিফেনের সঙ্গে সেলফি তুলেই বিতর্কে জড়ালেন ক্যাটরিনা কাইফ। তবে শুধু ক্যাটই নয়, এই বির্তকে জড়িয়েছেন ক্যাটের বোন ইজাবেলে কাইফও। জানুয়ারি মাসে এই পরিচালকের সঙ্গে নাকি ছবি নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন দুই বোন। জানা গেছে, নতুন কোনো নীল ছবির কনট্র্যাক্ট সই করতেও দেখা গেছে তাঁদের।
এই খবর বলিউডে ছড়িয়ে পড়তেই আপাতত নড়ে বসেছেন ক্যাটের পরিচালকেরা। বলিউড জুড়েই প্রশ্ন পর্ন ছবির পরিচালকের সাথে ক্যাটরিনার কী? কেননা এক সাথে তোলা সেলফিটা তো আর মিথ্যা নয়। এখন সময়ই বলে দেবে- প্রকৃত ঘটনা কি। আপাতত ক্যাটরিনা ভক্তরা অপেক্ষায় থাকুন।

রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যার বাসায় মুখোশধারীরা, ছোট বোনকে মারধর !

unnamed অন্যতম আলোচিত ও বিতর্কিত সঙ্গীত শিল্পী আরফিন রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যার মায়ের বাসায় ডাকাতি হয়েছে । এছাড়া ছোট বোন অঙ্কুরকে মারধর করে চোখ বেঁধে ফেলে যায় তারা। আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর বংশালে অনন্যাদের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ প্রতিদিনকে অনন্যার মা বলেন, বিকেলে অনন্যাকে নিয়ে বাইরে বের হয়েছিলাম। ছোট মেয়ে অঙ্কুর ঘুমাচ্ছিল। তাই না ডেকে বাইরে থেকে তালা দিয়ে গিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ আগে বাসায় এসে দেখি ঘরের তালা ভাঙা ও দরজা খোলা। ভেতরে ঢুকে দেখি হাত ও মুখ বাঁধা অবস্থায় অঙ্কুর পড়ে আছে। গায়ে মারধরের চিহ্ন। জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, বাইরের দরজার নড়াচড়ায় তার ঘুম ভাঙে। কিন্তু ঘর থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই-তিন কালো মুখোশধারী তার মুখে কাপড় জড়িয়ে ধরে। বেঁধে ফেলে হাত। এরপর মাথায় আঘাত করে। বাকিটা আর মনে নেই।
মুখোশধারীরা কী কী নিয়ে গেছে জানতে চাইলে অনন্যা বলেন, আমার ল্যাপটপ, কিছু গহনা ও নগদ টাকা নিয়ে গেছে। তবে আরও দেখে প্রকৃত ঘটনা বলতে পারব। দেখতে হবে আর কী কী পাওয়া যাচ্ছে না।
কাউকে সন্দেহ করছেন কিনা এ প্রশ্নের উত্তর অনন্যার মা বলেন, আমাদের তো এখন শত্রুর অভাব নেই। সম্প্রতি আমার মেয়ের ওপরও হামলা হয়েছে। সন্দেহ করলে অনেকের নামই উচ্চারিত হবে। তবে না জেনে কারও দিকে আঙ্গুল তোলা ঠিক হবে না।

পুলিশ আইন দিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়

image_91105_0১৮৬১ সালে তৈরি করা পুলিশ আইন দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের সংবিধান বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বারের অডিটোরিয়ামে ঐক্যবদ্ধ আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ বারের আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাত অপহরণ ও খুনের ঘটনা  সারা দেশের সকল আইনজীবীদের মাঝে জাগরণের সৃষ্টি করছে।’
দেশের সাধারণ জনগণ জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে বেশি উৎকণ্ঠিত বলেও মনে করেন সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র এই আইনজীবী। বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে দেশের জনগণ এক নম্বরে নিরাপত্তা চায় বলেও মন্তব্য করেন ড. কামাল হোসেন।
সমাবেশে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেন, ‘মানবাধিকার চর্চা ও রক্ষার ক্ষেত্রে সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। তাহলে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অবসান ঘটবে এবং দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে।’
ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘র‌্যাবকে মানুষ হত্যার লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। তাই তারা লাইসেন্স টু কিলিং ইন্ডাস্ট্রি করছে। অবিলম্বে এটা বন্ধ করে সংবিধান ও আইনের মাধ্যমে নাগরিকের জন্য সংরক্ষিত সকল অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
সমাবেশের অপর বক্তা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র না থাকলে আইনের শাসন থাকতে পারে না। তাই একটি নির্বাচিত, গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের জন্য আমাদের সকলকে দল মত নির্বিশেষে কাজ করতে হবে। নইলে নারায়ণগঞ্জের মত ঘটনা প্রতিদিন ঘটতে থাকবে।’
সমাবেশে বিশিষ্ট সংবিধান প্রণেতা ও আইনজীবী ড. কামালের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট হাসান আরিফ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খানসহ প্রমুখ আইনজীবী।

গভীর রাতে ছাত্রীর কক্ষে ছাত্রলীগ নেতাদের হানা

unnamedছাত্রলীগের কয়েকজন মাতাল নেতা গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক এক ছাত্রীকে বিতাড়ন করতে তার কক্ষে প্রবেশের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় বাধা দিতে গেলে ঢাবির দুই ছাত্রের ওপর চড়াও হয় ছাত্রলীগের মাতাল নেতারা।
মঙ্গলবার গভীর রাতে ঢাবিস্থ দক্ষিণ নীলক্ষেত আবাসিক এলাকা ভবনের একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ঢাবি আইবিএর ছাত্র আসিফ মোহাম্মদ জানান, তার বান্ধবী ও ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী টুম্পা ওই ভবনের একটি কক্ষে ভাড়া থাকেন। টুম্পার সঙ্গে রুমমেট হিসেবে থাকেন আরেক ছাত্রী নিপা। কিছুদিন ধরে নিপার বন্ধু নাবিল টুম্পাকে কক্ষ ছেড়ে দিতে ক্রমাগত হুমকি দিয়ে আসছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার ২টার দিকে নাবিল ও তার বন্ধু ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ সম্পাদক মামুন, উপ পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ধ্রুব, ঢাবি শাখার সহ সভাপতি মিথুন চন্দ্র দাস, যুগ্ম-সম্পাদক আল আমিন সহ আট-দশজন মাতাল অবস্থায় টুম্পাকে কক্ষ থেকে বের করে দিতে যায়।
খবর পেয়ে আসিফ ও তার দুই বন্ধু ঘটনাস্থলে গেলে তাদের মারধর করা হয়। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের অনুসারী বলে ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সোহাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের সবাই আমার অনুসারী।’

গরমে চোখ ওঠার সমস্যা থেকে বাঁচুন

সাধারনত চোখ ওঠার সমস্যা একেবারেই সাধারনত৷ কিন্তু তথ্য অনুযায়ী গরমকালে এই সমস্যা অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে৷ চিকিৎসকদের মত অনুযায়ী, এই রোগের জীবাণুর উপর এই সময়ে ওষুধের খুব বেশি প্রভাব পড়ে না৷ চিকিসকেরা জানিয়েছে, তাদের কাছে প্রতিদিন এই সমস্যা নিয়ে রোগীরা আসেন৷ 

তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় গরমের প্রভাব দীবাণু অনেক বেশি শক্তিশালি হয়ে যায় ফলে ওষুধ দিয়েও অনেক সময় এদের প্রতিরোধ করা যায়না৷ জানা গেছে, কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যা একেবারেই সামান্য থাকে এবং তা নিজে থেকে ঠিকও হয়ে যায়৷ কিন্তু গুরুতর ক্ষেত্রে এটি ঠিক হতে অন্তত তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লেগে যায়৷ 

এই জীবাণুর প্রভারে চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে যায়৷ একজনের থেকে অন্য জনেও এই জীবাণু সংক্রমিত হতে পারে৷ যদিও অনেক সময়, ধুলো, ধোঁয়া ও ভীষণের ফলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে৷

এই সমস্যায় রোগীর চোখ চুলকানি বা ঝাপসা দেখার মত সমস্যা হতে পারে৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দিন বেশি পরিমাণে জল খাওয়া হল এই রোগ থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভাল উপায়৷ এছাড়াও সবুজ সবজি ও টাটকা ফল খাওয়া ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম ও এই রোগের হাত থেকে বাঁচাতে পারে৷

চোখ ওঠান থেকে বাঁচার কিছু উপায়:

* যার আগে থেকে এই রোগ রয়েছে তার চোখে হাত দেবেন না৷

* দিনে বেশ কয়েকবার ঠান্ডা জল দিয়ে চোখ ধুতে হবে৷ বিশেষ করে সারাাদিন কাজ করার পর বাড়ি ফিরে অবশ্যই এটি করবেন৷

* অন্য কারোর তোয়ালে, রুমাল, বালিশ, বিছানা ইত্যাদি ব্যবহার এড়িয়ে চলুন৷

* দুচাকার গাড়িতে যাতায়াতের সময় অবশ্যই সানগ্লাস ব্যবহার করবেন৷

* সাঁতার কাটার সময় চোখে চশমা পড়ে থাকবেন৷

* এই রোগ ছোঁয়াচে তাই যারা এই রোগের শিকার হয়েছেন তাদের থেকে দুরে থাকুন৷

পৃষ্ঠাসমূহ