ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির পথিকৃৎ ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবার স্কটল্যান্ডে তার দারিদ্য বিমোচন ও স্বনির্ভরতা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছেন। ইউরোপে এটা হবে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রথম শাখা।
চলতি গ্রীষ্মের শেষে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রথম ইউরোপীয় শাখা খোলার মধ্য দিয়ে ড. ইউনূস এই কার্যক্রম শুরু করছেন। শান্তিতে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ আশা করছেন, আগামী কয়েক মাসে এজন্য তিনি ১৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের তহবিল উত্তোলন করতে পারবেন।
গ্লাসগোসহ স্কটল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলের বেশকিছু অঞ্চলে দারিদ্র্য রয়েছে। গড় আয়ু জাতীয় পর্যায়ের চেয়ে নিচে। এমনকি এখানকার বেশকিছু পরিবার কয়েক প্রজন্ম ধরে কল্যাণ তহবিলের উপর নির্ভরশীল।
ড. ইউনূসের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি মডেলের অংশীদার এবং গ্লাসগো ক্যালিডনিয়ান ইউনিভার্সিটির সহকারী ভাইস-প্রিন্সিপাল কলিন ম্যাককালাম বলেছেন, ‘এই কর্মসূচি যদি এখানে কাজ করে তবে এটা পৃথিবীর যেকোনো জায়গাতেই কার্যকর করা যাবে।’
১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের দারিদ্যপীড়িত ৪২ গ্রামবাসীকে ২৭ ডলার ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে ড. ইউনূস তার গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করেন। বর্তমানে বিশ্বের ৪০টি দেশে প্রতিষ্ঠানটি তার কার্যক্রম বিস্তৃত করেছে। ঋণ দেওয়ার পরিমাণ প্রায় দুই হাজার কোটি ডলার। ২০০৮ সালে গ্রামীণ আমেরিকা কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত আট হাজার মানুষকে দুই কোটি চার লাখ ডলার ঋণ দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি সাধারণত নারীদের স্বনির্ভরতা অর্জনে সবচেয়ে বেশি ঋণ দিয়ে থাকে।
গ্লাসগোর ব্যবসায়িক পরিকল্পনা অনুসারে গ্রামীণ ব্যাংক আশা করছে, আগামী তিন বছরে তারা তিন মিলিয়ন পাউন্ডের একটি ফান্ড গঠন করতে পারবে। এর দায়িত্বে থাকবে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যবস্থাপকেরা।
ব্রিটেনের বিরোধীদল লেবার পার্টির আন্তর্জাতিক উন্নয়নের মুখপাত্র রুশনারা আলী উন্নয়নশীল দেশ থেকে আসা বিশেষজ্ঞদের তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য স্বাগত জানান।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুশনারা আলী গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘অন্য কোথাও এ কর্মসূচি সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়ে থাকলে তা আমাদের জন্য কোনো ক্ষতির কারণ হবে না।’
রুশনারা ও ম্যাকক্যালামের মতে, স্কটল্যান্ডের সহায়তা সংস্কৃতি গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করবে।
ম্যাকক্যলাম বলেন, ‘এখানে এটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে, কিন্তু আমরা তাদের নিরুৎসাহিত করব না। তবে আমরা যে প্রশ্নটি তুলব তা হলো, কেন এ কর্মসূচি ব্রিটেনে কাজ করবে না।’
গত সপ্তাহে ব্রিটেন সফরে এ কর্মসূচির সমর্থক এবং উল্লেখযোগ্য অর্থদাতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ড. ইউনূস বলেন, ‘ইউরোপের অন্য কোথাও এই মুহূর্তে কোনো শাখা স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রামীণের নেই।’
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নিজেরা কোনো পরিকল্পনা করি না। যেখানে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় সেখানেই আমরা যাই, সহায়তা করি। যেমন আমরা করেছি নিউইয়র্কে। তবে ঋণ দেওয়ার অর্থ আমরা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসি না।’
চলতি গ্রীষ্মের শেষে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রথম ইউরোপীয় শাখা খোলার মধ্য দিয়ে ড. ইউনূস এই কার্যক্রম শুরু করছেন। শান্তিতে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ আশা করছেন, আগামী কয়েক মাসে এজন্য তিনি ১৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের তহবিল উত্তোলন করতে পারবেন।
গ্লাসগোসহ স্কটল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলের বেশকিছু অঞ্চলে দারিদ্র্য রয়েছে। গড় আয়ু জাতীয় পর্যায়ের চেয়ে নিচে। এমনকি এখানকার বেশকিছু পরিবার কয়েক প্রজন্ম ধরে কল্যাণ তহবিলের উপর নির্ভরশীল।
ড. ইউনূসের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি মডেলের অংশীদার এবং গ্লাসগো ক্যালিডনিয়ান ইউনিভার্সিটির সহকারী ভাইস-প্রিন্সিপাল কলিন ম্যাককালাম বলেছেন, ‘এই কর্মসূচি যদি এখানে কাজ করে তবে এটা পৃথিবীর যেকোনো জায়গাতেই কার্যকর করা যাবে।’
১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের দারিদ্যপীড়িত ৪২ গ্রামবাসীকে ২৭ ডলার ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে ড. ইউনূস তার গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করেন। বর্তমানে বিশ্বের ৪০টি দেশে প্রতিষ্ঠানটি তার কার্যক্রম বিস্তৃত করেছে। ঋণ দেওয়ার পরিমাণ প্রায় দুই হাজার কোটি ডলার। ২০০৮ সালে গ্রামীণ আমেরিকা কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত আট হাজার মানুষকে দুই কোটি চার লাখ ডলার ঋণ দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি সাধারণত নারীদের স্বনির্ভরতা অর্জনে সবচেয়ে বেশি ঋণ দিয়ে থাকে।
গ্লাসগোর ব্যবসায়িক পরিকল্পনা অনুসারে গ্রামীণ ব্যাংক আশা করছে, আগামী তিন বছরে তারা তিন মিলিয়ন পাউন্ডের একটি ফান্ড গঠন করতে পারবে। এর দায়িত্বে থাকবে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যবস্থাপকেরা।
ব্রিটেনের বিরোধীদল লেবার পার্টির আন্তর্জাতিক উন্নয়নের মুখপাত্র রুশনারা আলী উন্নয়নশীল দেশ থেকে আসা বিশেষজ্ঞদের তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য স্বাগত জানান।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুশনারা আলী গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘অন্য কোথাও এ কর্মসূচি সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়ে থাকলে তা আমাদের জন্য কোনো ক্ষতির কারণ হবে না।’
রুশনারা ও ম্যাকক্যালামের মতে, স্কটল্যান্ডের সহায়তা সংস্কৃতি গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করবে।
ম্যাকক্যলাম বলেন, ‘এখানে এটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে, কিন্তু আমরা তাদের নিরুৎসাহিত করব না। তবে আমরা যে প্রশ্নটি তুলব তা হলো, কেন এ কর্মসূচি ব্রিটেনে কাজ করবে না।’
গত সপ্তাহে ব্রিটেন সফরে এ কর্মসূচির সমর্থক এবং উল্লেখযোগ্য অর্থদাতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ড. ইউনূস বলেন, ‘ইউরোপের অন্য কোথাও এই মুহূর্তে কোনো শাখা স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রামীণের নেই।’
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নিজেরা কোনো পরিকল্পনা করি না। যেখানে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় সেখানেই আমরা যাই, সহায়তা করি। যেমন আমরা করেছি নিউইয়র্কে। তবে ঋণ দেওয়ার অর্থ আমরা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসি না।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন