রবিবার, ২৫ মার্চ, ২০১২

মুসলমানদের জানতে হবে,

হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো।
[আল কুরআনঃ সূরা আল ইমরানঃ ১৩০

যারা নিজেদের স্বচ্ছলতায় ও অভাবে (উভয়) সময় আল্লাহ-র পথে ব্যয় করে, যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করে; বস্তুতঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন।

[আল কুরআনঃ সূরা আল ইমরানঃ ১৩৯

মুমিনগন আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি ঈমান রাখে এবং কল্যাণকর বিষয়ের নির্দেশ দেয়; অকল্যাণ থেকে বারণ করে এবং সৎকাজের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করতে থাকে। আর এরাই হল সৎকর্মশীল।

[আল কুরআনঃ সূরা আল ইমরানঃ ১১৪

রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ

"তোমাদের ঘরগুলোকে কবরে পরিণত করো না।
অবশ্য যে ঘরে সূরা বাকারা পাঠ করা হয় সে ঘর থেকে শয়তান পালিয়ে যায়।"
[মুসলিম ১০১৮

রাসুল (সাঃ) বলেনঃ

মুমিনের জন্য জুম’আর দিন হল সাপ্তাহিক ঈদের দিন।
[ইবনে মাজাহঃ ১০৯৮

মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর ইবাদতের জন্য দ্রুত যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।

[আল কুরআনঃ সূরা আল জুমুআহ: ০৯

তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে।

[আল কুরআনঃ সূরা আল ইমরানঃ ১১০

কখনই কল্যাণ লাভ করতে পারবে না, যদি তোমাদের প্রিয় বস্তু থেকে তোমরা আল্লাহ-র পথে ব্যয় না কর। আর তোমরা যদি কিছু ব্যয় কর, আল্লাহ তা জানেন।



বলুন ইয়া আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী।

তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচ্ছা অপমানে পতিত কর। তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল।
[আল কুরআনঃ সূরা আল ইমরানঃ ২৬

যারা কুফুরী করে, তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি আল্লাহর সামনে কখনও কোনো কাজে আসবে না। আর তারাই হচ্ছে দোযখের জ্বালানী।

[আল কুরআনঃ সূরা আল ইমরানঃ ১

যারা সুদ এর সাথে জড়িত, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ব্যবসা ও তো সুদ নেয়ারই মত!

অথচ আল্লা’হ তা’আলা ব্যবসা বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন।
অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ক্ষমার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর আল্লাহ-র আদেশের পরে-ও যারা পুনরায় সুদ এর সাথে জড়িত থাকে, তারা দোযখে-ই যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। আল্লাহ তা’আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান খয়রাতকে বর্ধিত করেন।
অবশ্যই আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে।
[আল কুরআনঃ সূরা আল বাক্বারাহঃ ২৭৫-২৭৬

শয়তান তোমাদেরকে অভাব অনটনের ভয় দেখায় এবং অশ্লীলতার আদেশ দেয়।

পক্ষান্তরে আল্লাহ তোমাদেরকে আল্লাহ-র পক্ষ থেকে ক্ষমা ও বেশী অনুগ্রহের ওয়াদা করেন।
আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সুবিজ্ঞ।
[আল কুরআনঃ সূরা আল বাক্বারাহঃ ২৬৮

যারা নিজেদের স্বচ্ছলতায় ও অভাবে (উভয়) সময় আল্লাহ-র পথে ব্যয় করে, যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করে; বস্তুতঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন।

[আল কুরআনঃ সূরা আল ইমরানঃ ১৩৯]

যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে, ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষয়ে, (তারা বলে) পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচাও।

[আল কুরআনঃ সূরা আল ইমরানঃ ১৯১

তোমাদেরকে যদি কেউ দোয়া করে, তাহলে তোমরাও তার জন্য দোয়া কর; তারচেয়ে উত্তম দোয়া অথবা তারই মত করে দোয়া কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব বিষয়ে হিসাব-নিকাশ গ্রহণকারী।

[আল কুরআনঃ সূরা আন নিসাঃ আয়াত ৮৬

যারা নিজ পালনকর্তার সন্তুষ্টির জন্যে সবুর করে, নামায প্রতিষ্টা করে আর আমি তাদেরকে যা দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্য ব্যয় করে এবং যারা মন্দের বিপরীতে ভাল কাজ করে, তাদের জন্যে রয়েছে পরকালের উত্তম বাসস্থান।

[আল কুরআনঃ সূরা রা’দ: ২২]

আনাস (রা
:) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা:) বলেনঃ
“মৃত ব্যক্তিকে তিনটি জিনিস অনুসরণ করে: তার পরিবার, তার মাল এবং তার আমল|
তারপর দু’টি ফিরে আসে, আর একটি রয়ে যায়|
ফিরে আসে তার পরিবার ও মাল, আর রয়ে যায় তার আমল।”
[বুখারী, মুসলিম]

হযরত আবু ইয়ালা শাদ্দাদ ইবনে আউস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সাঃ) বলেনঃ

"বুদ্ধিমান সে ব্যক্তি যে নিজের নফসের (ভালো ও খারাপ চিন্তা ও কাজের) হিসাব নেয়; এবং মৃত্যুর পরের জীবনের জন্য কাজ করে।
আর নির্বোধ সে ব্যক্তি যে নিজের কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করে; আবার আল্লাহর নিকটও আশা আকংক্ষা রাখে।"
[তিরমিযি]

হারিসা ইবনে ওহব (রা
:) থেকে বর্ণিত| রাসুল (সা:) বলেছেনঃ
“আমি কি তোমাদের দোজখীদের বিষয়ে জানাব না? তারা হলো : প্রত্যেক অহংকারী, সীমালংঘনকারী, অবিনয়ী ও উদ্ধত লোক|”
[বুখারী, মুসলিম

আবু হোরায়রা (রা
:) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা:) বলেছেনঃ
“যে ব্যক্তি মারামারিতে অন্যকে ধরাশায়ী করে সে শক্তিশালী নয়;
বরং শক্তিশালী হচ্ছে সেই ব্যক্তি যে রাগের সময় নিজেকে সংযত রাখে।”
[বুখারী ও মুসলিম]

আবু হোরায়রা (রা
:) থেকে বর্ণিত।
রাসুল (সা:) বলেনঃ
বিধবা, বৃদ্ধ ও মিসকিনদের (সাহায্যের) জন্য চেষ্টা-সাধনাকারী আল্লাহর পথে জিহাদকারীর সমতুল্য|
সে অবিরাম নামায পাঠকারী ও অনবরত রোযাদার ব্যক্তির সমতুল্য।”
[বুখারী, মুসলিম]

হযরত আবু যর (রা) বর্নণা করেন। রাসুল (সা) আমাকে বলেছেনঃ

কোন ভাল কাজ কে তুচ্ছ মনে করো না। যদিও তা আপন ভাইয়ের সাথে হাসি মুখে সাক্ষাতের মতো মামুলি/ ছোটও হয়।
হযরত আবু ইয়াহইয়া সুহাইব ইবনে সিনান (রা) বর্ণনা করেন। রাসুল (সা) বলেনঃ "মুমিনের ব্যাপারটা খুবই বিস্ময়কর! তার সকল কাজই কল্যাণপ্রদ। মুমিন ছাড়া অন্যের জন্য ব্যাপারগুলো এরকম নয়। তার (মুমিন) জন্য আনন্দের কিছু ঘটলে সে আল্লাহর শোকর গুযারি করে, তাতে তার কল্যাণ সাধিত হয়। পক্ষান্তরে ক্ষতিকর কিছু ঘটলে সে ধৈর্য অবলম্বন করে। এটাও তার জন্য কলাণকরই প্রমাণিত হয়।"
[মুসলিম ২৭]

ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত।

রাসূল (সাঃ) বলেন:
“দুনিয়াতে অপরিচিত অথবা ভ্রমণকারী মুসাফিরের মত হয়ে যাও। সন্ধ্যা বেলা যখন তোমার সাধ্য হবে, তখন সকালের অপেক্ষা করো না। আর সকাল আসলে সন্ধ্যার অপেক্ষা করো না।
অসুস্থতার পূর্বে সূস্থতার মূল্য অনুধাবন কর; আর মৃত্যুর জন্য জীবিত অবস্থায় সংগ্রহ করে নাও।
[বুখারী: ৬৪১৬]

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা
:) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা) বলেছেনঃ
"নিদ্রা যাবার সময় তোমরা ঘরে আগুন জ্বালিয়ে রেখো না।"
[বুখারী ও মুসলিম

হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা) বলেনঃ

বান্দার প্রতিদিন ভোর হওয়া মাত্রই দুইজন ফিরিস্তা অবতীর্ন হন।
তাদের একজন বলেন, "হে আল্লাহ! খরচকারীকে তার বিনিময় দান করুন।"
অপরজন বলেন, "হে আল্লাহ! কৃপণের ধন ধ্বংস করে দিন।"
[বুখারী]

আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ) বলেন

“যার আছরের সালাত ছুটে গেল তার যেন পরিবারবর্গ এবং ধন-সম্পদ সবই ধ্বংস হয়ে গেল।”
[বুখারী: ৫৫২]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ