শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১২

তিন মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে মারা গেছেন ৩৫ জন

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে দেশে গত তিন মাসে (জানুয়ারি থেকে মার্চ) ৩৫ ব্যক্তি মারা 


গেছেন। এর মধ্যে র‌্যাবের ‘ক্রসফায়ারে’ ১৯ জন, পুলিশের ‘ক্রসফায়ারে’ চারজন, র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের 


যৌথ ক্রসফায়ারে একজন, পুলিশের নির্যাতনে চার এবং পুলিশের গুলিতে সাতজন মারা গেছেন। 

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ত্রৈমাসিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য 



েওয়া হয়েছে। দেশের ১২টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে আসক এই সংখ্যাগত


 প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সময়ে দেশে ১৫১টি রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৩ জন 


মারা গেছেন। গণপিটুনিতে মারা গেছেন আরও ৩৮ জন। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত তিন মাসে দুজন সাংবাদিক (সাগর-রুনি দম্পতি) খুন হয়েছেন। আরও ৭৪ 



জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। এ ছাড়া সরকারদলীয় কর্মী, সরকারি কর্মকর্তা ও 


সন্ত্রাসীরা ৩৪ জন সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। 


এই সময়ে দেশে অপরাধের নতুন প্রবণতা ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। আসকের প্রতিবেদন 


অনুযায়ী, তিন মাসে নিখোঁজ হয়েছেন ১৩ জন ব্যক্তি। এঁদের মধ্যে দুজনের লাশ পাওয়া গেছে পরে। 


ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগেই 


তাঁদের তুলে নিয়েছিল বা আটক করেছিল। 


এ ছাড়া চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে কারা হেফাজতে মারা গেছেন ৩৪ জন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে 


শিক্ষকের হাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৮৮ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে 


একজন নির্যাতনের পর মারা গেছে ও একজন আত্মহত্যা করেছে। সালিস ও ফতোয়ার মাধ্যমে 


নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ছয়জন নারী। নির্যাতনের পর আত্মহত্যা করেছেন তিনজন। ২০১ জন 


নারী ধর্ষণের শিকার হন। তাদের মধ্যে ২৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। আর এসিড-সন্ত্রাসের শিকার 


হন ১৪ জন নারী, যৌতুকের জন্য হত্যা করা হয়েছে ৭৪ জন নারীকে। আর যৌতুককে কেন্দ্র করে 


নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৪৫ জন নারী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ