মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ, ২০১২

দখল হয়ে গেছে নদ!



কার্পাসডাঙ্গা ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে পূবে বা পশ্চিমে যে দিকেই তাকান দেখবেন সবুজ ধান আর ধান। মাঝ দিয়ে চিকন একটি নালা চলে গেছে। এটিই ভৈরব নদের স্বাক্ষী। এ টুকু মুছে গেইেল হারিয়ে যাবে ভৈরবের নাম। নদের দুই তীর দখল করে চলছে আবাদ।
ব্রিটিশ আমলে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ছিলো পানিপথ। এরপর রেলপথ। সেই সময় থেকে কলকাতার সাথে এ অঞ্চলের ব্যবসা বানিজ্য চুয়াডাঙ্গায় ভৈরব নদকে ঘিরে গড়ে উঠেছিলো। কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন শহর থেকে বড় বড় বজরা নৌকায় করে মালামাল আনা নেয়া করা হতো। নদটি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে পাশের জেলা মেহেরপুরের কাথুলি মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। নদটি চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার সুবলপুরে এসে মাথাভাঙ্গা নদীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এক সময়ের খরশ্রতা এই ভৈরব নদটি পর্যায় ক্রমে তার নাব্যতা হারিয়েছে দখলদারিদের কবলে পরে নাব্যতা হারানোর প্রকৃয়া আরও দ্র“ত হয়। মাটি ভরাট করে দখলের অংশগুলোতে আইল দিয়ে বিভক্ত করা হয়েছে। সেখানেই আবাদ করা হচ্ছে ধান, গমসহ বিভিন্ন ধরণের ফসল।
নাম প্রকামে অনেচ্ছুক কার্পাসডাঙ্গার বাসীন্দা জানান, নদটিতে যেমন পলি জমেছে তেমনি দখলদাররা মাটি দিয়ে ভরাট করে নদটির মৃত্যু ডেকে এনেছে। নদীর দুই ধারে যাদের জমি ছিলো তারতো দখল করেছে। এছাড়াও রজনৈতিক শক্তিতে যারা বালিয়ান তার এদের সাথে যুক্ত হয়েছে।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম এহতেশামূল হক জানান, নদটিকে রক্ষা করতে একাধিকাবার নোটিশ করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানাও করা হয়েছে। তারপরও দখলদারদের প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। দ্রুতই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ