শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও পর্নোগ্রাফি

মহামান্য রাষ্ট্রপতি আর শিশুদের অশ্লীল নগ্ন নৃত্য (প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ি যা পর্নোগ্রাফি) হতে দুরে রাখুন 
মহামান্য রাষ্ট্রপতি গতকাল সন্ধায় একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে "বিপিএল" এর উদ্বোধন করেন যেখানে পরবর্তিতে ভারতীয় শিল্পীদের অশ্লীল নগ্ন নৃত্য প্রদর্শিত হয় এবং প্রস্তাবিত "পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ বিল-২০১২" অনুযায়ী যা পর্নোগ্রাফির আওতায় পরে বলে আমার মনে হয়,

এখনে দুইটি বিষয় লক্ষনিয়.......

(১)বাংলাদেশের কোন শিল্পী এই অনুষ্ঠানে এভাবে নগ্নতা প্রদর্শন করে নাই
(২)এই অনুষ্ঠানে ছোট্ট কোমল মনের শিশুরাও অংশগ্রহন করেছিল,

সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে বলতে চাই আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি আর শিশুদের এ জাতীয় অশ্লীল নগ্ন নৃত্য (প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ি যা পর্নোগ্রাফি) হতে দুরে রাখুন।

তবে এদেশের জনগন অতি নগন্য সংখ্যায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে যেভাবে আয়োজকদের গালে কষে চড় লাগিয়ে দিয়েছে সেটি অবশ্য প্রশংসার দাবী রাখে।
রোববার জাতীয় সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ‘পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ বিল-২০১২’ উত্থাপন করার পর সেটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। 

বিল অনুযায়ী পর্নোগ্রাফি হলো যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কোনো অশ্লীল সংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি, নগ্ন বা অধনগ্ন নৃত্য যা চলচ্চিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও ভিজুয়াল চিত্র, স্থির চিত্র, গ্রাফিক্স বা অন্য কোনো উপায়ে ধারণকৃত ও প্রদর্শনযোগ্য এবং যার কোনো শৈল্পিক বা শিক্ষাগত মূল্য নেই।” 

এছাড়া ‘যৌন উত্তেজনা’ সৃষ্টিকারী অশ্লীল বই, সাময়িকী, ভাষ্কর্য, কল্পমূর্তি, মূর্তি, কার্টুন বা লিফলেট বা এগুলোর নেগেটিভ বা সফট ভার্সনও পর্নোগ্রাফির আওতাভুক্ত হবে। 

বর্তমানে চলচ্চিত্র, স্যাটেলাইট, ওয়েবসাইট ও মোবাইলের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি মারাত্মক ব্যাধির মতো দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লেও সুনির্দিষ্ট আইন না থাকায় অপরাধ রোধ ও অরপাধীদের বিচার করা সম্ভব হচ্ছে না- এ কারণে এ বিল উত্থাপন করা হয় বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। 

শিশুদের ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফী উৎপাদন ও বিতরণকারীদের জন্য সবচে বেশি শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এদের জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান রয়েছে। 

মন্ত্রিসভা গত ২ জানুয়ারি এ আইন অনুমোদন করে। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আজাদ আবুল কালাম জানিয়েছিলেন, এ আইনের আওতায় বিচার হবে বিশেষ আদালত বা ট্রাইব্যুনালে। 

সাজার বিভিন্ন মেয়াদ 

বিলে বলা হয়েছে, পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত- অপরাধে সহায়তাকারিদেরও শাস্তির আওতায় আনা যাবে। 

পর্নোগ্রাফির অভিযোগ পাওয়া গেলে তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বা তার সম-মর্যাদার কর্মকর্তাকে দিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। তদন্তের প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে আরো ১৫ দিন এবং আদালতের অনুমোদন পাওয়া গেলে আরো ৩০ দিন পর্যন্ত সময় নেওয়া যাবে। 

কোনো ব্যক্তি পর্নোগ্রাফি উৎপাদন বা এ উদ্দেশ্যে অংশগ্রহণকারী সংগ্রহ করে চুক্তিপত্র তৈরি করলে অথবা কোনো নারী, পুরুষ বা শিশুকে প্রলোভন দিয়ে জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে স্থির, ভিডিও বা চলচ্চিত্র ধারণ করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও দু’লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে। 

পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে কারো মর্যাদাহানি বা কাউকে ব্ল্যাকমেইল করা হলে এমনকি এ জাতীয় কিছু সংরক্ষণ বা পরিবহন করা হলেও দুই থেকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং এক থেকে দু’লাখ টাকা জরিমানা করা। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ