সংসদ ভবন থেকে: ২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নের প্রথম তিন মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
রোববার জাতীয় সংসদে ‘২০১২ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন’ উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
ওই প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ২ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। প্রথম প্রান্তিকে বৈদেশিক সূত্রের ব্যবহার প্রত্যাশার চেয়ে ১ হাজার ৪ কোটি টাকা কম হয়েছে। তিন মাসে বাজেটে ব্যয় হয়েছে ১৭ শতাংশ এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যয় হয়েছে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। এ সময়ে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে এবং গত বছরের তুলনায় আমদানি-রফতানির স্থিতি একই রকম রয়েছে।
গত অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় চলতি অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ২১ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি ছিল।
গত অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিকে গড় মুল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ, এ বছর তা দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৪১ শতাংশে। গত অর্থ বছরে প্রথম প্রান্তিকে গড় খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ, চলতি বছরে এই হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
গত অর্থ বছরে প্রথম তিন মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৪ শতাংশ, চলতি অর্থ বছরে তা দ্বিগুন হয়ে ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
অবশ্য অর্থমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ভারতে তুলনামূলক কম মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস এবং কৃষিখাতে সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা চলতি অর্থ বছরে মূল্যস্ফীতির সম্ভাব্য চাপ প্রশমনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সরকারি ব্যয় পরিস্থিতি ও বাজেট ঘাটতি:
অর্থমন্ত্রী জানান, ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৯০ কোটি টাকার ২০১১-১২ অর্থ বছরের বাজেট বাস্তবায়নের প্রথম তিন মাসে মোট সরকারি ব্যয় হয়েছে ২৭ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে অনুন্নয়ন ব্যয় ২৩ হাজার ৪৪ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যয় ৪ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। চলতি বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৪৬ হাজার কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থ বছরে বাজেট ঘাটতি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪৫ হাজার ২০৪ কোটি টাকা যা জিডিপির ৫ শতাংশ। প্রথম প্রান্তিকে বাজেট ঘাটতি হয়েছে ২ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক সূত্রের ব্যহার প্রত্যাশিত মাত্রার চেয়ে ১ হাজার ৪ কোটি টাকা কম।
রেমিটেন্স
অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। আগামীতেও রেমিটেন্স প্রবাহের এ ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হয়।
রিজার্ভ পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে
গত অর্থবছরের সেপ্টেম্বর শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। সরকার প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং সহজ শর্তে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে। এ ছাড়া আমদানি ব্যয়ও কমতে শুরু করেছে। এর ফলে বৈদেশিক লেনদেন পরিস্থিতির আরও উন্নতি ঘটবে, যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে একটি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় নিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য
রফতানির তুলনায় আমদানি ব্যয় বেশি হলেও চলতি হিসাবের ভারসাম্য (কারেন্ট একাউন্ট ব্যলান্স) সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। তবে নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি আমদানি এবং জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জ্বালানি তেলের আমদানি বৃদ্ধির ফলে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত হ্রাস পেতে পারে।
প্রতিবেদনে আশার কথা শুনিয়ে বলা হয়, অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতির ফলে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে, যা রপ্তানি বাড়াতে সহায়তা করবে এবং বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি কমাবে।
রোববার জাতীয় সংসদে ‘২০১২ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন’ উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
ওই প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ২ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। প্রথম প্রান্তিকে বৈদেশিক সূত্রের ব্যবহার প্রত্যাশার চেয়ে ১ হাজার ৪ কোটি টাকা কম হয়েছে। তিন মাসে বাজেটে ব্যয় হয়েছে ১৭ শতাংশ এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যয় হয়েছে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। এ সময়ে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে এবং গত বছরের তুলনায় আমদানি-রফতানির স্থিতি একই রকম রয়েছে।
গত অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় চলতি অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ২১ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি ছিল।
গত অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিকে গড় মুল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ, এ বছর তা দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৪১ শতাংশে। গত অর্থ বছরে প্রথম প্রান্তিকে গড় খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ, চলতি বছরে এই হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
গত অর্থ বছরে প্রথম তিন মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৪ শতাংশ, চলতি অর্থ বছরে তা দ্বিগুন হয়ে ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
অবশ্য অর্থমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ভারতে তুলনামূলক কম মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস এবং কৃষিখাতে সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা চলতি অর্থ বছরে মূল্যস্ফীতির সম্ভাব্য চাপ প্রশমনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সরকারি ব্যয় পরিস্থিতি ও বাজেট ঘাটতি:
অর্থমন্ত্রী জানান, ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৯০ কোটি টাকার ২০১১-১২ অর্থ বছরের বাজেট বাস্তবায়নের প্রথম তিন মাসে মোট সরকারি ব্যয় হয়েছে ২৭ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে অনুন্নয়ন ব্যয় ২৩ হাজার ৪৪ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যয় ৪ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। চলতি বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৪৬ হাজার কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থ বছরে বাজেট ঘাটতি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪৫ হাজার ২০৪ কোটি টাকা যা জিডিপির ৫ শতাংশ। প্রথম প্রান্তিকে বাজেট ঘাটতি হয়েছে ২ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক সূত্রের ব্যহার প্রত্যাশিত মাত্রার চেয়ে ১ হাজার ৪ কোটি টাকা কম।
রেমিটেন্স
অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। আগামীতেও রেমিটেন্স প্রবাহের এ ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হয়।
রিজার্ভ পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে
গত অর্থবছরের সেপ্টেম্বর শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। সরকার প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং সহজ শর্তে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে। এ ছাড়া আমদানি ব্যয়ও কমতে শুরু করেছে। এর ফলে বৈদেশিক লেনদেন পরিস্থিতির আরও উন্নতি ঘটবে, যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে একটি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় নিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য
রফতানির তুলনায় আমদানি ব্যয় বেশি হলেও চলতি হিসাবের ভারসাম্য (কারেন্ট একাউন্ট ব্যলান্স) সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। তবে নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি আমদানি এবং জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জ্বালানি তেলের আমদানি বৃদ্ধির ফলে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত হ্রাস পেতে পারে।
প্রতিবেদনে আশার কথা শুনিয়ে বলা হয়, অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতির ফলে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে, যা রপ্তানি বাড়াতে সহায়তা করবে এবং বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি কমাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন