শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১২

তিন মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে মারা গেছেন ৩৫ জন

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে দেশে গত তিন মাসে (জানুয়ারি থেকে মার্চ) ৩৫ ব্যক্তি মারা 


গেছেন। এর মধ্যে র‌্যাবের ‘ক্রসফায়ারে’ ১৯ জন, পুলিশের ‘ক্রসফায়ারে’ চারজন, র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের 


যৌথ ক্রসফায়ারে একজন, পুলিশের নির্যাতনে চার এবং পুলিশের গুলিতে সাতজন মারা গেছেন। 

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ত্রৈমাসিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য 



েওয়া হয়েছে। দেশের ১২টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে আসক এই সংখ্যাগত


 প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সময়ে দেশে ১৫১টি রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৩ জন 


মারা গেছেন। গণপিটুনিতে মারা গেছেন আরও ৩৮ জন। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত তিন মাসে দুজন সাংবাদিক (সাগর-রুনি দম্পতি) খুন হয়েছেন। আরও ৭৪ 



জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। এ ছাড়া সরকারদলীয় কর্মী, সরকারি কর্মকর্তা ও 


সন্ত্রাসীরা ৩৪ জন সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। 


এই সময়ে দেশে অপরাধের নতুন প্রবণতা ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। আসকের প্রতিবেদন 


অনুযায়ী, তিন মাসে নিখোঁজ হয়েছেন ১৩ জন ব্যক্তি। এঁদের মধ্যে দুজনের লাশ পাওয়া গেছে পরে। 


ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগেই 


তাঁদের তুলে নিয়েছিল বা আটক করেছিল। 


এ ছাড়া চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে কারা হেফাজতে মারা গেছেন ৩৪ জন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে 


শিক্ষকের হাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৮৮ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে 


একজন নির্যাতনের পর মারা গেছে ও একজন আত্মহত্যা করেছে। সালিস ও ফতোয়ার মাধ্যমে 


নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ছয়জন নারী। নির্যাতনের পর আত্মহত্যা করেছেন তিনজন। ২০১ জন 


নারী ধর্ষণের শিকার হন। তাদের মধ্যে ২৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। আর এসিড-সন্ত্রাসের শিকার 


হন ১৪ জন নারী, যৌতুকের জন্য হত্যা করা হয়েছে ৭৪ জন নারীকে। আর যৌতুককে কেন্দ্র করে 


নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৪৫ জন নারী।

বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ, ২০১২

ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার দাবিতে তিউনিশিয়ায় ১০ হাজার মানুষের বিক্ষোভ

 

তিউনিশিয়ায় ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার দাবিতে রোববার রাজধানী তিউনিসে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকারীরা তিউনিশিয়াকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে ইসলামী শিক্ষার ভিত্তিতে সংবিধান প্রণয়নের দাবি জানান। বিক্ষোভে অন্তত ১০ হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন বলে বিভিন্ন বার্তা সংস্থা খবর দিয়েছে।

তিউনিশিয়ায় ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে প্রবল গণঅত্যুত্থানে সাবেক সেক্যুলার স্বৈরশাসক জয়নুল আবেদিন বেন আলির পতন ঘটে। বেন আলির প্রায় তিন দশকের শাসনামলে তিউনিশিয়ার ইসলামপ্রিয় জনগণ স্বাধীনভাবে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে পারতেন না। কাজেই ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তার সেক্যুলার শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে গণআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

আজকের বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা ‘জনগণ ইসলামী রাষ্ট্র চায়’, ‘জনগণ শরীয়াভিত্তিক আইন চায়’ বলে স্লেম্লাগান দেন। বিক্ষোভকারীরা তিউনিশিয়ায় সামপ্রতিক পবিত্র কোরআন অবমাননারও তীব্র নিন্দা জানান। গত সপ্তাহে তিউনিশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেন গুয়েরদানের একটি মসজিদে কয়েকটি কোরআনের কপি ছেঁড়া অবস্থায় পাওয়া যায়। এছাড়া মসজিদটির দেয়ালে দুর্বৃত্তদের নিক্ষিপ্ত ডিম দেখতে পাওয়া যায়।

রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি ১৭ শতাংশ


চলতি (২০১১-১২) অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই- ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫৩ হাজার ৭৪৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা বেশি। রাজস্ব আদায়ে গড় প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৪৫ হাজার ৭৯৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রাজস্ব আদায়ে যথারীতি সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে আয়কর বিভাগ। আয়কর আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ সময়ের আদায়কৃত আয়করের পরিমাণ ১৪ হাজার ৫০ কোটি ১৭ লাখ টাকা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ হাজার ৯৩৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বেশি। সে সময় আয়কর আদায় হয়েছিল ১০ হাজার ৮০৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধি অর্জনে আয়করের পরেই রয়েছে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট। মূসকের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের আবগারী শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক ও টার্নওভার ট্যাক্স। প্রথম আট মাসে ভ্যাট আদায় হয়েছে ২০ হাজার ৪৯৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ভ্যাট আদায় বেড়েছে ৩ হাজার ১৬৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। সে সময় ভ্যাট আদায়ের পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ৩৬৮ কোটি ৯ লাখ টাকা। রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির দিক বিবেচনায় আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ের শুল্ক খাতের অবস্থান তৃতীয়। এর মধ্যে রয়েছে আমদানি শুল্ক, রপ্তানি শুল্ক, আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক। এ খাতে অর্থবছরের প্রথম আট মাসে আমদানি ও রফতানি পর্যায়ের শুল্ক আদায় হয়েছে ১৯ হাজার ১৯৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এ খাতে প্রবৃদ্ধি মোট ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শুল্ক আদায় বেড়েছে ১ হাজার ৮৫২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। অর্থ বছর ২০১০-১১ প্রথম আট মাসে শুল্ক আদায় হয়েছিল ১৭ হাজার ৩১৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য কর ও শুল্ক আদায় এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে। আয়কর, মূসক ও শুল্ক বহির্ভুত অন্যান্য খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে মাত্র ২৯৯ কোটি টাকা। আর প্রবৃদ্ধি মাত্র সাড়ে ৫ শতাংশেরও কম। এ বিষয়ে এনবিআর এক কর্তমর্তা জানান, রাজস্ব আদায়ের তিনটি গুরুত্ব পূর্ণ খাতেই রস্ব আদায় সন্তোসজনক রয়েছে। তবে ভ্যাট আদায়ে আরো মনোযোগী হতে হবে। অন্য খাতের তুলনায় ভ্যাট আদায়ে গুরুত্ব দিলে এ থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় সম্ভব। কিন্তু এখন এখাতে তেমন গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। গুরুত্ব সহকারে কার্যক্রম হাতে দিলে মোট রাজস্ব আদায়ের সিংহ ভাগ ভ্যাট থেকে আয় করা যায়। অর্থ বছরের শেষের দিকে রাজস্ব আদায়ে আরো গতি আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেষের দিকে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বছরের প্রথম দিকের তুলনায় অনেকে বেড়ে যায়। তাই রাজস্ব আদায়ের বর্তমান হার অনেক বড়বে। বর্তমান আদায়ের হার হিসেবে বিচার করলে আট মাসে অর্ধেক আদায় হয়েছে বলে মনে হলেও বছর শেষে আদায়ের লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে বলে বিশ্বাক করেন তিনি। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯১ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা। আর গত অর্থবছরে (২০১০-১১) রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৭৯ হাজার ৬৬ কোটি টাকা।

উধাও হয়ে যেতে পারে ডেসটিনি


void(1);

আপনাদের কাছ নতুন কোন নিউজ থাকলে দয়া করে যানাবেন .. 
বেপক মজা পাইতাছিরে ভাই ........।

Student Important News in Website as like Scholarship, Fellowship, Admission Circular


All Educational Academy list, Business Idea, Career Guide, Scholarship, Fellowship, Earn Money Online as like Google Adsense, Fee lancer, And others way Earn Money Line, Foreign Study at Canada, Australia, Japan, New Zealand. All Bangladeshi Counseling Firm list. All Educational Admission Circular start at Undergraduate level. Website Address: http://www.mimdoor.com

প্রধানমন্ত্রীর বাবুর্চীর কন্যাও ছিল, তাই খুলে গেল ১২৫ বালিকার ভাগ্য

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবুর্চীর কন্যা সন্তানকে ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে এনেছে সরকার, যে কি না নারী ও শিশু পাচারকারীদের কবলে পরেছিল। প্রধানমন্ত্রীর বাবুর্চী কন্যাকে ফিরিয়ে আনার মধ্য দিয়ে ভারতের ওই রাজ্যটির অন্যান্য পতিতালয়ে পাচার হয়ে আসা বাংলাদেশী দুর্ভাগা বালিকাদের বাড়ি ফেরার দরজা খুলে গেছে। এ নিয়ে বুধবার প্রতিবেদন করেছে মুম্বাইয়ের শীর্ষস্থানীয় মধ্যদিনের পত্রিকা ‘মিড ডে’।



রাজ্যটির বিভিন্ন পতিতালয়ে গত চার বছর ধরে পাচার হয়ে আসা বাংলাদেশী বালিকাদের মধ্যে ১২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, এদের ৬০ জনের ভাগ্য ফিরেছে- ২৭ জন ইতিমধ্যেই দেশে ফিরেছে, আরো ৩৫ জন শিগগিরই ফিরবে। তাদের এই ভাগ্য বদল এবং বাংলাদেশ সরকারের মানসিকতার বদল; দুটোই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বার্বুচীর কন্যা খুশিকে (ছদ্মনাম) ফিরিয়ে আনার মধ্য দিয়ে। যাদের উদ্ধার করা হয়েছে ও দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে তাদের মধ্যে হাসিও রয়েছে।



অন্য শিশুদের মত হাসিকেও উদ্ধার করেছিল মুম্বাই ভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ‘রেসকিউ ফাউন্ডেশন’। ভারতীয় প্রশাসন গত বছরের নভেম্বরে সংস্থাটিকে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহ অনুযায়ী খুশির প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করতে। রেসকিউ ফাউন্ডেশন ভারতীয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানায়, সে বছরই পাচার হয়ে আসা হাসিকে ফিরিয়ে নিতে হলে একইসঙ্গে তাদের উদ্ধার করা ১২৫ জন বাংলাদেশী নারী ও শিশুকেই দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নিতে হবে বাংলাদেশকে। এ নারী ও শিশুরা চার বছর ধরে বেসরকারি সংস্থাটির আশ্রয় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে দেশে ফেরার জন্য অপেক্ষা করছে।



সে মাসেই একটি মহারাষ্ট্রের মাজগাঁও-এর একটি বিশেষ আদালতও বাংলাদেশ সরকারের আবেদন অনুযায়ী খুশিকে বাংলাদেশে পাঠাতে নির্দেশ দেয় রেসকিউ ফাউন্ডেশনকে, কিন্তু ফাউন্ডেশনের প্রধান জনাব আচার্য সে নির্দেশ প্রত্যাখান করেন। কারণ, আচার্য বুঝেছিলেন চার বছর ধরে চেষ্টা করেও যাদের নিয়ে যেতে বাংলাদেশ সরকারকে তিনি রাজি করাতে পারেননি, সেই হতভাগা ১২৫ জনের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করতে হলে এছাড়া তার সামনে আর উপায় নেই। সরকার ও আদালতের আদেশ পালনে রেসকিউ ফাউন্ডেশনের এ অস্বীকৃতি বিষয়ে ‘মিড ডে’ সে মাসের ২১ তারিখে এ নিয়ে প্রতিবেদন করেছিল। শিরোনাম; শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বাবুর্চী কন্যাকে ফেরত পাঠাবে না বেসরকারি সংস্থাটি (এনজিও ওন্ট সেন্ড ব্যাক অনলি বাংলা পিএম’স কুক’স ডটার)।



পরে ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ রাজি হয় খুশির সঙ্গে আরো ২৬ জন বালিকাকে ফিরিয়ে আনতে এবং প্রতিশ্রুতি দেয় বাকিদেরও ফিরিয়ে আনা হবে। রেসকিউ’র ত্রিবেণী আচার্য ‘মিড ডে’কে বললেন, ‘‘বাংলাদেশ হাইকমিশন-এর ওপর চাপ প্রয়োগের ফল অবশেষে মিললো। প্রত্যেকের পাচার হওয়াকে আলাদা ঘটনা আকারে মেনে নিয়ে সবাইকে ফেরতে নিতে রাজি হয় তারা। তাদের কারোর কাছেই জাতীয়তার কোনো প্রমাণপত্র ছিল না।’’ তার একমাসেরও কম সময়ের মধ্যেই আরো ৩৫ জন বালিকাকে ফেরত আনতে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধপত্র পৌঁছে বেসরকারি সংস্থাটির কাছে। যারা সবাই রেসকিউর আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছিল।



আচার্য বললেন, ‘‘এ সব বালিকারাই আইনত অবৈধ অভিবাসী এবং তাদের জাতীয়তা প্রমাণ করার মত কোনো কাগজপত্রই নেই। এ কারণে বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদের দেশে ফেরার পথ বন্ধ করে রেখেছিল। কিন্তু এখন তারা সবাই বাড়ি ফিরতে পারবে।’’ তিনি জানান, ‘‘যদিও বালিকাদের খুশির সীমা নেই এখন, তারা বাড়ি ফেরার অপেক্ষা করছে কিন্তু এখন তাদের অনেকেই বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি আছে যেগুলো কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হবে। তাছাড়া কয়েকজনের কিছু চিকিৎসার কাজও বাকি আছে। এসব কাজ শেষ হয়ে গেলেই আমরা তাদের ফেরত পাঠাবো।’’



রাজ্যটির নারী ও শিশু কল্যাণ বিভাগের ডেপুটি কমিশনার রবি পাতিল বললেন, ‘‘পাচারকারীদের কবল থেকে উদ্ধারকৃত বালিকাদের দেশে ফিরিয়ে নেবার ব্যাপারে বাংলাদেশ হাইকমিশনের অবস্থানের বদল হয়েছে কিছু দিন ধরে। এ ব্যাপারে আমাদের গঠিত একটি টাস্ক ফোর্সও প্রধান ভূমিকা রেখেছে।’’



প্রত্যাবর্তনের পথে মুশকিল

বাংলাদেশীদের উদ্ধারে জড়িত কর্মকর্তারা ২০০৭ সাল পর্যন্তও এমন বালিকাদের ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসফের (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স) হেফাজতে তুলে দিতেন দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য। এভাবে দেশে ফেরত পাঠানোর পথেও আবার পাচার হবার আশংকা থেকে যাওয়া দুই দেশের বেসরকারি ও সরকারি সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা এ বিষয়ে একটা দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করার কথা ভাবলেন। চুক্তির সব শর্তাদিতে দুপক্ষ রাজি হয়ে যাবার পর তখন দেশে জরুরি অবস্থার সরকার থাকার কারণে আর চুক্তিটি হয়নি।



এবার সেই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী উদ্ধারকৃত ২৭ বালিকার তালিকা রেসকিউ ফাউন্ডেশনের আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইন্টারপোলকে জানায় তাদের প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করতে যাকে বাংলাদেশ হাইকমিশনকে অনুরোধ করা হয়।



নয়া দিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন দেশের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিবরণ পাঠায় এবং বালিকাদের জাতীয়তা যাচাই করে এ বিষয়ে প্রতিবেদন পাঠানোর অনুরোধ করে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হবার পর হাইকমিশন ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে এ বালিকাদের জন্য ভ্রমণ ভিসা পাঠায়- যেন বাংলাদেশের বৈধ নাগরিক হিসেবে এরা ভারত থেকে ভ্রমণ ভিসায় দেশে ফিরতে পারে।



কিন্তু রেসকিউ ফাউন্ডেশন খুশির প্রত্যাবর্তনে হস্তক্ষেপ করার পর এ ১২৫ বালিকার বাইরে অন্যদের ফেরত আনার ব্যাপারে কোনো আগ্রহ দেখায়নি বাংলাদেশ হাইকমিশন; যারা মুম্বাইর নানা জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে। এরা এখনো রেসকিউ’র আশ্রয় কেন্দ্রে অপেক্ষায় রয়েছে।

কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ মতে সাইয়্যিদুল খুলাফা, আস সাফফাহ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি অবশ্য অবশ্যই খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ প্রতিষ্ঠা করবেন ইনশাআল্লাহ

উম্মুল মু’মিনীন হযরত উম্মে সালামা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, শেষ যামানায় একজন খলীফা উনার বিছাল শরীফ-এর (ইন্তিকালের) সময় (নেতৃস্থানীয়) লোকদের মধ্যে আর একজন খলীফা মনোনিত করার ব্যাপারে ইখতিলাফ তথা মতোবিরোধ দেখা দিবে। তখন এক ব্যক্তি (হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম তিনি) নিজেকে গোপন রাখার উদ্দেশ্যে মদীনা শরীফ থেকে মক্কা শরীফ-এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবেন। এই সময় মক্কাবাসীগণ উনার নিকট এসে উনাকে জোরপূর্বক ঘর থেকে বের করে আনবেন। কিন্তু তিনি তা পছন্দ করবেন না। (প্রকৃতপক্ষে ইনি হলেন ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম। তিনি নিজেকে গোপন রাখতে চাইবেন। কিন্তু উনার কর্মকা-ে এবং চেহারার নূরানী জ্যোতির্ময় আলোকে লোকেরা চিনে ফেলবেন যে, ইনিই ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম।) অতঃপর হাজারে আসওয়াদ ও মাক্বামে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-এর মধ্যবর্তী স্থানে লোকেরা উনার কাছে বায়াত গ্রহণ করবেন। এরপর সিরিয়া হতে একটি সৈন্যবাহিনী উনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য প্রেরণ করা হবে। কিন্তু মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ-এর মধ্যবর্তী ‘বাইদা’ নামক স্থানে তাদেরকে ভূগর্ভে পুঁতে ফেলা হবে। অতঃপর যখন চতুর্দিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়বে এবং লোকেরা চাক্ষুষ এই অবস্থা দেখতে পাবে, তখন সিরিয়ার আবদালগণ এবং ইরাকের একটি বিরাট জামাত উনার নিকট আসবেন এবং উনার হাতে বায়াত হবেন। অতঃপর কুরাইশের এক ব্যক্তি যার মামার বংশ হবে ‘বনুকালব’ সেও ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার বিরুদ্ধে একদল সৈন্য পাঠবে। উনার সেনা বাহিনী তাদের উপর বিজয়ী হবে। এটা ‘ফিতনায়ে কালব’। হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম তিনি মানুষের মাঝে তাদের নবী তথা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত মুতাবিক কাজ- কর্ম পরিচালনা করবেন এবং পুনরায় পৃথিবীতে ইসলাম পুরাপুরিভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি সাত বৎসর এই অবস্থায় অবস্থান করবেন এবং মুসলমানগণ উনার জানাযা পড়বেন।
(আবূ দাউদ, আহমদ, আবূ ইয়ালা, তিবরনী, ইবনে আবী শায়বা, ছহীহ ইবনে হিব্বান, আব্দুর রাজজাক, মাজমাউয যাওয়াইদ, আস সুনানুল ওয়ারিদা ফিল ফিতান, আখবারিল মাহদী লিছ সুয়ূত্বী, জামিউল আহাদীছ লিছ সুয়ূত্বী, জামউল জাওয়ামি’ লিছ সুয়ূত্বী, কানযুল উম্মাল, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ, মিশকাত শরীফ- ১০ম খ- ৪১ নং পৃষ্ঠা (বঙ্গানুবাদ), এমদাদিয়া লাইব্রেরী ইত্যাদি)

এই হাদীছ শরীফ-এর মাধ্যমে দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার পূর্বে অবশ্যই অবশ্যই খিলাফত আ’লা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ প্রতিষ্ঠিত হবে। সুতরাং যারা বলে থাকে যে, কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ-এর কোথায়ও নেই যে, ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার পূর্বে খিলাফত কায়িম হবে, তাদের এই কথা ভুল, অশুদ্ধ এবং কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর খিলাফ বলে প্রমাণিত হলো। এখন কথা হলো যে, ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার পূর্বে খিলাফত কায়িম যদি নাই হয়, তাহলে ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার সময় খলীফা আসবেন কোথা থেকে? অথচ উপরোক্ত হাদীছ শরীফ-এ সুস্পষ্টভাবে বলে দেয়া হয়েছে যে, একজন খলীফা উনার বিছাল শরীফ-এর সময় (নেতৃস্থানীয় লোকদের মধ্যে) ইখতিলাফ দেখা দিবে যে, উনার পরে কে খলীফা হবেন। তখন ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম তিনি মদীনা শরীফ থেকে মক্কা শরীফ-এর দিকে রওয়ানা হবেন। 
অর্থাৎ হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম তিনি প্রকাশ হওয়ার পূর্বে মুসলমানরা খুব কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে। ইহুদী, খ্রিস্টান, বিধর্মীরা এবং মুনাফিক্ব ও উলামায়ে ছূ’রা মুসলমানদের বিরুদ্ধে কঠিন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবে। এমতাবস্থায় মুসলমানরা এই কঠিন পরিস্থিতির মুকাবিলা করার জন্য একজন বিশেষ খলীফার প্রয়োজন অনুভব করবে। ওই সময় মুসলমানদের মধ্যে যিনি খলীফা থাকবেন উনার বিছাল শরীফ-এর সময় সভাসদগণ উনাদের মধ্যে ইখতিলাফ দেখা দিবে যে, এই কঠিন পরিস্থিতিতে কাকে খলীফা হিসেবে মনোনীত করা যায়। 
তখন হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত ১২ জন মহান খলীফা উনাদের মধ্যে সর্বশেষ খলীফা হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম তিনি নিজেকে গোপন রাখার জন্য মদীনা শরীফ থেকে মক্কা শরীফ-এ যাবেন। ওই সময় যিনারা ওলীআল্লাহ থাকবেন উনারা হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত বিভিন্ন আলামত দেখে হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনাকে চিনে ফেলবেন এবং উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করবেন। এমতাবস্থায় গায়েবী নিদা হবে যে, “ইনিই মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ খলীফা হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম। আপনারা উনার কথা মতো চলুন এবং উনার ইতায়াত তথা অনুসরণ-অনুকরণ করুন।

যেটা আমরা বলতেছিলাম যে, উপরোক্ত হাদীছ শরীফ থেকে সুস্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে, হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার প্রকাশ হওয়ার পূর্বে পৃথিবীতে খিলাফত কায়িম থাকবে এবং খলীফাও থাকবেন। যদি হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার পূর্বে আর খিলাফত কায়িম না-ই হয়, তাহলে উনার পূর্বে খলীফা আসবেন কোথা থেকে? অথচ তখন যে একজন খলীফা থাকবেন এই বিষয়টি হাদীছ শরীফ-এ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।
এই হাদীছ শরীফ থেকে আরো একটি বিষয় প্রমাণিত হয় যে, হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার সময় মদীনা শরীফ, মক্কা শরীফ এবং ক্বাবা শরীফ এ কোনো সিসিটিভি থাকবে না। তাহলে উনার পূর্বে সেই সিসিটিভিগুলো ধ্বংস করবেন কে? সমস্ত ফিতনা-ফাসাদ মিটিয়ে দিয়ে সারা বিশ্বে খিলাফত আ’লা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ প্রতিষ্ঠা করবেন কে? 
অবশ্য অবশ্যই সেই মহান কাজটি হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত ১২ জন মহান খলীফা উনাদের মধ্যে থেকে অন্যতম একজন বিশেষ খলীফা তিনি করবেন। আর সেই আখাচ্ছুল খাছ বিশেষ খলীফাই হচ্ছেন সর্বকালের, সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আস সাফফাহ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। অতিশীঘ্রই উনার মুবারক উসীলায় দুনিয়ার যমীনে যাহিরীভাবে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ প্রতিষ্ঠিত হবে। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, উনার মুবারক দোয়ার বদৌলতে এক সময় মক্কা শরীফ, মদীনা শরীফ এবং ক্বা’বা শরীফ-এর সমস্ত সিসিটিভিগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। উনি ছবি ছাড়াই মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ-এ হজ্জ করতে যাবেন। সুবহানাল্লাহ!
সুতরাং প্রত্যেকের উচিত উনার মুবারক হাতে আনুগত্যতার বাইয়াত গ্রহণ করা। মহান আল্লাহ পাক তিনি সবাইকে তাওফীক্ব দান করুন। আমীন।

অন্য হাদীছ শরীফ-এ বলা হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, আপনাদের এই কেন্দ্রের নিকট তিনজন ব্যক্তি শহীদ হবেন। উনার প্রত্যেকেই হবেন একজন খলীফা উনার বংশধর। অর্থাৎ উনারাও খলীফা হবেন। তবে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ এবং পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবে যে খাছভাবে ১২ জন মহান খলীফা উনাদের কথা বলা হয়েছে উনারা সেই ১২ জন মহান খলীফা উনাদের অন্তর্ভুক্ত নন; কিন্তু উনারা সৎ ও ইনসাফগার খলীফা হবেন। উনরাও মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কর্তৃক মনোনীত। তবে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত ১২ জন আখাছছুল খাছ তথা বিশেষ খলীফাগণ উনাদের অন্তর্ভুক্ত নন। অতঃপর হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম তিনি প্রকাশ পাবেন।
হাদীছ শরীফখানা হচ্ছে- “হযরত ছাওবান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ ফরমান, (হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার প্রকাশ পাওয়ার পূর্বে) আপনাদের এই কেন্দ্রের নিকট তিনজন ব্যক্তি শহীদ হবেন। উনারা প্রত্যেকেই হবেন একজন খলীফা উনার আওলাদ বা সন্তান। খলীফা তিনি উনাদের একজনের নিকটও পৌঁছাতে পারেবেন না।
প্রাচ্য দেশ থেকে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। তারা তোমাদেরকে এমনভাবে শহীদ করবে, যেমনটি ইতঃপূর্বে কোনো জাতি করেনি। অতঃপর তোমরা যখন উনাকে (হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম) দেখতে পাবে, তখন উনার হাতে বাইয়াত গ্রহণ করবে, যদিও তোমাদেরকে বরফের উপর দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে যেতে হয়। কেননা তিনি হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার খলীফা হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম।”
(বিঃদ্রঃ এখানে এই হাদীছ শরীফ-এর শাব্দিক বা সরাসরি অর্থ দেয়া হলো। পরবর্তীতে ইনশাআল্লাহ আমরা এই হাদীছ শরীফ-এর ব্যাখ্যামূলক আলোচনা করবো)
(বিদায়া-নিহায়া ৬ষ্ঠ খ- ২৪৬ পৃষ্ঠা, দালাইলুন নুবুওওয়াহ লিল বাইহাক্কী ৬ষ্ঠ খ- ৫১৫ পৃষ্ঠা, জামিউল আহাদীছ ৯ম খ- ৩৩৩ পৃষ্ঠা হাদীছ শরীফ নম্বর ২৮৬৫৮, তারিখে দিমাশক্ব আল কাবীর ৩২তম খ- ২৮১ নম্বর পৃষ্ঠা হাদীছ শরীফ নং ৬৬৭৯, খছাইছুল কুবরা লিস সুয়ূতী ২য় খ- ২০২ পৃষ্ঠা, ইযালাতুল খফা ১ম খ- ৬০৭ পৃষ্ঠা, নিহায়া ফিল ফিতান ২৬ নম্বর পৃষ্ঠা, মুছান্নিফে আব্দুর রাজ্জাক, মুস্তাদরাকে হাকিম, ইবনে মাজাহ শরীফ ইত্যাদি)

শিল্পাঞ্চলে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের আদেশে দেশের উৎপাদন সব বন্ধ হয়ে যাবে। রফতানি ধসে পড়বে। সরকারের উচিত ষড়যন্ত্রকারী মহলের হঠকারী এ সিদ্ধান্ত থেকে দ্রুত সরে আসা

সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিভাগের বিভিন্ন দফতর থেকে কলকারখানায় চিঠি দিয়ে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ব্যবহার না করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বোরো উৎপাদনে সেচব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপনও দেয়া হয়েছে।
এতে করে ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছে দেশের উৎপাদনমুখী শিল্প-কারখানা। এরই মধ্যে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কলকারখানায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তার উপর দিনে ৪-৫ ঘণ্টার লোডশেডিং তো আছেই। 
পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, বোরো মৌসুমের দুই মাস এভাবে চলতে থাকলে রফতানিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। তারা দিনের বেলায় ১২ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন। ২৫ মার্চ এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পোশাকশিল্পে গত বছর রফতানি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৪২ শতাংশ এবং অন্যান্য শিল্প খাতেও প্রবৃদ্ধির হার ছিল সন্তোষজনক। কিন্তু চলতি অর্থবছরের (২০১১-১২) ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে রফতানি প্রবৃদ্ধি মাত্র ১৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। এ সময় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ কম রফতানি হয়েছে, অর্থাৎ প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির নেতিবাচক এ হার দেশের অর্থনীতির জন্য আশাপ্রদ নয়।
উল্লেখ্য, কৃষি খাতে সেচ যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি দেশের তৈরি পোশাক খাতটিও সংবেদনশীল। বিশ্বমন্দার প্রভাবে রফতানি কমে গেছে। যেসব অর্ডার হাতে আছে, তা বিদ্যুতের অভাবে সময়মতো সরবরাহ করা যাবে না, কিংবা আকাশপথে পাঠাতে গিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
এদিকে দিনের চেয়ে রাতে বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা বেশি অনুভব করছেন রি-রোলিং ও স্টিল মিল ব্যবসায়ীরা। দিনের তুলনায় রাতে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে বলে এ ধরনের কারখানায় রাতেই বিদ্যুৎ বেশি প্রয়োজন। কারণ গ্যাসের স্বাভাবিক সরবরাহ ছাড়া রি-রোলিং অচল। আবার দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় রি-রোলিংয়ের কাঁচামাল সরবরাহ করতে পারছে না স্টিল মিলগুলো।
এ খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে স্টিল মিল চালু থাকলে রি-রোলিং মিলে ৪ দিন পরপর কাঁচামাল যাবে। ফলে উৎপাদন কমে রডের দাম বেড়ে যাবে। একই সঙ্গে সরকারের রাজস্ব আয়ও কমবে। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীদের ব্যাংকঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। এমনিতেই ব্যাংকের সুদের হার বেশি। তার উপর ব্যবসার এ রকম পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ঋণখেলাপি হওয়া ছাড়া তাদের উপায় থাকবে না।
জানা যায়, এরই মধ্যে রডের উৎপাদন প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। দেশের অন্যতম বৃহৎ রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার টন রড উৎপাদন করত। এ উৎপাদন এখন অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে। এখন রড উৎপাদনের মৌসুম চলছে। এ সময় উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে নন-গ্রেড রডের দাম ২-৩ হাজার এবং গ্রেড রডের দাম ১ হাজার টাকা বেড়ে গেছে। বর্ষার আগ পর্যন্ত চাহিদা বেশি থাকায় রডের দাম আরও বাড়বে।
এদিকে গার্মেন্টেসের জরুরি শিপমেন্টের সময় যদি বিদ্যুৎ বন্ধের অনুরোধ না শুনে উৎপাদন চালু রাখতে চাওয়া হয়, তাও সম্ভব হচ্ছে না। কারখানায় জেনারেটর থাকলেও তা ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে রাখা সম্ভব নয়। আর যাদের ছোট কারখানা, তারা মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
আর বড় ধরনের উৎপাদন কমে যাওয়ায় সঠিকভাবে রফতানির চাহিদা মেটানো যাবে না। ফলে আমাদের রফতানি আদেশ অন্য দেশে চলে যাবে। যা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বড় ধরনের সঙ্কটের মুখে ফেলে দিবে। এ ব্যাপারে সরকারের উচিত অন্তত: যেন রফতানিমুখী শিল্পগুলোকে এ সিদ্ধান্তের বাইরে রাখা হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কারখানাগুলোতে বয়লার একবার বন্ধ হলে তা গরম হতেই সময় লাগে ৬ ঘণ্টা। সুতরাং ১২ ঘণ্টা যদি লোডশেডিং দেয়া হয় তবে তারা চাহিদা অনুযায়ী ফেব্রিক্স তৈরি করতে পারবে না। এমনিতেই গ্যাস-বিদ্যুতের সঙ্কটের কারণে উৎপাদন অনেক কম। যদি ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং দেয়া হয় তবে উৎপাদন আরও ৬০ শতাংশের মতো কমে যাবে। ফলে স্থবির হয়ে পড়বে শিল্পকারখানা। এছাড়া অনেক কারখানায় শ্রমিকরা কাজের উপর মজুরি পায়। সেক্ষেত্রে তাদের মজুরি ব্যাপকভাবে কমে যাবে, যা শ্রমিক অসন্তোষের কারণ হতে পারে।
উল্লেখ্য, দেশের রফতানি সেক্টরে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ১ কোটির অধিক শ্রমিক বা কর্মচারীর কর্মসংস্থানের মাধ্যম প্রায় ৪ কোটি ব্যক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা হয়ে থাকে। এছাড়া এ সেক্টর থেকে গত বছর ২৪ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির মেরুদ-। এখন সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তে যদি শিল্পকারখানা বন্ধ করে দিতে হয়, তবে সারাদেশে ব্যাপকভাবে বেকারত্ব বেড়ে যাবে, দেখা দেবে সামাজিক বিশৃঙ্খলা। তাছাড়া অর্থনীতিতেও চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
রফতানি বাণিজ্যের মূল বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিগত ২০০৯ সালে এসব দেশগুলোতে মন্দা হওয়ার পরও প্রতিকূল অবস্থা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছিল। ফলে বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক পর্যায়ে ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ইউরো জোনের গ্রীস,পর্তুগাল, স্পেন, ইতালিসহ অনেক দেশের ঋণ সংকট এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলোতে পুনরায় মন্দা শুরু হয়েছে। এ মন্দায় দেশের রফতানি বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। রফতানি আদেশ ব্যাপক হারে হ্রাস পয়েছে।
শুধু তাই নয়, যেসব রফতানি আদেশ পাওয়া যাচ্ছে, তার রফতানি মূল্যের হারও হ্রাস পেয়েছে। তাছাড়া গত বছর ৪ দফা বিদ্যুৎ, পেট্রল, অকটেন, ডিজেল, কেরোসিন, ফার্নেস ওয়েলের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছিল। আর গত ডিসেম্বর মাসে (২০১১) বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট ২১.২৮ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছিল, যা রফতানি শিল্পের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তাছাড়া গ্যাস সঙ্কটের কারণসহ উপরের কারণ যোগ হয়ে কারখানার উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা রফতানিকারকদের সক্ষমতা হ্রাস করেছে।
এ অবস্থায় বিশ্ববাজারে রফতানি বাণিজ্যে বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে দিতেই কোনো স্বার্থান্বেষী মহল সরকারকে এ খাতে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে। সরকারও কোনো চিন্তা না করেই তা মেনে নিয়েছে। মূলত সরকারের এ সিদ্ধান্তের পেছনে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল কাজ করছে। সরকারের উচিত এ হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে প্রকৃত অর্থে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করা। দেশ জাতিকে রক্ষা করা।
মূলত সব সমস্যা সমাধানে চাই সদিচ্ছা ও সক্রিয়তা তথা সততা। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন নেক কুওওয়ত। যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সুমহান ছোহবত মুবারক-এ তা প্রাপ্তি সম্ভব। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে সে মহান নিয়ামত নছীব করুন। (আমীন)

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদন--- ডেসটিনি অবৈধ ব্যাংকিং করছে

ডেসটিনি গ্রুপের অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি অবৈধ ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া তারা একদিকে যেমন আমানত সংগ্রহ করছে, অন্যদিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত না হয়েও শেয়ার বিক্রি করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ডেসটিনি গ্রুপের এই প্রতিষ্ঠানের ওপর পরিচালিত বিশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমবায় অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নেওয়া এই প্রতিষ্ঠান জনগণের কাছ থেকে মাসে ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা তুলে নিচ্ছে। ৪০ লাখ প্রতিনিধির মাধ্যমে ব্যাংকের মতো রীতিমতো আমানত সংগ্রহ করছে তারা। অন্যদিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত না হয়েও বিক্রি করছে এর শেয়ার। তথাকথিত শেয়ার বিক্রি করেই প্রতিষ্ঠানটি হাতিয়ে নিয়েছে এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
ব্যাংকিং খাতে বর্তমানে যে তারল্য-সংকট রয়েছে, এর জন্য ডেসটিনির মতো মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটিগুলোর যোগসূত্র থাকতে পারে বলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে আশঙ্কা করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, ব্যাংক বা পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ না করে সরাসরি জনগণের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করায় ব্যাংক ব্যবসা ও মূলধন বাজার ক্রমশ সংকুচিত হয়ে পড়তে পারে।
সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বহুসংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির যোগসূত্র থাকায় অনেক সাধারণ মানুষ এর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই প্রতিবেদন গত রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভের সভাপতি হলেন ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন। এ ছাড়া উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মোহাম্মদ গোফরানুল হক, পরিচালক (অর্থ) মোহাম্মদ সাইদ-উর রহমান, পরিচালক (ক্রয়) মেজবাহ উদ্দীন, মোহাম্মদ হোসাইন প্রমুখ। এ ছাড়া ব্যবস্থাপনা ও উপদেষ্টা পর্ষদে তাঁদের আত্মীয়স্বজন রয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিনব মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) পদ্ধতি অবলম্বন করছে। বিনিময়ে আমানত সংগ্রহকারীদের কমিশন দেওয়া হচ্ছে, যা অবৈধ ও অনৈতিক। প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্ব ভবিষ্যতে হুমকির মুখে পড়তে পারে এবং প্রতারিত হতে পারে জনগণ।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে কোনো ব্যয় না করলেও ২০০৯-১০ অর্থবছরে ১৯৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা এবং ২০১০-১১ অর্থবছরে ব্যয় দেখিয়েছে ৬৫৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। অথচ এর কোনো গবেষণাগার ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র নেই।
অবৈধ ব্যাংকিং: প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদ্যমান ২০০১ সালের সমবায় সমিতি আইনের অজুহাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের মতো আমানত সংগ্রহ করছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১১ সাল পর্যন্ত সংগ্রহ করেছে দুই হাজার কোটি টাকা। সমিতির শেয়ারহোল্ডারদের দায়দায়িত্ব তাদের পরিশোধিত মূলধনের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ নয়। তবে কখনো যদি অবসায়ন ঘটাতে হয়, তখন পরিসম্পদে ঘাটতি থাকলে সদস্যরা নিজ নিজ শেয়ার অনুপাতে দায়ী থাকবেন। প্রতিষ্ঠানের লাখ লাখ শেয়ারহোল্ডার এ সম্পর্কে অবগত নন। প্রতিষ্ঠানটি শেয়ার মূলধন ও শেয়ারহোল্ডারের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়িয়ে অত্যন্ত সুচতুরভাবে এর দায়দেনার সঙ্গে লাখ লাখ মানুষকে সম্পৃক্ত করছে, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
বেআইনি শেয়ার বিক্রি: ডেসটিনির সদস্য হলেই ‘ডিস্ট্রিবিউটরস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর’ (ডিআইএন) ও ‘কাস্টমারস আইডেন্টিফিকেশন’ (সিআইডি) দেওয়া হয়। বর্তমানে সিআইডি নম্বরধারীর সংখ্যা ৬৮ থেকে ৭০ লাখ এবং ডিআইএন নম্বরধারী ৪০ থেকে ৪৫ লাখ। ডিআইএন নম্বরধারীরাই ডেসটিনি মাল্টিপারপাসের সদস্য।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৪০টি শেয়ারের একটি লট ২০ হাজার টাকা করে বিক্রি করছে এই ডিআইএনরা। শেয়ার বিক্রি করতে পারলে ৫০০ পয়েন্ট ভ্যালু (পিভি) অর্জন করা যায়। আশ্চর্যজনক যে, পরিবেশক করা হয় ডেসটিনি গ্রুপের মূল প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের। আবার এই পরিবেশক হওয়াই ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির সদস্য হওয়ার পূর্বশর্ত। আবার এক লাখ টাকার মেয়াদি প্রকল্পে বিনিয়োগ করেও কোনো ব্যক্তি সদস্য হতে পারেন।
প্রলুব্ধ করে তহবিল বৃদ্ধি: পাঁচ বছর আগেও প্রতিষ্ঠানটির পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা ছিল। বর্তমানে তা তিন হাজার কোটি টাকা, যা অস্বাভাবিক হারে বাড়ানো হয়েছে।
প্রতিবেদনমতে, প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকের মতো চলতি, স্থায়ী, সাড়ে পাঁচ বছরে দ্বিগুণ, মাসিক মুনাফা, শেয়ার মূলধন ইত্যাদি প্রকল্পের মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ করছে। এর জন্য প্রশিক্ষিত মাঠকর্মী তথা কমিশন এজেন্টদের ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শহরের আনাচে-কানাচে ও প্রত্যন্ত গ্রামে।
এক হাজার ৪০০ কোটি টাকার শেয়ার সংগ্রহও আমানতেরই নামান্তর। ২০০৬-০৭ সালে ৭১ লাখ, ২০০৭-০৮ সালে সাত কোটি দুই লাখ, ২০০৮-০৯ সালে ১৭ কোটি ৫৬ লাখ, ২০০৯-১০ সালে ২২২ কোটি ১৮ লাখ এবং ২০১০-১১ সালে প্রতিষ্ঠানটি ৫২২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা আমানত সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে বর্তমানে ৯৪ শতাংশ আমানতই দীর্ঘমেয়াদি আমানত।
আমানতের বিপরীতে সুদ দেওয়া হয় সর্বোচ্চ ১৬ শতাংশ। সমবায় আইন অনুযায়ী আয়ের টাকা যেহেতু করমুক্ত, তাই সুদের এত উচ্চহার অস্বাভাবিক। আমানত পরিশোধের দায়বদ্ধতা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি অতিরিক্ত শেয়ার ক্রয়ে জনগণকে প্রলুব্ধ করে তহবিল বাড়াচ্ছে।
অস্বচ্ছ হিসাব পদ্ধতি: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিরীক্ষার বাধ্যবাধকতা না থাকায় যেকোনো মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভের মতো ডেসটিনিরও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা করেছে সমবায় অধিদপ্তর। এতেও অনেক ত্রুটি ধরা পড়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরের শাখাওয়ারি সঞ্চয় সংগ্রহ, শেয়ার মূলধন, আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাবই নেই। ওই বছর অনুমোদনবিহীন ব্যয় হয়েছে ২১২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। সঞ্চয় ও শেয়ার মূলধন আহরণে কমিশন বাবদ ব্যয় হওয়া ২০০ কোটি টাকাকে গবেষণা ও উন্নয়ন ব্যয় দেখানো হয়েছে, যা হিসাবশাস্ত্রের রীতিনীতির পরিপন্থী।
স্থিতিপত্রে প্রাপ্তি ও প্রদানে কোনো মিল নেই এবং প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত চিত্র এতে প্রতিফলিত হয় না। প্রতিষ্ঠানটি জনগণের কাছ থেকে যে পরিমাণ সঞ্চয় ও শেয়ার মূলধন সংগ্রহ করেছে বলে নিরীক্ষা দলকে জানিয়েছে, তা-ও সঠিক নয়। বরং প্রকৃত সংগ্রহের পরিমাণ অনেক বেশি।
নিজেদের প্রতিষ্ঠানে টাকা সরানো: প্রতিবেদনমতে, ডেসটিনি মাল্টিপারপাসের নামে জনগণের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থে মূলত জমি কেনা হচ্ছে। তবে জমির দলিল কার নামে হচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়। আরও অর্থ নেওয়া হচ্ছে ডেসটিনি গ্রুপের ডেসটিনি ২০০০, ডেসটিনি ডায়মন্ড সিটিসহ ১৩টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে। প্রতিষ্ঠানটি এখন মুনাফা অর্জন করছে মনে হলেও গবেষণা ও উন্নয়ন খাতের কমিশন সমন্বয় করলে এর নিট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪৪ কোটি টাকা। সে হিসাবে সমবায় সমিতির বিধিমালা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিতে তারল্য ঘাটতি রয়েছে। তারল্য-সংকটের কারণে যেকোনো সময় আমানতের টাকা ফেরতে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। আমানতকারীদের মধ্যেও দেখা দিতে পারে আস্থাহীনতার মনোভাব।
সচিবের কাছে চিঠি: প্রতিবেদন পাঠানোর পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারীর কাছে একটি চিঠিও পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চিঠিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে, ডেসটিনির বর্তমান প্রতারণামূলক ও অভিনব এমএলএম কার্যক্রম, উচ্চ হারে ও অযৌক্তিকভাবে মূলধন বৃদ্ধি এবং সংগ্রহীত আমানত ও মূলধন সুকৌশলে অন্যান্য কোম্পানিতে সরিয়ে নেওয়া ইত্যাদি অনিয়মের বিষয় আইনি কাঠামোর মধ্যে এনে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে এ ধরনের উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। বিস্তারিত তদন্ত করে ডেসটিনির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতেও সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
যোগাযোগ করলে সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, ডেসটিনির মতো আরও প্রতিষ্ঠান একই ধরনের কার্যক্রমে লিপ্ত। বিষয়টির সত্যিই একটি বিহিত করা দরকার।
বক্তব্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করলে ডেসটিনির গণমাধ্যম উপদেষ্টা মাহমুদ আল ফয়সাল প্রথম আলোকে বলেন, ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীন এই মুহূর্তে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন এবং দেশে ফিরেই তিনি কথা বলবেন। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বক্তব্য চাওয়া হলে তিনি বলেন, সবকিছুই এমডি। তিনি ছাড়া কারও পক্ষে কথা বলা সম্ভব নয়।

নারীদের গল্প

WISE (Women's Islamic Initiative in Spirituality and Equality) ৮ই মার্চ ১০১তম আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দুইজন নারীকে হাইলাইট করেছে যারা অতীতে বা বর্তমানে সমাজের সংস্কার সাধনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন।

১। নুসাইবা বিনতে কা'ব আল আনসারিয়াহ (৬৩০-৬৯০):

তিনি ইসলামের প্রথম যুগেই মুসলিম হয়েছিলেন। তিনিই প্রথম নারী যিনি ইসলামের জন্য যুদ্ধের ময়দানে গিয়ে যুদ্ধ করেছেন। প্রথমদিকে যুদ্ধরত সাহাবীদের সেবা-শুশ্রষা করলেও ওহুদের যুদ্ধে যখন পরিস্থিতি পরাজয়ের দিকে চলে যাচ্ছিল, এবং মহানবী (সা:)-এর চারপাশে কেউ ছিল না, তখন এই নুসাইবা (রা:)ই রাসূল (সা:)-কে ঘিরে ধরেন এবং বিপরীত পক্ষের তীরের আঘাত হতে নবীজিকে রক্ষা করেন।

এছাড়াও তিনি হুনায়নের যুদ্ধ, ইয়ামাহার যুদ্ধ, এবং হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় উপস্থিত ছিলেন।

তিনিই প্রথম মুসলিম নারীর অধিকার নিয়ে সোচ্চার হন। তিনিই সেই নারী যিনি রাসূল(সা:)কে প্রশ্ন করেছিলেন, কোরআনে কেন সবসময়ে পুরুষদের প্রতি আহবান করে কথা বলা হয়? নারীদেরকে কেন সম্বোধন করা হয় না? এরপরেই আল্লাহতাআলা নাজিল করেন সূরা আল আহযাবের ৩৬ নং আয়াত,

"নিশ্চয় মুসলমান পুরুষ, মুসলমান নারী, ঈমানদার পুরুষ, ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ, অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ, সত্যবাদী নারী, ধৈর্য্যশীল পুরুষ, ধৈর্য্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ, বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ, দানশীল নারী, রোযা পালণকারী পুরুষ, রোযা পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী পুরুষ, , যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী নারী, আল্লাহর অধিক যিকরকারী পুরুষ ও যিকরকারী নারী-তাদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরষ্কার।"



২। শারমীন ওবায়েদ চিনয় (১৯৭৮- ) :

ইনি পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত আমেরিকান। একজন ফিল্ম মেকার। ২০১২ সালের শর্ট ফিল্ম এবং ডকুমেন্টারী শাখায় 'Saving Face' শর্টফিল্মের জন্য একাডেমি পুরষ্কার (অস্কার) পেয়েছেন। এটা পাকিস্তানের এসিডদগ্ধ নারীদের উপজীব্য করে তৈরী হয়েছে। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি পাকিস্তানের সমাজে এসিদদগ্ধ নারীদের নিয়ে যেসব অনাহূত ট্যাবু আছে তা ভাঙ্গার চেষ্টা করেছেন।

তার ডকুমেন্টারীগুলো মূলত মুসলিম বিশ্বের নানান সমাজের নানান বিষয় নিয়ে তৈরী। যেমন, সৌদি আরবের নারীদের নিয়ে 'Women of the Holy Kingdom', আফগানিস্তানের নারীদের নিয়ে 'Unveiled'।পাকিস্তানের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়েও তার আরো কিছু ডকুমেন্টারী, শর্ট ফিল্ম আছে। এ নিয়ে মোট ১৫টি শর্টফিল্ম তিনি তৈরী করেছেন।

তিনি তার অসাধারণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এর আগেও অনেক সম্মানজনক পুরষ্কার পেয়েছেন। যেমন: ২০১১ সালে আন্তার্জাতিক এমি পুরষ্কার, ২০০৭ সালে ব্রডকাস্ট সাংবাদিক হিসেবে ওয়ান ওয়ার্ল্ড মিডিয়া পুরষ্কার, ২০০৪ এবং ২০০৬ সালে দক্ষিণ এশিয় সাংবাদিক এসোসিয়েশান পুরষ্কার ইত্যাদি।শারমীন TED (Technology, Entertainment and Design)-এর একজন ফেলো।


সূত্রসমূহ:


১। http://www.wisemuslimwomen.org/

২। Click This Link

৩। http://www.wisemuslimwomen.org/muslimwomen/bio/nusayba_bint_kab_al-ansariyah/

৪। http://www.wisemuslimwomen.org/muslimwomen/bio/sharmeen_obaid-chinoy/



যেহেতু পোস্টটি নারীদের নিয়ে, তাই নারীদের ৩৩ রকম বৈশিষ্ট্য নিয়ে একটি কৌতুকময় লেখার অনুবাদ থেকে কিছু অংশ তুলে দিতে ইচ্ছে করছে, আমি পড়ে খুব মজা পেয়েছি, আশা করি আপনাদেরও ভাল লাগবে। :) অনুবাদটি করেছেন আমাদের দেশীয় মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়া।

এটা বেগম রোকেয়ার 'নারী-সৃষ্টি' নামক একটি অনুবাদ কর্মের কিছু চুম্বক অংশ।

"
...

আদিকালে যখন পৃথিবী, চন্দ্র, সূর্য্য, তারকা আদি কিছুই ছিল না -- ছিল কেবল ঘোর অন্ধকার। ত্বস্তি নামক এক হিন্দু দেবতা এই বিশ্ব জগত সৃজন করিলেন। সর্বশেষ যখন রমণীসৃষ্টির পালা, তখন বিশ্বস্রষ্টা ত্বস্তি দেখিলেন যে তিনি পুরুষ সৃজন কালেই সমুদয় মাল মসলা ব্যয় করিয়া ফেলিয়াছেন। আর ঘন কিংবা শক্ত কোন বস্তুই অবশিষ্ট নাই। ত্বস্তিদের নৈরাশ্যে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হইয়া, উপয়ান্তর না দেখিয়া ধ্যানমগ্ন হইলেন

ধ্যান ভঙ্গের পর ত্বস্তি চক্ষু মর্দন করিয়া দাঁড়াইলেন এবং কতিপয় বিশেষ বিশেষ পদার্থের সারভাগ সংগ্রহ আরম্ভ করিলেন, যথা: ১) পূর্ণচন্দ্রের গোলত্ব, ২) সর্পের বক্রগতি, ৩) লতিকার তরুশাখা অবলম্বন, ৪) তৃণদলের মৃদু কম্পন, ৫) গোলাপ লতার ক্ষীণতা, ৬) কুসুমের সৌকুমার্য্য, ৭) কিশলয়ের লঘুত্ব, ৮) হরিণের কটাক্ষ, ৯) সূর্য্যরশ্মির ঔজ্জ্বল্য, ১০) কুয়াশার অশ্রু, ১১) সমীরণের চান্চল্য, ১২) শশকের ভীরুতা, ১৩) ময়ূরের বৃথা গর্ব, ১৪) তালচন্চু পক্ষীর পালকের কোমলতা, ১৫) হীরকের কাঠিন্য, ১৬) মধুর স্নিগ্ধ স্বাদ, ১৭) ব্যাঘ্রের নিষ্ঠুরতা, ১৮) অনলের উত্তাপ, ১৯) তুষারের শৈত্য, ২০) ঘুঘুর কাকলী, ২১) নীলকন্ঠের কিচিরমিচির গান, ২২) তেঁতুলের অম্লত্ব, ২৩) লবণের লাবণ্য, ২৪) মরিচের ঝাল, ২৫) ইক্ষুরসের মিষ্টতা, ২৬) কুইনাইনের তিক্ততা, ২৭) যুক্তিজ্ঞানহীনতার কূটতর্ক, ২৮) কলহপ্রিয়তার মুখরতা, ২৯) দার্শনিকের অন্যমনষ্কতা, ৩০) রাজনৈতিকের ভ্রান্তি, ৩১) পাষাণের সহিষ্ণুতা, ৩২) সলিলের তারল্য, ৩৩) নিদ্রার মোহ।

ত্বস্তিদেব উপরোক্ত তেত্রিশ উপাদান একত্র মিশ্রিত করিয়া (Egg beater দ্বারা উত্তমরূপে ফেঁটিয়া!) ললনা রচনা করিলেন। বলা বাহুল্য রমণী সৃজন করিতে সৃষ্টিকর্তাকে অত্যধিক বেগ পাইতে হইয়াছিল। তাঁহাকে অনেক গবেষণা, অনেক চিন্তা, গভীর ধ্যান ও অক্লান্ত পরিশ্রম করিটে হইয়াছিল। লোকে যে জিনিষটি প্রস্তুত করিতে অধিক মাথা ঘামায় তাহা নিশ্চয় সর্বাঙ্গসুন্দর হয়।
...
অত:পর ত্বস্তি সেই অতি যত্নে নির্মিতা অঙ্গনা পুরুষকে উপহার দিলেন। অষ্টদিবস পরে পুরুষ তাঁহার নিকট উপস্থিত হইয়া বলিল:

হে প্রভু! আপনি যে জীবটি আমাকে উপঢৌকন দিয়াছেন, সে তো আমার জীবন বিষাক্ত করিয়া তুলিয়াছে। সে যে অবিরত বকবক, কচর কচর করে; সে আমাকে এক তিল অবকাশ দেয় না; সে যে বিনা কারণে বিলাপ করে; এক কথায় সে যারপোরনাই মন্দ।

ত্বস্তি অবলাকে ফিরাইয়া লইলেন।

অষ্টাহ অতীত হইলে পর পুরুষ পুনর্বার দেবতা-সমীপে উপনীত হইয়া বলিল --

হে দেব! আপনার প্রদত্ত জীবটিকে প্রত্যাখান করা অবধি আমার জীবন অতিশয় নির্জন ও নীরস হইয়া পড়িয়াছে। আমার স্মরণ হয়, সে কি সুন্দর! আমার সম্মুখে নাচিত, গায়িত, খেলিত! মনে পড়ে তাহার সেই কটাক্ষ - - মরি মরি! সে কেমন করিয়া আড় নয়নে আমার দিকে চাহিত! সে আমার খেলার সহচরী ছিল; আমার জীবন-সঙ্গিনী ছিল! তাহার বিরহ আমার অসহ্য!

ত্বস্তি বিনা বাক্যব্যয়ে তাহাকে পুনরায় সে রমণী প্রদান করিলেন।

চতুর্থ দিবসে আবার ত্বস্তিদেব দেখিলেন যে পুরুষ বনিতাসমভিব্যাহারে তাঁহার নিকট আসিতেছে। ষাষ্টাঙ্গে প্রণিপাত করিয়া পুরুষ বলিল, দেব! আমায় ক্ষমা করুন; আমি ঠিক বুঝিতে পারি না, নারী আমার আনন্দের কারণ, না বিরক্তির কারণ। তাহাকে লইয়া আমার সুখ শান্তি অপেক্ষা কষ্টের ভাগই অধিক। অতএব প্রভু! আপনি কৃপাবশত: আমাকে ইহা হইতে মুক্তিদান করুন।

এবার দেবতা ক্রুদ্ধ হইয়া বলিলেন, যাও, তোমার যাহা ইচ্ছা কর গিয়া!

পুরুষ উচ্চৈ:স্বরে কাঁদিয়া বলিল, এ যে আমার কালস্বরূপ, ইহার সহিত জীবন যাপন করা আমার পক্ষে অসম্ভব। আমি যে কিছুতেই ইহার সঙ্গে থাকিতে পারি না!

ত্বস্তি উত্তর দিলেন, তুমি তো ইহাকে ছাড়িয়াও থাকিতে পার না!

পুরুষ নিরুপায় হইয়া মনের দু:খে খেদ করিতে লাগিল, কি আপদ! আমি রমণীকে (এ ভূতের বোঝা? ) রাখিতেও চাহি না, ফেলিতেও পারি না!! "

তদবধি নারী অভিশাপরূপে পুরুষের গলগ্রহ হইয়া রহিয়াছে!!!

গুগল এ্যাডসেন্সঃ আপনার এ্যাডসেন্স ইনকাম বাড়ানোর আরও ৪টি প্রধান পথ!!

আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কিভাবে আপনার এ্যাডসেন্স এ্যাকাউন্ট এর ইনকাম বৃদ্ধি করা যায় সেই বিষয়ে। তো চলুন, শুরু করা যাক।

১। RSS ফীডে আপনার এ্যাডসেন্স কোড বসান।

ওয়েবসাইট আছে, কিন্তু RSS Feed ব্যবহার করেন না, এমন ওয়েবমাস্টার খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। কারণ, RSS ফীড থাকলে সাইটের ভিসিটরদের জন্যে অনেক সুবিধা হয়। এখন থেকে আপনার এ্যাডসেন্স এ্যাকাউন্টটি RSS Feed এর সাথে যুক্ত করে দিন। যেন, কেউ আপনার পোস্ট গুলো পড়তে গেলে গুগলের এ্যাড দেখতে পায়। বিশ্বাস করুন, গত ২ মাসে আমার RSS Feed থেকে ২৭ ডলার এসেছে। RSS Feed এ কিভাবে এ্যাডসেন্স এ্যাড করতে হবে তা নিচে দেখুনঃ
Step 1: প্রথমে আপনার এ্যাডসেন্স এ্যাকাউন্ট এ লগ ইন করুন।
Step 2: এবার My Ads বাটনে ক্লিক করুন।
Step 3: এবার বাম পাশের মেনু থেকে Feed এ ক্লিক করুন।
Step 4: এবার Create new feed unit এ ক্লিক করুন।
Step 5: এবার অন্যান্য এ্যাড কোড জেনারেট যেভাবে করেন সেই ভাবে করুন। সবার নিচে গিয়ে আপনার Feed এর নামটা এ্যাড করে নিন।
ব্যাস! হয়ে গেলো আপনার RSS Feed এ এ্যাড বসান।

২। Article Submission সাইটে আপনার Adsense শেয়ার করুনঃ

আমরা অনেকে আমাদের ওয়েবসাইটের SEO এর জন্যে বিভিন্ন আর্টিকেল সাবমিশন সাইটে আমাদের আর্টিকেল সাবমিট করে থাকি। এতে আমাদের সাইটের ব্যাকলিঙ্ক বাড়ে। এখন থেকে আর্টিকেল সাবমিশন করে শুধু ব্যাকলিঙ্কই নয়, সাথে আরনিং ও করবেন! আপনি এই সকল আর্টিকেল সাবমিশন সাইটে আর্টিকেল সাবমিশনের সময় আপনার এ্যাডসেন্স এ্যাকাউন্ট শেয়ার করলে সেই আর্টিকেলে যে সকল এ্যাড দেখাবে, আর তা থেকে যে ইনকাম হবে সেটা আপনারই হবে। এই ধরণের সাইট গুলো হচ্ছেঃ Hubpages, Xomba, Squidoo, ehow ইত্যাদি। (Squidooehow আপনার এ্যাডসেন্স এর টাকা পেপালের মাধ্যমেই দিয়ে থাকে। অর্থাৎ, ওদের ওয়েবসাইটে আপনার প্রকাশিত লেখা থেকে যে ইনকাম হবে সেটা তারা পেপালের মাধ্যমে দিয়ে থাকে)।

 ৩। Google Custom Search বাটনের মাধ্যমে ইনকাম করুনঃ

প্রতিটি সাইটেই সার্চ বাটন থাকে। এখন থেকে আপনি গুগলের কাস্টম সার্চ বাটনটি ব্যবহার করুন। এতে করে কেউ যখন আপনার সাইটে সার্চ দিবে আর কাঙ্খিত জিনিস খুঁজে না পাবে তখন গুগল তার এ্যাড শো করবে। আর যদি ২/১ ক্লিক পরে তাহলে আপনার ইনকাম হবে। (সার্চ বাটন দিয়েও যদি ইনকাম করা যায় মন্দ কি??) এক্ষেত্রে আমরা টেকটিউনসের সার্চ বাটনের কথা বলতে পারি। (বিশ্বাস না হয় সার্চ দিয়ে দেখেন!)

৪। Youtube ভিডিও এর মাধ্যমে ইনকাম করুনঃ

অনেকে আছে যারা সাইটে পোস্ট করার সময় ভিডিও ব্যবহার করে থাকে। তাদের বলছি, এখন থেকে আপনারা ভিডিও আপলোড করার পর আপনার Youtube চ্যানেল থেকে গুগল এ্যাডসেন্স একটিভ করে নিন। আর এ্যাডসেন্স থেকেও Youtube কে এ্যাড শো করানোর পারমিশন দিয়ে দিন। এরপর পোস্টে যখন ভিডিও ব্যবহার করবেন তখন সেই ভিডিও তে যে এ্যাডগুলো শো করবে আর ক্লিক থেকে যা ইনকাম হবে সেটা আপনার এ্যাকাউন্ট এ যোগ হবে।
আশা করি আপ্নারা সবাই এখন থেকে এই সব বিষয়গুলো এপ্লাই করার চেষ্টা করবেন। গুগল যখন সুযোগ দিয়েছে তখন বসে থেকে লাভ কি বলেন? যদি এই ৪ পথে আপনার মাশে ৪০ ডলার ও আসে, তাই বা কম কিসে???
একটি কথাঃ গুগল আমাদের এ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার মত একটা বিশাল সুযোগ করে দিয়েছে। সুতরাং, গুগল আমাদের পরম বন্ধু। আর এই বন্ধুর সাথে কখনো বেঈমানি করবেন না (মানে কোন ভাবে গুগল কে ঠকিয়ে ইনকাম করার চেস্টা করবেন না)

মিথ্যে বলছি না… – অনলাইনে ইনকাম সত্যিই সম্ভব !!!

“অনলাইনে ইনকাম” শব্দটা শুনলেই বেশীর ভাগ মানুষ এটাকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দেয়। কেউ বিশ্বাসই করতে চায় না যে আসলেই সম্ভব। বন্ধুদের মাঝে যদি কেউ বলে আমি অনলাইনে কাজ করে সত্যি টাকা পেয়েছি তাবে অন্যরা মনে করে সে বানিয়ে বানিয়ে বলতেছে ভাব মারার জন্য। আবার অনেকে হাসাহাসি করে বলে “হাঁ হাঁ হাঁ দোস্ত জানিস ওনা ভার্চুয়াল জগতে ভার্চুয়াল ভাবে টাকার ইনকাম করেছে আচ্ছা তোকে টাকা গুলো কোন ফরমেটে দিলরে - .jgp ফরমেট নাকি .png ফরমেট হাঁ হাঁ হাঁ”
Taka
মানুষ যে কেন বেকার থাকে বুঝি না। কাজ জানলে “বেকার” শব্দটাই হাস্যকর মনে হয়। অনলাইন কাজ করতে কোন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয় না। শুধু মাত্র ইংরেজি পড়তে পারলে, বুঝতে পারলে আর কাজ জানলে যে কেউ ইনকাম করতে পারে। এখানে বয়সের কোন ভেদ নেই। কিশোর থেকে আঙ্কেল আন্টি বয়সেরও যে কেউ কাজ জানলেই করতে পারবে।
অনলাইনে কাজের মধ্যে রয়েছে – ওয়েব ডেভলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ব্লগিং, এফিলিয়েশন, আর্টিকেল রাইটিং ইত্যাদি। এগুলো ছারাও আরও অনেক কাজ আছে যেগুলোর মাধ্যমে মানুষ সফলভাবে ইনকাম করতেছে।
বর্তমানে আমাদের দেশের বহু মানুষ আছে যারা এই অনলাইনের কাজ করে সফল ভাবে টাকা ইনকাম করতেছে। বিশেষ করে আমাদের যুব সমাজের অধিকাংশ ছেলেরা মেয়েরা বেশ সফলতা পেয়েছে এই কর্মে।
আসুন এমনই কিছু মানুষের সাথে পরিচয় হই যারা সফল ভাবে অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করতেছে।

Mahabub Raihan

মাহাবুব রায়হান

কাজের বিভাগঃ এস.ই.ও (Search Engine Optimization)

আমি মূলত ২০০৯ এর শেষের দিকে অনলাইনে কাজের প্রতি আগ্রহি হই। ২০১০ এর মার্চ মাসে oDesk এ একাউন্ট করি। কিছু দিন ঘাটাঘাটি করার পর আমার প্রথম কাজ পাই ২০১০ সালের মে মাসের ৬-৭ তারিখে। তখন থেকে শুরু করে এখনও কাজ করছি। প্রায় দের বছরের বেশি সময় ধরে অনলাইনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছি।
সবসময় Independent থাকতে পছন্দ করতাম। তাই পছন্দটাকে ধরে রাখতে অনলাইনের কাজকে পেশা হিসাবে নিয়েছি। আমি কুষ্টিয়া এর মোট মফস্বল শহরে বড় হয়েছি। অনেক কষ্ট করে এই পেশাতে এই পর্যন্ত এসেছি। কুষ্টিয়াতে GP Internet দিয়ে কাজ করা লাগত এবং সেখানে যারা অনলাইনে কাজ করত তারা সাধারনত এই সব শেয়ার করতে চাইত না। তাই নিজেকেই কষ্ট করে শিখতে হয়েছে। Buyer রা কাজ দিত সেই কাজ করতে গিয়ে অনেক ঘাটা ঘাটি করতে করতে শিখেছি কাজ গুলো। তাই যারা অনলাইনে কাজ করতে চান তাদের অনুরোধ করবো আপনি যেই বিভাগে কাজ করতে চান সেই বিভাগে ভাল ভাবে কাজ শিখে কাজ করতে আসুন তাহলে আর কাজ পেতে বেশি সময় ও কষ্ট হবে না।

Nahida Jahan

নাহিদা জাহান

কাজের বিভাগঃএস.ই.ও, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

আমি আমাদের লোকাল মার্কেটের কাজ গুলো বেশি করি। প্রথমে SEO র কাজ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে সম্পূর্ণ Web Development এর কাজ করি।
আমি আগে থেকেই IT Sector এ জরিত তাই আমার কাজ পেতে তেমন একটা সমস্যা হয় নি। ২০০৯ সাল থেকে আমি Online Market Place গুলোতে কাজ করে আসছি।
প্রায় ৩ বছর ধরে কাজ করছি। এখন লোকাল ও ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট মিলে কাজ করি। অনেক সময় দেখা যায় আমার কাজ খুঁজতে হয় না Buyer রা আমাকে খুঁজে।
আমি বরাবরই অনেক একজন মানুষ এবং চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসি। যেহেতু এর কাজের ক্ষেত্রটি আমাদের দেশে একবারেই নতুন তাই এই ক্ষেত্রে আমি আগের থেকেই এই এ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছি যা অন্য সকল চাকরির বাজার থেকে একটু আলাদা এবং বৈচিত্র্যময়। আমি এই সেক্টরে সফলতার সাথে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমার মত আরও অনেক মেয়েরা এগিয়ে আসবে এই সেক্টরে।

Masudur Rashid

মাসুদুর রসিদ

কাজের বিভাগঃ ব্লগিং, এস.ই.ও, এফিলিয়েশন

২০০৮ সাল থেকে অনলাইনে ঘুরাঘুরি করতেছি। আমার প্রথম আয়ের মুখ দেখতে প্রায় ৮ মাস লেগে যায়। ২০০৮ এর আগস্ট থেকে আয় করা শুরু করি।
আমি অনেক কষ্টকরে কাজ শিখেছি। আমি কোন টিচার পাই নাই। আমি আর আমার ভাই জহিরুল ইসলাম মামুন ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করে অনেক আস্তে আস্তে কাজ শিখেছি। আমাদের প্রতিটা কাজ শেখার পেছনে অনেক শ্রম, কষ্ট ও সাধনা লুকিয়ে আছে। ঘরে একটা মাত্র কম্পিউটার আর ইন্টারনেট কানেকশন ভাইয়ের ৩ বন্ধু মিলে শেয়ার করে চালাতাম। মাসে ১০ দিন নেট কাছে পেতাম আমরা দু'ভাই। সেই ১০দিন আজেবাজে কাজে সময় ব্যায় না করে আমরা কিছু জানার পিছনে ব্যায় করেছি। আগে অনেক কষ্ট করেছি বিধায় আজ আমরা দু'ভাই ই সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছি।
এখনো প্রতিদিন ই কোন না কোন বিষয় শেখার প্রতি সময় ব্যায় করি। নিজের স্কিল বারানোর জন্য আমি অনেক শ্রম দিয়েছি, দিচ্ছি এবং দেব।

Taher Chowdhury Sumon

তাহের চৌধুরী সুমন

কাজের বিভাগঃ ব্লগিং, এস.ই.ও, এফিলিয়েশন

২০০৯ সালের শুরুর দিকে মিগে চ্যাট করার মাধ্যমেই ইন্টারনেট এর সাথে প্রথম পরিচয় ঘটে আমার। তার বেশ কিছু দিনের মাথায় ই শুরু করেছিলাম ইন্টারনেট জগতের বিশাল প্লাটফর্ম, যা সরাসরিই আমি শুরু করি ব্লগিং দিয়ে।
শুরু দিকে আমার অনলাইনে আয়ের একমাত্র উৎস ছিলো ব্লগে গুগলের এডসেন্স বসিয়ে আয় যা আস্তে আস্তে প্রফেশনাল ব্লগিং এর রুপ নেয়। এডসেন্স থেকে আয় করতে চাইলে ব্লগে হিউজ ভিজিটর আবশ্যক আর অরগানিক ওয়েতে ভিজিটর আনতে এস.ই.ও জনতেই হবে। তাই ব্লগিং এর জন্য এস.ই.ও শিখা শুরু করি। আস্তে আস্তে নিজেকেকে এস.ই.ও ‘র এডভান্স ফিল্ডে সুইচ করতে থাকি। পরে আমার ইনকাম সোর্সকে ডাইভারসিফাই করতে শুরু করি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
আসলে সত্যি কথা বলতে কি একেবারে খুবই কম সময়ে আমি অনলাইনে সফল হয়েছিলাম।। প্রথম কারন হিসাবে আমি বলবো সঠিক সময়ে সঠিক গাইড লাইন যা পেয়েছিলাম খুব কাছের বন্ধু প্রতিষ্ঠিত ব্লগার মাসুদুর রশিদ এর কাছ থেকে। বন্ধু মাসুদের সাফল্য দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম, ওর কাছ থেকেই ব্লগিংয়ের অ-আ-ক-খ শেখা। ওর সাফল্য দেখে মনে হত, আমিও চেষ্টা করলে একদিন সফল হবোই। আর সবচেয়ে বড় যে ব্যাপারটা বিশেষ করে আমার ক্ষেত্রে কাজ করেছে তা হচ্ছে পড়াশুনার পাশাপাশি নিজেকে আত্বনির্ভরশীল হিসাবে গড়ে তোলা এবং নিজে নিজে ই কিছু করে দেখনো। আর এজন্য আমি প্রথম দিকে গুগলের সার্চ ইঞ্জিনকে কাজে লাগিয়ে নিজে নিজেই অনেক অনেক স্ট্যাডি করেছি। তাই সফলতা আসতেও খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি।

Sojib Rahaman

সজিব রহমান

কাজের বিভাগঃ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও এস.ই.ও

আমি ২০০৭ এর শেষের দিকে অনলাইন জগতে বিচরন শুরু। ২০১০ পর্যন্ত দীর্ঘ ২ বছরেরও বেশি কোন আয় ছাড়াই শুধু কাজ শিখার পিছনে সময় দিয়েছি।
আমি এখন মূলত ওয়েব ডেভেলপার হিসাবে কাজ করছি। তবে আমার প্রথম আয় এর উৎস ছিল ব্লগিং ও এসইও । এখন ও এসইও থেকেও আয় করছি। আমি গত দেড় বছর ধরে গুগল আডসেন্সে ও ফ্রীল্যান্সিং থেকে আয় করছি।
ছোটবেলা থেকেই ইন্টারনেট এর উপর অনেক ঝোঁক ছিলো,কিন্তু নিজের কম্পিউটার না থাকার কারনে বেশ কষ্ট করে সাইবার ক্যাফে বা বন্ধুদের কম্পিউটার এ বসে বসে অনলাইন ঘাঁটা ঘাটি শুরু করি। আসলে তখন কিন্তু আমার কোন আয়ের চিন্তা ছিল না।চিন্তা ছিল যে কিভাবে আমি কাজ শিখব।সেই চিন্তা নিয়েই বিভিন্ন ফোরাম, ব্লগ ইংরেজি ওয়েব সাইট ভিজিট করে করে কাজ শিখেছি, টানা ২ বছর কাজ শিখেছে প্রতিদিন ১২-১৫ ঘণ্টা সময় ব্যয় করতাম এর পিছনে। তাই সবার উদ্দেশে একটি কথা সেটা হল টাকার পিছনে ছুটার জন্য কাজ শিখবেন না। কাজ শিখুন কাজ শেখার জন্য, তখন দেখবেন টাকাই আপনার পিছনে ছুটছে। ধন্যবাদ।

Ariful Islam Shaon

আরিফুল ইসলাম শাওন

কাজের বিভাগঃ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ব্লগিং

২০০৬ থেকে কাজ শিখা শুরু করছি। দুটি কম্পিউটার কোর্স করছিলাম এগুলো দিয়ে অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে তেমন প্রভাব ফেলতে পারে নাই। ফ্রিলেন্সিং মার্কেট প্লেসে অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গেলে প্রতিনিয়তই কাজ শিখাতে হয়। তাই আমি এখনও শিখার উপরেই আছি।
বর্তমানে আমি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ব্লগিং থেকে আয় করছি। ২০০৮ এর শেষের দিক থেকে এখন পর্যন্ত নিয়মিত ভাবে আয় করছি। ফ্রীলান্সারদের আয়ের বেপারটা সম্পূর্ণ সময় এবং কাজের পরিসীমার উপরের নির্ভর করে। যত বেশি দক্ষ এবং দীর্ঘ সময়ের কাজ তত বেশি আয়।
ফ্রিলান্সিং এ আমার শুরুটা হয়েছিল অনেকটা নাটকীয়তার মাঝে। এসএসসি পাশ(২০০৬ সালে) করার পরের ১টি বছর ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আমাকে বাধ্য হয়েই পড়াশুনা থেকে দূরে থাকতে হয়েছে। কিন্তু আমার লক্ষ ছিল পড়াশুনা থেকে দূরে থাকলেও আমি যেন অন্য কিছুতে সময়গুলোকে কাজে লাগাতে পারি। তাই সময়গুলোকে কাজে লাগাতে ২০০৬ এর মাঝামাঝি সময় থেকে টানা ২০০৭ এর শেষ পর্যন্ত টানা দুটি কম্পিউটার কোর্স করি। এবং সাথে ইন্টারনেটে আয় কিভাবে করে সেই খোঁজ করতে থাকি। সেই সময় হয়তো আমার আশেপাশে হাতে গুনা কয়েকজন ছাড়া তেমন কেউ ইন্টারনেটে আয় করতেন না বা ব্যাপারটি জানতেনও না। কোন ভাবে তাদের ব্যাপারে জানতে পারি এবং তাদের সাথে যোগাযোগ করে কাজের ধরন জেনে নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। সাথে চলছিল আমার কম্পিউটার শেখা। দুটো জিনিস একই প্লাটফর্মে অনেকটা আনন্দ নিয়েই করতাম।

Billah Mamun

বিল্লাহ মামুন

কাজের বিভাগঃ এস.ই.ও, ব্লগিং

ইন্টারনেটের সাথে পরিচয় ২০০৭ এর মাঝামাঝি সময়ে। টেকটিউনস সহ বাংলা ব্লগগুলোতে নিয়মিত ব্রাউজিং আর ইন্টারনেট ঘুরাঘুরি করে ইন্টারনেট জগতটা সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা হয়েছিলো।
প্রথম দিকে সার্চ ইন্জিন অপটিমেজশন নিয়ে ঘাটাঘাটি করি শুধু শিখার উদ্দেশ্যে। ২০১০ এর প্রথম দিকে এসে এডসেন্স এবং SEO এই দুইটা টার্মের ব্যাপারে বেশ আগ্রহী হয়ে এই দুইটা টার্ম ভাল ভাবে রপ্ত করি।
এখন আমার কাজ বা ইনকাম বলতে এডসেন্স এবং SEO এই দুটি যাকিনা ব্লজ্ঞিং এর মাধ্যমে করে থাকি। ইনকামের শুরুটা হয় ২০১০ এর শেষের দিক থেকে।
আমার অনলাইনে সফল হবার পিছনে বাংলা ব্লগগুলোর অবদান অসামান্য। একসময় ঘন্টার পর ঘন্টার ব্লগগুলোতে দিয়েছি বিশেষ করে টেকটিউনস এ । এই ব্লগগুলো না থাকলে হয়তো এইসব ব্যাপার এত সহজে খুঁজে পাওয়া যেতো না । মাঝে মাঝে ভাবতাম যে অকারণে নেটে এত সময় কেন দিচ্ছি কিন্তু পরে কোন উত্তরটা বুঝতে পারলাম। কিছুই অকারনে নয় সেদিনের সেই সময়গুলো আজকে নতুন পথ দেখাচ্ছে আমাকে। সম্পূর্ণ ইন্টারনেট জগত সম্পর্কে ধারণা আর গুগল সার্চিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এতে সহজে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার অবস্থানটা ঠিক কোথায় আছে। ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি অনলাইনে সফল হবার জন্য ধৈর্য্য অনেক জরুরি। অনেকেই হাল ছেড়ে দেয় কিন্তু একটা নির্দিষ্ট টার্গেটে আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে তবেই আগ্রহ এবং উন্নতি দুইটাই বাড়তে থাকবে।

Bithy Akhter

বিথী আক্তার

কাজের বিভাগঃ গ্রফিক্স ডিজাইন

জীবনে প্রথম কম্পিউটারের মালিক হয়েছি ২০০৪ সালে। তখন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত শিখছি। শিখার কোন শেষ নেই।
বেশিরভাগ গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়েই কাজ করছি ...এটা কেবল আমার সখের বসে করা । বলা যায় সখ থেকে আয়। এছাড়াও ওয়েব ডেভলোপমেন্ট এর কাজেও আছি।
freelancing এর ব্যাপারটা মাথায় ছিল ৫/৬ বছর আগে । নানান বাঁধায় সেটা আর সম্ভব হয় নাই। এখন ১ বছর ধরে সফল ভাবে কাজ করে অর্থ আয় করতে পারছি। ফুল টাইম জব এর পাশাপাশি কম্পিউটার সায়েন্স এ অনার্স এ পড়ছি আর গৃহিণী বলে রান্না-বান্নার পাশাপাশি কেবল গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর কাজ করে পার্টটাইম ইনকামটা করছি।
আসলে আমাদের দেশের অনেক মেয়েরা এখনও অনেক কিছু ফ্রী ভাবে করতে পারে না। আমাকেও প্রথম প্রথম শত বাঁধার ভেতর থেকে কাজ শিখতে হয়েছে। আমার কাজ শেখার প্রধান উপকরণ ছিল দেশি বিদেশি বিভিন্ন ভিডিও টিউটোরিয়াল । আসল কথা হল মনের ইচ্ছা থাকলে হাজার বাঁধা অতিক্রম করা সম্ভব ।

Eunus Hosen

ইউনুস হোসেন

কাজের বিভাগঃ ওয়েব ডেভলপমেন্ট

কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করা শুরু করি ২০০৮ সাল থেকে। সেই থেকেই অনলাইনে পথ চলা।
বর্তমানে আমি মূলত oDesk এ ওয়েব ডিজাইনার এবং ডেভেলপার হিসাবে কাজ করে ইনকাম করছি।
২০০৮ থেকেই ব্লগিং করি। তখন থেকে শখের বশত ব্লগ ডিজাইন করতাম। কিছুদিনের মধ্যেই এই কাজটাকে খুব উপভোগ করা শুরু করি। এরপর গুগল এর সাহায্য নিয়ে আরও এডভান্স লেভেলে কাজ শিখার চেষ্টা করলাম। ২০১০ এর মাঝামাঝি এক বন্ধুর কাছ থেকে oDesk এর খোঁজ পাই এবং পরে সেই বন্ধুর কথায় oDesk এ একাউন্ট খুলি ও কিছু পরীক্ষা দেই। কাজের জন্য বিড করা হয়নি তবুও হঠাৎ করেই একদিন oDesk থেকে একটা কাজের ইন্টারভিউর জন্য ইমেইল পাই। সেটাই ছিল ফ্রিলান্সার হিসেবে আমার প্রথম কাজ। এর পর থেকেই oDesk এ ওয়েব ডিজাইনার এবং ডেভেলপার হিসেবে কাজ করছি।

Jakir Hossain

জাকির হোসাইন

কাজের বিভাগঃ ওয়েব ডেভলপমেন্ট

ইন্টারনেট নেওয়া হয়েছে ২০১০ সালে আমার পড়ালেখার সহায়ক হিসেবে। আর ইন্টারনেট এর কল্যানে বিভিন্ন বাংলা ব্লগ গুলো ঘোরা হতো অনেক। সাথে ইংরেজী রেফারেন্স সাইট গুলো।
প্রথম প্রথম আমি আয়ের জন্য চিন্তা করি নি। বা আয়ের জন্য যে শিখব তাও চেষ্টা করি নি। ২০১১ সালের দিকে এসে আয়ের জন্য চেষ্টা করছি এবং যা যা দরকার তা শিখে নিয়েছি। আর এ ক্ষেত্রে আমার আগের শেখা গুলোও কাজে লেগেছে। আমি ওয়েব ডেভলপমেন্টের কাজ করি এবং এ ক্যাটাগরিতে কাজ করেই টাকা ইনকাম করছি।
আমি ৬ মাসের মত অনলাইনে ফ্রীল্যান্সিং করছি। এখনও করতেছি। অনলাইনে আসার কথা প্রথমেই বলছি আমার লেখা পড়ার সহায়ক হিসেবে অনলাইনে আসা। আর ফ্রীল্যান্সিং এ আসা হচ্ছে টাকা রুজি কারার জন্য। বলতে গেলে দুটোতেই আমি খুশি।

Mahbub Alam

মাহবুব আলম

কাজের বিভাগঃ এস.ই.ও

ক্লাশ সেভেন থেকে সাইবার সেন্টারে ইন্টারনেট ব্যবহার করা শুরু হয়। ২০০৮ সালের শেষ দিকে টেকটিউনস সাইটের ঠিকানা পাই। শখের বশত টেকটিউনসে এস.ই.ও নিয়ে চেইন টিউন করার সময় এটি সম্পর্কে ব্যাপকভাবে আগ্রহ জন্মে এবং তা নিয়ে কাজ করা শুরু করি। প্রথমে একটি ফ্রি ব্লগ সাইট বানিয়ে তার এস.ই.ও করি এবং ভালো ফলাফল পাত্তয়ার পর থেকে এটি নিয়ে বর্তমানে সময় কাটাচ্ছি।
এস.ই.ও কাজ করে আমি ব্যক্তিগতভাবে বেশ কিছু অর্থ উপার্জন করেছি। তবে এজন্য আমাকে প্রথম তিন মাস সময় ব্যয় করতে হয়েছে কোন প্রকারের অর্থের আশা ছাড়াই। গত ছয় মাস ধরে প্রতিমাসে শুধুমাত্র এডের মাধ্যমে বেশকিছু টাকা আয় করেছি নিয়মিত ভাবে।
ইন্টারনেটে কাজ করার জন্য হাতে কলমে কারো কাছ থেকেই শিক্ষা পাইনি। সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টাতেই এ পর্যন্ত আসা। লেখালেখি করতে গিয়ে মূলত আগ্রহ জন্মে কাজের প্রতি। চাকুরির প্রতি তেমন ঝোক নেই। কেননা সেখানে কোন স্বাধীনতা নেই। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে গেলে নিজের ইচ্ছে মতই করা যায়। ইচ্ছে আছে অনলাইনেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার। আর একটি কাজ করতে গেলে অবশ্যই ভালো মত জেনে বুঝে করা উচিত। এতে করে পরবর্তীতে আরো কাজ পাত্তয়া সহজ হয়।

কষ্ট করলে সফলতা আসবেই। একদিন আগে বা একদিন পরে সফলতা আসতে বাধ্য। তবে অনলাইনে কাজ করতে হলে ৩টি গুণাবলী একজন মানুষের মধ্যে থাকাটা জরুরীঃ-
  • অনেক ধৈর্যশক্তি।
  • প্রচণ্ড শিখার ইচ্ছা।
  • কাজ করার মনমানসিকতা।

নতুনদের জন্য কিছু কথা

  • যারা নতুন ভাবে নিজেকে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে গড়ে তুলতে চান। তারা এই ক্ষেত্রে আসার আগে ভাল মত নিজেকে জানুন। আপনার মন কোন বিভাগের কাজ গুলোকে বেশি পছন্দ করে। যেই কাজে মন বসবে না সেটাতে ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা করবেন না। এতে ফলাফল বিপরীত হতে পারে।
  • ফ্রিল্যান্সার হিসাবে যে বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান সেই বিষয়ে খুব ভাল ভাবে শিখে তারপর কর্মক্ষেত্রে যোগদান করবেন।
  • শিখার কোন শেষ নেই তাই কাজ শিখার পরও ওই বিষয়ে নিয়মিত গুগল সার্চ করতে থাকুন। ওই বিষয়ে নিয়মিত আপডেট নিতে থাকুন।
  • যখন কাজ শিখবেন তখন "ইনকাম করব, ইনকাম করব" এমন টার্গেট না রেখে "ভাল ভাবে শিখব, ভাল ভাবে শিখব" এমন টার্গেট রাখুন।

পৃষ্ঠাসমূহ