রবিবার, ১৮ মার্চ, ২০১২

ভোজ্য তেলের বাজার অস্থির

হঠাৎ করে বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম বাড়ার পেছনে কোন কারণও নেই। মূলত যোগানদাতারাই এর পেছনের কারসাজিতে সক্রিয়। রাজধানীর কাওরান বাজারের কিচেন মার্কেটের পাইকারি ভোজ্য তেলের ব্যবসায়ী সোনালী ট্রেডার্সের আবুল কাশেম জানান, কেন বাজার দরে হঠাৎ এমন হলো আমাদের জানা নেই। তবে যা জানি তা হচ্ছে আজকের দামটাও দুয়েক দিনের মধ্যে পরিবর্তন হবে। তবে কমবে না। আরও বাড়বে। পরিবেশক প্রতিষ্ঠান থেকে এমনটাই ইঙ্গিত দেয়ার কথা বলেন তিনি। গত দু’দিন ধরে দাম ‘হঠাৎ বাড়ায়’ বাজারজুড়ে রীতিমতো অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে। ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে লিটার প্রতি ৩ টাকা। অন্যদিকে মুরগির ডিমের প্রতি হালিতে ৪ টাকা। চিনির প্রতি কেজিতে ৪ টাকা। এবং মুরগির মাংসের কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। এছাড়া গরুর মাংসের ক্ষেত্রেও বেশি দাম নিতে দেখা গেছে। আবার একইভাবে সবজির দামও কম-বেশি বেড়েছে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকা। 
ব্যবসায়ীরা জানান, সপ্তাহখানেক আগে থেকেই পরিবেশক থেকে বলা হচ্ছিল ভোজ্য তেলের দাম বড়তে পারে। গত কয়েক দিন তারা তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। জানতে চাইলে বলা হচ্ছে- সঙ্কট। দাম বাড়বে। গতকাল সরবরাহ করা হলেও পরিমাণে ছিল একেবারেই সামান্য। গায়ের মূল্যে পাইকারি বাজারে ভোজ্য তেল কিনতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। বেড়েছে দাম। বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং খোলা সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে একই অবস্থা। ৮ লিটারের প্রতি কেজির গায়ের দাম ১০০৭ টাকা। ৫ লিটারের ৬৩৫, ২ লিটারের ২৫৮ এবং ১ লিটারের সয়াবিন তেলের গায়ের মূল্য ১২৯ টাকা। এখন পাইকারি বাজারে এ দামে ব্যবসায়ীদের তেল কিনে বাজারে চড়া দামে বিক্রি করছেন। কাওরান বাজারের পাইকার ব্যবসায়ী আল আমীন বলেন, যে ১ লিটারের সয়াবিন এখন ১২৯ টাকা বিক্রি হচ্ছে সেটিই আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ১৩৫ টাকায় পৌঁছতে পারে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে একেক দোকানে একেক রকম দাম হাঁকানো হচ্ছে। প্রতি ৫ লিটারের বোতলবদ্ধ সয়াবিন তেলের দাম নেয়া হচ্ছে ৬৪৫ টাকা। ২ লিটার ২৬৫ টাকা এবং ১ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতলের দাম নেয়া হচ্ছে ১৩৫ টাকা। পামওয়েল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১০৭ টাকায়। আর খোলা সয়াবিন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকা। বাজারে প্রতি হালি ডিম গতকাল বিক্রি হয়েছে ৩৪ টাকায়। তবে কোথাও কোথাও ৩৫ টাকাও নিয়েছেন কেউ কেউ। অন্যদিকে চিনির দরও বেড়েছে। প্রতিকেজি ৫৬ টাকার পরিবর্তে গতকাল থেকে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। সাধারণ ক্রেতাদের এ নিয়ে দর-কষাকষি করতে দেখা গেছে। নাজিম উদ্দিন নামের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী ক্রেতা কাওরান বাজারে এ প্রতিবেদককে বলেন, বাজারের মতিগতি বোঝা দায়। কখন কি হয় ধারণাও করা যায় না। সম্ভবত সরকারও জানে না যে বাজারে কি হয়। তা না হলে এতো তালগোল অবস্থায় পড়তে হতো না আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের। বাজারে খাসি ও ছাগলের মাংসের দাম একই রকম থাকলেও গুরুর মাংসের বেলায় ১০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজির দাম হাঁকানো হচ্ছে ২৮০ টাকা। মুরগির মধ্যে সাদা রঙের দেড়শ’ টাকার কমে বিক্রি হচ্ছে না। আর লাল রঙের মুরগির দাম নেয়া হচ্ছে ১৪০ টাকা। এছাড়া শাক সবজিসহ অন্যান্য কিছু পণ্যেরও দামও কিছুটা বেড়েছে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ