শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

মধ্যপ্রাচ্যে বাঙ্গালীদের মৃত্যুদণ্ডঃ অত্যন্ত সমর্থনযোগ্য একটি কাজ

মধ্যপ্রাচ্য থেকে একের পর এক বাঙ্গালীর শিরচ্ছেদ / ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডের আদেশের খবর আসছে, আর এদেশের মানুষ সেই খবরে আঁতকে উঠছে। এত বর্বর দেশে মানুষ যায়! দণ্ডিতদের জীবন বাঁচাতে চলছে আলোচনা। সেই আলোচনার উদ্যোগকে আবার স্যালুট করে ব্লগে পোষ্ট পড়ছে। এই মৃত্যুদণ্ডগুলোকে আমি একবাক্যে সমর্থন করি, এবং ধিক্কার জানাই তাদের যারা খুনিগুলোকে বাঁচানোর জন্য আলোচনার উদ্যোগ নিচ্ছে কিংবা নৈতিক সমর্থন জানাচ্ছে। X(

মধ্যপ্রাচ্যে যে ক'জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশের খবর আসছে, এরা প্রত্যেকে খুনী। এমন একজনও নেই যাকে মিথ্যা খুনের দায়ে দণ্ড দেয়া হয়েছে। এসব দেশে যে কোন অপরাধের বিচার হয় দ্রুত, এবং দণ্ড কার্যকরও করা হয় দ্রুত। আইন যেমন কঠোর, ততোধিক কঠোর তার প্রয়োগ। তাই আমাদের মতো খুন করেও বুক ফুলিয়ে ঘোরার মত বীর পুরুষ সেসব দেশে দেখা যায় না। খুনীর বিচারের জন্য সাধারন মানুষের মানব-বন্ধন করতে হয় না। বরং পুলিশের কাজ পুলিশই অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করে। তাদেরকে কেউ প্রভাভিত করে না। তাই এই দেশগুলোর পত্রিকা খুললে ক্রাইম-রিপোর্ট খুঁজে পাওয়া যায় না, এবং বিশ্বের শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় তাদের স্থান সবচেয়ে উপরের সারিতে।

এসব দেশের মানুষ যেখানে নিজের কাজ এবং ধর্ম-কর্ম নিয়ে ব্যস্ত, তখন বাঙ্গালীরা সে দেশগুলোকে নিজেদের দেশের মত নরক করে তুলতে ব্যস্ত। হেন কুকর্ম নেই যা তারা করে না। বাঙ্গালির নাম শুনলে মানুষ নাক সিঁটকায়। ভালো মানুষেরা নিজেদের বিদেশের মাটিতে বাঙ্গালী হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জ্বা বোধ করে। আজকে যে সারা পৃথিবীতে বাঙ্গালী ভিসা একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে, তা শুধু এদের অপকর্মের সুনামের কারনে। এইসব খুনীদের বাঁচানোর চেষ্টা বাদ দিয়ে বরং আরো ফলাও করে এদের দণ্ড কার্যকর হওয়ার খবর এবং তাদের অপরাধের বিবরন সব মিডিয়ায় প্রকাশ করা উচিত, যাতে করে ভবিষ্যতে যারা সেসব দেশে যাবে তারা তাদের স্বভাবগুলো এদেশেরে কাস্টমস্ পার করে অন্য দেশে না নিয়ে যায়, এবং সুস্থ জীবন যাপন করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ