শনিবার, ৩ মার্চ, ২০১২

সম্পাদকের অন্ত্যমিলে আলতার ছাপ



কোন কোন মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে

কবিতার স্মৃতি স্মরণে শশাঙ্ক ঝুলে থাকে মুখের ওপর
চৌকির ক্যাচ-কোঁচ ধ্বনি সাহিত্য শাশুড়ির ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয়;
বৌমা এখন না হয় স্নানটা সেরে নাও।

সম্পাদক স্বামীর ঘুমটা না আবার চটে যায়!

সেই আশঙ্কায় অক্ষরের পা টিপে টিপে
মেঝের কাগজে আলতার ছোপ রেখে
আগামী ভোরের অবর্তমান,
৩০ বছর অতীতে ছাপানো বই এর পুকুরে
মলাটের বর্তমান ঘাটলায় বসে দেখে
শোল মাছের মাত্র প্রসব করা লাল লাল পোনা গুলো
বসন্ত ঋতুর স্বপ্ন ঘোরে সময় সিঁড়ির ধাপে
চিহ্ন রেখে যাবার আপ্রাণ চেষ্টায় মশগুল হয়; কাব্য লিখতে।

পুকুর ঘাটের ওপারে লোলুপ শেয়ালের চোখ

নতুন শব্দ বৌকে দেখে; ডুব স্নান করতে
ভিজে কাপড়ে জড়ানো দেহের বাঁক দেখে
কাব্য-সম্ভার মহল্লার কিছু নব্য কবি,
ঘরে ভাত নেই- পরনে পিরান নেই-
যেন বনলতা সেন বাছে বিষাদ উকুন
সার্টিফিকেট আছে কাজ নেই
দেহের চিহ্নে ধর্ম আছে পালনের শরণ নেই,
নতুন কাব্য গ্রন্থ প্রকাশে ঋণ করে; কিন্তু
পাঠক বাড়ানোর কোন গরজ নেই,
বেন্মাদিত্য ঠাণ্ডা অহংকারের পদভারে
ধুলো ওড়ায় মেলার চত্বর
আর পাঠক যেন চলমান ঘিলু-হীন করোটি
খুঁজে পেতে হিমশিম প্রতিভার দ্যুতি
মিডিয়ার দৌলতে প্রসন্ন হয়তো হয়; কারো স্তুতি।

সাহিত্যের শাশুড়ি বলে

উঠে আসো শব্দ বৌ কেউ তোমায় দেখবে না; এখানে কেউ নেই।
শাশুড়ি হয়তো বলতে চেয়েছিলো
আমিও নেই
কেন না পুচ্ছ নাড়ানো নব্য কবির ছায়া হাসগুলো
আমার ভেজা কাপড় টেনে ধরতে বার বার শাড়ীতে ঠোকর দিচ্ছিলো
তবু সম্পাদক স্বামী বলে না তোমার শ্লীলতাহানি হয়েছে।

প্রকাশক ঝিনুক খোলের আড়ালে দেখে

আর ভুলে যায়
ঘাটের সিঁড়িতে হাস পালকের কাঁদা জমে- নির্লোভ শান্তি ত্যাগ,
মোড়ক উন্মোচনে স্বার্থপরতা ভাবায়- কতটা চন্দন ঘষা কপাল,
শাস্ত্র-তত্ত্ব বিনম্র মন্ত্রের মতো চাঁদের উদয় হয়- কঙ্কালসার কৌমুদী।

স্বামী তাকিয়ে দেখলো না

সদ্যস্নাত শব্দ বৌ এর প্রচ্ছদে আছে লাল টিপ শিরোনাম
কাজল কালো নেত্র অক্ষরের ঝকঝক
ছন্দ-মাত্রা-যতির কাঁচের চুরি
গ্রাফিক্স ডিজাইনে মেহেদি রাঙা হাত
অন্ত্যমিলে আলতার ছাপ।

আধো বোলে সম্পাদক স্বামী বলেন

খুলে ফেলো জামদানী, ব্লাউজ, অন্তর্বাস, পেটিকোট
আমি আবার ধর্ষক হবো
বসন্ত সন্তান জানে, কোন কোন বর্ষায় বন্যা হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ