ব্যবসায়ীরা জানান, সপ্তাহখানেক আগে থেকেই পরিবেশক থেকে বলা হচ্ছিল ভোজ্য তেলের দাম বড়তে পারে। গত কয়েক দিন তারা তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। জানতে চাইলে বলা হচ্ছে- সঙ্কট। দাম বাড়বে। গতকাল সরবরাহ করা হলেও পরিমাণে ছিল একেবারেই সামান্য। গায়ের মূল্যে পাইকারি বাজারে ভোজ্য তেল কিনতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। বেড়েছে দাম। বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং খোলা সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে একই অবস্থা। ৮ লিটারের প্রতি কেজির গায়ের দাম ১০০৭ টাকা। ৫ লিটারের ৬৩৫, ২ লিটারের ২৫৮ এবং ১ লিটারের সয়াবিন তেলের গায়ের মূল্য ১২৯ টাকা। এখন পাইকারি বাজারে এ দামে ব্যবসায়ীদের তেল কিনে বাজারে চড়া দামে বিক্রি করছেন। কাওরান বাজারের পাইকার ব্যবসায়ী আল আমীন বলেন, যে ১ লিটারের সয়াবিন এখন ১২৯ টাকা বিক্রি হচ্ছে সেটিই আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ১৩৫ টাকায় পৌঁছতে পারে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে একেক দোকানে একেক রকম দাম হাঁকানো হচ্ছে। প্রতি ৫ লিটারের বোতলবদ্ধ সয়াবিন তেলের দাম নেয়া হচ্ছে ৬৪৫ টাকা। ২ লিটার ২৬৫ টাকা এবং ১ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতলের দাম নেয়া হচ্ছে ১৩৫ টাকা। পামওয়েল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১০৭ টাকায়। আর খোলা সয়াবিন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকা। বাজারে প্রতি হালি ডিম গতকাল বিক্রি হয়েছে ৩৪ টাকায়। তবে কোথাও কোথাও ৩৫ টাকাও নিয়েছেন কেউ কেউ। অন্যদিকে চিনির দরও বেড়েছে। প্রতিকেজি ৫৬ টাকার পরিবর্তে গতকাল থেকে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। সাধারণ ক্রেতাদের এ নিয়ে দর-কষাকষি করতে দেখা গেছে। নাজিম উদ্দিন নামের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী ক্রেতা কাওরান বাজারে এ প্রতিবেদককে বলেন, বাজারের মতিগতি বোঝা দায়। কখন কি হয় ধারণাও করা যায় না। সম্ভবত সরকারও জানে না যে বাজারে কি হয়। তা না হলে এতো তালগোল অবস্থায় পড়তে হতো না আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের। বাজারে খাসি ও ছাগলের মাংসের দাম একই রকম থাকলেও গুরুর মাংসের বেলায় ১০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজির দাম হাঁকানো হচ্ছে ২৮০ টাকা। মুরগির মধ্যে সাদা রঙের দেড়শ’ টাকার কমে বিক্রি হচ্ছে না। আর লাল রঙের মুরগির দাম নেয়া হচ্ছে ১৪০ টাকা। এছাড়া শাক সবজিসহ অন্যান্য কিছু পণ্যেরও দামও কিছুটা বেড়েছে।
রবিবার, ১৮ মার্চ, ২০১২
ভোজ্য তেলের বাজার অস্থির
ব্যবসায়ীরা জানান, সপ্তাহখানেক আগে থেকেই পরিবেশক থেকে বলা হচ্ছিল ভোজ্য তেলের দাম বড়তে পারে। গত কয়েক দিন তারা তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। জানতে চাইলে বলা হচ্ছে- সঙ্কট। দাম বাড়বে। গতকাল সরবরাহ করা হলেও পরিমাণে ছিল একেবারেই সামান্য। গায়ের মূল্যে পাইকারি বাজারে ভোজ্য তেল কিনতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। বেড়েছে দাম। বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং খোলা সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে একই অবস্থা। ৮ লিটারের প্রতি কেজির গায়ের দাম ১০০৭ টাকা। ৫ লিটারের ৬৩৫, ২ লিটারের ২৫৮ এবং ১ লিটারের সয়াবিন তেলের গায়ের মূল্য ১২৯ টাকা। এখন পাইকারি বাজারে এ দামে ব্যবসায়ীদের তেল কিনে বাজারে চড়া দামে বিক্রি করছেন। কাওরান বাজারের পাইকার ব্যবসায়ী আল আমীন বলেন, যে ১ লিটারের সয়াবিন এখন ১২৯ টাকা বিক্রি হচ্ছে সেটিই আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ১৩৫ টাকায় পৌঁছতে পারে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে একেক দোকানে একেক রকম দাম হাঁকানো হচ্ছে। প্রতি ৫ লিটারের বোতলবদ্ধ সয়াবিন তেলের দাম নেয়া হচ্ছে ৬৪৫ টাকা। ২ লিটার ২৬৫ টাকা এবং ১ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতলের দাম নেয়া হচ্ছে ১৩৫ টাকা। পামওয়েল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১০৭ টাকায়। আর খোলা সয়াবিন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকা। বাজারে প্রতি হালি ডিম গতকাল বিক্রি হয়েছে ৩৪ টাকায়। তবে কোথাও কোথাও ৩৫ টাকাও নিয়েছেন কেউ কেউ। অন্যদিকে চিনির দরও বেড়েছে। প্রতিকেজি ৫৬ টাকার পরিবর্তে গতকাল থেকে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। সাধারণ ক্রেতাদের এ নিয়ে দর-কষাকষি করতে দেখা গেছে। নাজিম উদ্দিন নামের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী ক্রেতা কাওরান বাজারে এ প্রতিবেদককে বলেন, বাজারের মতিগতি বোঝা দায়। কখন কি হয় ধারণাও করা যায় না। সম্ভবত সরকারও জানে না যে বাজারে কি হয়। তা না হলে এতো তালগোল অবস্থায় পড়তে হতো না আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের। বাজারে খাসি ও ছাগলের মাংসের দাম একই রকম থাকলেও গুরুর মাংসের বেলায় ১০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজির দাম হাঁকানো হচ্ছে ২৮০ টাকা। মুরগির মধ্যে সাদা রঙের দেড়শ’ টাকার কমে বিক্রি হচ্ছে না। আর লাল রঙের মুরগির দাম নেয়া হচ্ছে ১৪০ টাকা। এছাড়া শাক সবজিসহ অন্যান্য কিছু পণ্যেরও দামও কিছুটা বেড়েছে।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন