রবিবার, ১৮ মার্চ, ২০১২

ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমার সমঝোতা হবে সালিশে

ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ সালিশে নিষ্পত্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনি। গতকাল ঢাকায় নিযুক্ত নয়া ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ তার দপ্তরে সাক্ষাৎ করতে গেলে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি প্রসঙ্গে আলাপকাল তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়, হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনায় মন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে সালিশি প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে। বিষয়টির সুরাহা যথানিয়মে হবে বলে আশা তার। জাতিসংঘের সমুদ্র আইন বিষয়ক আদালত ইটলস-এ মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তির সফল পরিসমাপ্তি ঘটায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান ভারতের হাইকমিশনার। জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ রায়ে কেবল বাংলাদেশ উপকৃত হবে না- মিয়ানমারও হবে। এখন উভয় দেশই সমুদ্র সম্পদ কাজে লাগিয়ে তাদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করতে পারব। কিন্তু বিরোধের কারণে  দীর্ঘদিন ধরে এর ব্যবহার স্থগিত ছিল। মন্ত্রী আশা করেন রায়ের পর এখন উভয় দেশ তার উন্নতিতে  এ সম্পদ কাজে লাগাতে পারবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আলোচনার বিস্তারিত জানিয়ে বলা হয়, নয়া হাই কমিশনারকে স্বাগত জানিয়েছেন দীপুমনি। তারা উভয়ই দ্বিপক্ষীয় সমস্যাগুলোর সমাধান এবং দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সফর বিনিময়কালে নেয়া সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিস্তার পানি বণ্টন, ১৯৭৪ সালের স্থলসীমা চুক্তি অনুসমর্থনসহ বিভিন্ন বিষয়ের সমাধান দুই দেশের সহযোগিতামূলক সম্পর্কের স্বার্থে যত দ্রুত সম্ভব সমাধান হবে বলে আশা করেন দীপুমনি। এসব বিষয় যত দ্রুত সম্ভব সমাধানে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন হাই কমিশনার। মণিপুরে টিপাইমুখ বাঁধ, ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প এবং সীমান্তে বিএসএফ-এর বাংলাদেশী হত্যার মতো বিষয়গুলোর ‘স্পর্শকাতরতা’ নতুন হাই কমিশনার অনুধাবন করতে পারবেন বলেও আশা করে দীপুমনি বলেন, এসব বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের উদ্বেগ তার সরকারকে তিনি জানাবেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ