নগরীর চট্টগ্রাম কলেজ এবং হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় শিবির সন্দেহে মহসীন কলেজ থেকে ২জন এবং চট্টগ্রাম কলেজ থেকে একজনকে আটক করা হয়। জানা গেছে,জামায়াতের আজকের হরতালে সম্ভাব্য নাশকতা এড়াতেই এ অভিযান। এদিকে সোমবার গভীর রাতে অপর অভিযানে আটক হয়েছেন বাকলিয়া থানা ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল ইসলাম (৩৫)।
চকবাজার থানা সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম কলেজ থেকে আটক হয়েছেন নূর আহমদ (২০), মহসীন কলেজ থেকে আটক হন বেলাল উদ্দিন (২০) ও মোসলেম উদ্দিন সবুজ (২৪)। গত রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত পুলিশ আটককৃতদের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অভিযান চলাকালে দুই কলেজের হলগুলো চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে পুলিশ সদস্যরা। হলের অধিকাংশ কক্ষই ছিল তালাবদ্ধ। পুলিশ সদস্যরা তালা কেটে কক্ষগুলো তল্লাশি করে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিক আহমেদ আজাদীকে বলেন, আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা একেক সময় একেক ধরনের কথাবার্তা বলছে। তবে তারা চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ এবং মহসীন কলেজের ছাত্রণ্ডসে বিষয়ে অনেকটা নিশ্চিত।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মনজুর মোরশেদ জানান,আগামীকাল (আজ) বুধবার জামায়াতের ডাকা হরতালে সম্ভাব্য নাশকতা এড়াতে বিশেষ এ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে সিএমপি ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের আট প্লাটুন সদস্য অংশ নেয়। এদিকে বাকলিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার গভীর রাতে বাকলিয়ার সুরভি আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাকলিয়া থানা ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহসীন জানান, আটক নাজমুল শিবিরের সাথী। তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী কেন্দ্রে হামলা, পুলিশের ওপর হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় তিনটি মামলা রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন