বুধবার, ১৪ মে, ২০১৪

ছাত্রীদের সঙ্গে যৌন কেলেঙ্কারির জেরে ওএসডি ডাক্তার

লোভ দেখিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে অবশেষে ডা. রিজওয়ানুল করিম শামীমকে ওএসডি (বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত) করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয়ের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ডা. শামীম মহাখালীর দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ প্রিভিলেন্স অ্যান্ড সোস্যাল মেডিসিন (নিপসম) এর রোগবিস্তার সংক্রান্ত বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।

এর আগে তিনি গত রোববার নিপসম প্রশাসনের কাছে পারিবারিক কারণ দেখিয়ে এক সপ্তাহের ছুটি নেন।

অন্যদিকে ডা. শামীমের বিরুদ্ধে নিজ বিভাগের ছাত্রীদের লোভ দেখিয়ে জিম্মি করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি যদি এ ধরনের প্রমাণ পায় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র বাংলামেইলকে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনস্থ এই প্রতিষ্ঠানে পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানিয়ে গত বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন করে।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, ২০১০ সাল থেকেই ডা শামীম রোগবিস্তার সংক্রান্ত বিদ্যা বিভাগে পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্সে ভর্তি হওয়া ছাত্রীদের নানা সুবিধার লোভ দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। বিগত প্রায় ৪ বছর ধরে নিপসমে ডা. শামীমের এই চরিত্র ওপেন সিক্রেট।

সূত্র জানিয়েছে, ডা. শামীম ছাত্রীদের বলে থাকেন, তার সঙ্গে সময় না কাটালে ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিংবা ভালো নম্বর ও হোস্টেলে সিট দেয়া হবে না। তাছাড়া দেড় বছরের পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্স শেষ করতে পদে পদে হয়রানি হতে হবে। কখনো কখনো তিনি ছাত্রীদের উচ্চ বেতনের চাকরি দেয়ার লোভ দেখিয়েও অবৈধ কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করেন। এসব কারণে বাধ্য হয়ে ছাত্রীরা সম্ভ্রম বিলিয়ে দিচ্ছেন এই শিক্ষকের কাছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রায় ৪ বছর ধরে নিপসমে ডা. শামীম ছাত্রীদের সঙ্গে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকলেও পরিচালক দেখেও না দেখার ভান করে দিন পার করেছেন। বিগত সময়গুলোতে তিনি ডা. শামীমের বিরুদ্ধে ন্যূনতম কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ