ছাত্রলীগের তাণ্ডব : পটুয়াখালীতে আড়াই কোটি টাকার টেন্ডার লটারি ভণ্ডুল

পটুয়াখালী জেলা পরিষদের ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার টেন্ডারের লটারি প্রক্রিয়া ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদের তাণ্ডবে ভণ্ডুল হয়ে গেছে। জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন ও সাধারণ ঠিকাদার এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলা পরিষদের ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার ১৮ গ্র“পের কাজের টেন্ডারের লটারির ধার্য দিন ছিল সোমবার। দুপুর ১২টার দিকে জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান মোশারেফ হোসেনের উপস্থিতিতে টেন্ডারের লটারি শুরু হয়। শুরু থেকেই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কতিপয় নেতাকর্মী লটারি বন্ধ করে তাদের মধ্যে কাজ ভাগ করে দেয়ার জন্য দাবি করে আসছিল, কিন্তু নবনিযুক্ত জেলা পরিষদের প্রশাসক তাতে কর্ণপাত না করে লটারির প্রক্রিয়া শুরু করেন। নয় গ্র“পের লটারি সম্পন্ন হওয়ার পর ছাত্রলীগের সুমন নামের এক কর্মী লটারির গুটি জোর করে হাতে নিয়ে তার নিজের নামে ১০ নম্বর কাজটি পেয়েছেন বলে ঘোষণা দিলে সাধারণ ঠিকাদারদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে টেন্ডারের লটারি প্রক্রিয়া ভণ্ডুল হয়ে যায়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে জেলা পরিষদের প্রশাসক লটারির প্রক্রিয়া বন্ধ ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের নবনিযুক্ত প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান মোশারেফ হোসেন বলেন, কতিপয় বহিরাগত যুবক টেন্ডারের লটারির প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্য এ সমস্যা সৃষ্টি করেছে। তবে নয় গ্র“পের লটারি সম্পন্ন হয়েছে, বাকি নয় গ্র“পের লটারি পরে করা হবে। এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রেজা বলেন, ওই টেন্ডারের সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ সম্পৃক্ত নেই বা ছিল না।