বুধবার, ১৪ মে, ২০১৪

আত্মসমর্পণ করছেন তিন র‌্যাব কর্মকর্তা

নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলায় সন্দেহভাজন বহুল আলোচিত তিন র‌্যাব কর্মকর্তা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন। এমনই আভাস দিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

তিনি বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর লগ এরিয়ায় নজরদারিতে থাকা তিন র‌্যাব কর্মকর্তার সামনে গ্রেফতার এড়ানোর একটিমাত্র পথ খোলা রয়েছে। সেটি হলো আদালতে আত্মসমর্পণ করা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করার কোনো সুযোগ নেই। নিয়ম অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এলেই তাদের গ্রেফতার করতে হবে।

নারায়ণগঞ্জের আদালতে আজই এই তিন র‌্যাব কর্মকর্তা আত্মসমর্পণ করতে পারেন বলেও সূত্রটি আভাস দেয়। অবশ্য মঙ্গলবার রাতে কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও আভাস দিয়ে বলেছিলেন-তিন র‌্যাব কর্মকর্তা আত্মসমর্পণ করবেন।

সন্দেহভাজন তিন কর্মকর্তা হলেন র‌্যাব-১১-এর তৎকালীন অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ, মেজর আরিফ হোসেন ও নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের প্রধান লে. কমান্ডার এম এম রানা।

গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন। এর তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে সাতজনেরই মরদেহ।

পরে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে র‌্যাব-১১-এর জড়িত থাকার অভিযোগ উঠলে লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ ও মেজর আরিফ হোসেনকে অকালীন এবং লে. কমান্ডার এম এম রানাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়। বর্তমানে তারা সশস্ত্র বাহিনীর লগ এরিয়ায় নজরদারীতে রয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ