দেশের প্রথম দিকের বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি চট্টগ্রামস্থ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম (ইউএসটিসি)। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে পাঁচটি অনুষদে প্রায় ২৫,০০ এর মত স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছে। সম্প্রতি প্রায় সকল অনুষদের ছাত্র-ছাত্রীরাই কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতির সাথে বাস্তবতার মিল না পেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের একটি প্রতিনিধি দলকে প্রায় ১ ঘন্টা যাবৎ আটকে রাখে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা। ব্যবসায় অনুষদ বিভাগের এক্সিকিউটিভ এমবিএ এর ছাত্রছাত্রীরা জানান, তাদের বই ও অন্যান্য শিক্ষাসামগ্রী কর্তৃপক্ষের দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়ার নাম নেই।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
অনুষদের ছাত্রছাত্রীরাও ইউএসটিসির ডি-ব্লকের ক্যাম্পাসের ফটকে ব্যানার
ঝুলিয়ে রাখে। তাদের দাবীগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল আইইবি এর সদস্যপদ,
ইন্টার্নশীপ চালু এবং প্রতি বিভাগে দক্ষ প্রফেসর নিয়োগ। বিশ্ববিদ্যালয়
মঞ্জুরি কমিশনের বিধি অনুযায়ী প্রতি অনুষদে একজন অধ্যাপক এবং সহকারী
অধ্যাপক এবং একাধিক সহযোগী অধ্যাপক সহ কমপক্ষে সাতজন প্রভাষক থাকা আবশ্যক,
যা এখানে নেই। এই অনুষদের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরই দাবী, ভালমানের শিক্ষক
নিয়োগ দিলেও সুযোগ সুবিধা অপ্রতুল হওয়ায় কোন শিক্ষকই এখানে থিতু হতে চান
না।
এছাড়া ইঞ্জিনিয়ার্স
ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের সদস্য না হওয়ায় পাশকরা শিক্ষার্থীরা নামের আগে
ইঞ্জিনিয়ার ব্যবহার করতে পারেন না। গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য
জাতীয় অধ্যাপক নুরুল ইসলাম ক্যাম্পাসে এসে সিন্ডিকেটের সাথে বৈঠক করে
ছাত্রছাত্রীদের দাবী দাওয়াগুলো মেনে নেওয়া হবে বলে জানান। কর্তৃপক্ষ জানান,
শিক্ষক নিয়োগের মত ইস্যুগুলো সময় সাপেক্ষ, তবে তারা এগুলো পূরণ করবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন