রবিবার, ১৮ মার্চ, ২০১২

কি চমৎকার দেখা গেল বিএনপি সংসদে যোগ দিল ??

 
সংবিধানের ৬৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্পিকারের অনুমতে ছাড়া কোন সংসদ সদস্য যদি ৯০ কার্যদিবসের বেশী সংসদে অনুপস্থিত থাকে তাহলে তার সদস্যপদ চলে যাবার বিধান রয়েছে। সেই সাথে তাদের বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাগুলো রহিত হয়ে যায়। ৯ম জাতীয় সংসদে এ পর্যন্ত ২৮৪টি কার্যদিবসের মধ্যে বিরোধী দলের সদস্যরা ২৩৩ দিন অনুপস্থিত ছিলেন। আর বিএনপি চেয়ারপার্সন মাত্র ৬ কার্যদিবস সংসদে উপস্থিত ছিলেন। মাঝে মধ্যে সংসদে যোগ দিয়ে সদস্য পদ রক্ষা করেছেন বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা নেবার জন্য মাত্র। বর্তমানে বিরোধীদলীয় নেত্রীসহ বিএনপির বেশ কিছু সদস্য ৮৩ কার্যদিবস সংসদে অনুপস্থিত। একটি সূত্রে জানা যায় আগামী ২৭ মার্চের মধ্যে সংসদে যোগ না দিলে তাদের সদসস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে। আর এই জন্যই সদস্যপদ রক্ষার জন্য সদস্যদের চাপে বিএনপি সংসদে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নাল আবেদীন বলেছেন ৮টি ইস্যু নিয়ে তারা সংসদে যাচ্ছে। ইস্যুগুলো লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে তারা কি তাদের নিজেদের জন্য সংসদে যাচ্ছে নাকি জনগনের জন্য যাচ্ছে। তাদের ইস্যু গুলো হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পূনর্বহাল, নির্বাচন কমিশন পূনর্গঠন, যুদ্ধাপরাধ ইস্যু, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন একত্রীভূত করন, ভারতের সাথে দেশ বিরোধী চুক্তি, নেতা কর্মীদের উপর হামলা, আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ও দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি। তারা জনগনের অধিকার আদায়ে রাজপথ সহ সবজায়গায় আন্দোলন করছে? ইস্যুগুলোতে জনগনের কথা কতটুকু আছে তা পাঠকরাই বিচার করুন। জনগনের কথা বলতে বা দেশের কল্যাণের জন্য তারা সংসদে যাবার চিন্তা করত তাহলে এত দেরীতে কেন? আমি মনে করি ইস্যুগুলি হচ্ছে একটি সাজানো নাটক ছাড়া আর কিছুই নয়। তারা সংসদে যাবে খোড়া কিছু ইস্যু তুলবে এবং কিছু অভিযোগ তুলে আবার তারা সংসদ বয়কট করবে। পরে সংবাদ সম্মেলন করে বলবে সংসদে তাদের কথা বলতে দেওয়া হয়না বলে তারা সংসদ বর্জন করেছে। এগুলো হলো সবই বাহানা, আসল কথা হলো দেশ ও জাতির জন্য নয় তাদের নিজেদের সদস্য পদ রক্ষা করা ও বেতন ভাতার সুবিধা নেওয়ার জন্যই তারা সংসদে যাচ্ছে। আমার এ কথার সাথে দেশের প্রতিটি মানুষই একমত হবে বলে আশা করি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ