শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১২

ধর্মনিরপেক্ষতা : ভন্ডামীর পুরনো খসড়া!


ধর্মনিরপেক্ষতার মোড়কে নিজেকে ‘অসাম্প্রদায়িক’ প্রমানের চেষ্টা এক ধরনের হীনমন্যতা। নিজ ধর্ম পরিচয়ে সব ধর্মানুসারীই স্ব-স্ব ধর্ম পালন করবেন, এটা নাগরিক অধিকার। অথচ, ধর্মনিরপেক্ষতার ফাঁকা বুলি দিয়ে মানুষের ধর্ম বিশ্বাসের পথে কৌশলে পেরেক পুঁতে দিচ্ছে সাম্প্রদায়িক ভন্ডরা। ধর্মনিরপেক্ষতার মানে যদি সব ধর্মের সমান অধিকার হয়, তাহলে এ দেশের সংখ্যাগুরুর নিজস্ব বিশ্বাসের বিপরিতে রাষ্ট্র দাঁড়াবে কেনো? মুসলিমদের হিজাবে ভন্ডদের এতো চুলকানি কেনো? এটাই কী ধর্মনিরপেক্ষতার তরিকা!? তরিকাটা নতুন নয়, এটা পরিক্ষিত ও সাম্প্রদায়িক উস্কানির লক্ষ্যভেদী পুরনো কৌশল। এর জেরে কেবল ধর্ম পালনে বাঁধা ও ভন্ডামীর বৈধতা দেওয়াই সম্ভব... দু:খজনক হলেও এ কথা মিথ্যা নয়, দেশের অনেক গুনী-পন্ডিতরা (মতান্তরে- জ্ঞানপাপী) ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ উস্কানীতে শামিল হচ্ছেন। অনেক মনগড়া যুক্তির বয়ানও দিচ্ছেন। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ বোধ করি- একটা সুবিধাবাধী চরিত্রের সৃজনশীল(!) বহি:প্রকাশ। এ মতবাদকে ধর্মহীন বা ধর্মবিরোধী বলেও প্রচার করছেন অনেক মোল্লা-মৌলভী। আচ্ছা, যারা এ মতবাদের পক্ষে তারা কী তাদের পরিচয়পত্রে নিজ ধর্ম পরিচয় হিসেবে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটি ব্যবহার করেন??? আসলে এ সুযোগ তো নেই। পুরুষের পরিচিতিতে 'পুরুষ', নারীর পরিচিতিতে 'নারী', হিন্দুর পরিচিতিতে 'হিন্দু', মুসলিমের পরিচিতিতে 'মুসলিম' শব্দ ব্যবহার হচ্ছে-হবে, এখানো তো 'নিরপেক্ষ' কোনো শব্দ যুক্ত করার সুযোগ নেই। একজন মুসলিম তো ধর্মনিরপেক্ষের ব্যানার ছাড়াও অমুসলিমদের ধর্মের প্রতি সম্মান জানাতে পারে, তাদের অধিকারের পক্ষে দাঁড়াতে পারে। তাহলে কোনো এই ভন্ডামি, কোনো ধর্মনিরপেক্ষতার নামে অধিকারের বদলে বিভেদ বাড়ানো হচ্ছে?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ