জাতীয় সংসদে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ বিল ২০১২ পাস হয়েছে। সর্বোচ্চ ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে এতে। পর্নোগ্রাফির সংজ্ঞা প্রসঙ্গে বিলে বলা হয়েছে, যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কোন অশ্লীল সংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি, নগ্ন বা অর্ধনগ্ন নৃত্য-যা চলচ্চিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল চিত্র, স্থির চিত্র, গ্রাফিকস বা অন্য কোন উপায়ে ধারণকৃত ও প্রদর্শনযোগ্য এবং যার কোন শৈল্পিক বা শিক্ষাগত মূল্য নেই। এছাড়া যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী অশ্লীল বই, সাময়িকী, ভাস্কর্য, কল্পমূর্তি, মূর্তি, কার্টুন বা লিফলেট বা এগুলোর নেগেটিভ বা সফট ভার্সনও পর্নোগ্রাফির আওতাভুক্ত হবে। বিলে বলা হয়েছে, পর্নোগ্রাফি উৎপাদন, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ, বহন, সরবরাহ, ক্রয়-বিক্রয় ও প্রদর্শন করা যাবে না (সূত্রঃ দৈনিক আমার দেশ, ২৯.০২.২০১২)। অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় যে, যাবতীয় অশ্লীল বিষয়গুলোকে পর্নোগ্রাফির অর্ন্তভূক্ত করা হলেও সমাজের যেসব বেহায়া-নিলজ্জ মহিলা বেপর্দা হয়ে ফিৎনা সৃষ্টি করে যাচ্ছে তাদের বেপর্দা-বেহায়াপনাকে পর্নোগ্রাফি হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। মূলত বেপর্দাই হচ্ছে ফিৎনার মূল এবং পর্নোগ্রাফি আইনের বিষয়গুলো হচ্ছে গৌণ। তাই আইনটি অনেকটা “মাথার ব্যাথায় শরীরে চিকিৎসা” করার মত হয়েছে। বাংলাদেশ ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ এবং রাষ্ট্রধর্ম হচ্ছে ইসলাম। মহান আল্লাহ পাক কুরআন শরীফ এর সূরা নূর, সূরা নিসা, সূরা নিসা, সূরা বাক্বার-তে পর্দা পালনের ব্যাপারে তাগিদ দেয়া হয়েছে। তাই বাংলাদেশ সরকার দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে বেপর্দাকে পর্নোগ্রাফি আইনে অর্ন্তভূক্ত করা এবং সারাদেশে পর্দা পালন বাধ্যতামুলক এই মর্মে আইন জারী করা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন