মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০১৪

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গোটা পরিবারের অপহরন নাটক মাঝপথেই থামিয়ে দিল পুলিশ

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও শাশুড়িকে দিয়ে অপহরণ নাটক সাজিয়েছিলেন ওয়ারীর শাহীন হাওলাদার (৪৫)। কিন্তু সেই নাটক মাঝপথেই থামিয়ে দিল পুলিশ। উল্টো ফেঁসে গেলেন শাহীন নিজেই।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারিতে পরিবারের ৫ সদস্যকে অপহরণ করা হয়েছে জানিয়ে আদালতে মামলা করেন ২৬ বনগ্রাম ওয়ারী এলাকার শাহীন হাওলাদার। এতে আসামি করা হয়- তপন, আফতার, ইলিয়াস, জাকারিয়া ও রিজুকে। পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় ওয়ারী থানা।
দীর্ঘদিন বিষয়টি তদন্ত করেও কোনো কূল-কিনারা পায়নি পুলিশ। পরে আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডেমরা থানার কোণাপাড়ার বাচ্চু ভাণ্ডারীর বাড়ি থেকে ওই ৫ জনকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃতরা হলেন- শাহীন হাওলাদারের স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা রিমি (৩৬), মেয়ে ফারজানা রাজ রিয়া (১৮), জামিলা সুলতানা ঐশী (১৫), ছেলে মো. হোসেন আল গনি (দেড় বছর), শাশুড়ি আফরোজা খানাম হেনা।
এ মামলার আসামি তপনজানান, শাহীন হাওলাদার তাদের বাড়ির কেয়ারটেকার ছিলেন। পরে তিনি নিজেকে ওই বাড়ির মালিক দাবি করেন। একপর্যায়ে তাকে ৫ লাখ টাকা দেয়া হয়। তারপরও তিনি বাড়ি দখল করতেই অপহরণের নাটক সাজান। এ ঘটনার সঙ্গে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাও জড়িত বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তপন চন্দ্র সাহা  সময়ের কণ্ঠস্বর কে জানান, শাহীন হাওলাদার তার পরিবারের ৫ জনকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ করে যে মামলা করা হয়েছিলে সেই অপহৃতদের উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার বাদীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই শাহীন এ মামলা করেন।
তিনি জানান, গত ১ মে থেকে শাহীনের পরিবার কোণাপাড়ার বাচ্চু ভাণ্ডারীর বাসায় ভাড়া ছিল। এক মাসের জন্য তারা ওই বাসাটি ভাড়া নেয়। মাস শেষ হলেই অন্যত্র চলে যেতো। এভাবেই গত ফেব্রুয়ারি থেকে তারা বাসা বদল করে অপহরণ নাটক করে আসছিল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ