বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

সাগর-মেহরুন দম্পতি হত্যা তদন্ত -- আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের বার্থতা

আমেরিকা থেকে এই নির্মম যুগল হত্যাকান্ডের 'তদন্ত' ফলো করছি আর মনে করছি এরকম একটা ঘটনা এখানে ঘটলে তদন্তটা কিরকম হত..
ফরেনসিক সব টেস্ট (Fingerprint , DNA matching ইত্যাদি) সম্পন্ন করার পর প্রকৃত অপরাধীকে এতক্ষণে আদালতে হাজির করা হত -- এ বাপারে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।
ভেবে দেখুন, অপরাধের স্থানে খুনিরা খুনের অস্ত্রসহ কতগুলি অপরাধের প্রমাণ রেখে গেছে? হয়ত Detective শাখা কে তাচ্ছিল্য করেই.., কারণ তারা জানে যে পুলিশের ফরেনসিক তদন্ত করার সামর্থ্য নেই।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশে যেটা হলো - সেটি হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বড় কথা আর প্রধানমন্তির কিছু সস্তা সহানুভূতি দেখানো। এটাও হলফ করে বলা যায় যে বিরোধী দল ক্ষমতায় থাকলে তারাও একই কাজ করত।
আইনজ্ঞ শাহ্দীন মালিক এর কথায় , "পুলিশের কাছে উন্নত প্রযুক্তি থাকলে সাংবাদিক দম্পতি খুনের মতো ঘটনায় আঙুলের ছাপ মিলিয়ে সহজেই আসামি শনাক্ত করা যেত।"
২০১২ সালে বাংলাদেশ পুলিশ এর Detective শাখার এই মৌলিক প্রযুক্তি কেন নাই এর উত্তর কে দেবে?
সাবেক আইজিপি মুহাম্মদ নুরুল হুদা এ প্রসঙ্গে বলেছেন , "বিজ্ঞানসম্মত তদন্ত না হওয়ার অনেক কারণ আছে।" এর একটি কি বিজ্ঞানসম্মত তদন্ত হলে রেম্যান্ড এ নিয়ে ঘুষ খাওয়ার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা?
তাহলে আশ্চর্য হবার কিছু নাই যে বাংলাদেশে ৭৬ শতাংশ মামলায় আসামি খালাস পায়।
দুর্ভাগ্য, এর পরেও আশা করবো যে এই অসমর্থ এবং অযোগ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাই খুনিদের ধরতে সমর্থ হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ