রবিবার, ১৮ মার্চ, ২০১২

ভারত চায় দ্বিপাক্ষিকভাবে সমুদ্রসীমার সমাধান

 মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ মামলার রায় বাংলাদেশের পক্ষে আসার পর ভারত আদালতের বাইরে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। গতকাল ঢাকায় নিযুক্ত নয়া হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তার সরকারের আগ্রহের কথা জানান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে হাইকমিশনার দ্বিপক্ষীয় আলোচনার ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, এটা সম্ভব।’ অপর এক প্রশ্নে তিনি মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের জয়ে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়। ২০০৯ সালের মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ভারতের সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তিতে নেদারল্যান্ডসের দি হেগে অবস্থিত স্থায়ী আরবিট্রেশন আদালতে ওই বছরের ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে নালিশ জানানো হয়। ভারতের বিপক্ষে ২০১১ সালের জুলাইয়ে দাবিনামা জমা দেয়া হয়। এ বছর নিজ দাবির পক্ষে তথ্য-উপাত্ত জমা দেবে ভারত। ২০১৪ সালে এ মামলার রায় ঘোষণার কথা রয়েছে। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাইকমিশনার বলেন, সুনির্দিষ্ট করে বলার মতো তেমন কিছু তার কাছে নেই। বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এটা আমার প্রথম সাক্ষাৎ। সব বিষয় নিয়েই তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সীমান্ত প্রটোকল সম্পর্কিত প্রশ্নেও তিনি একই জবাব দেন। বলেন, আমরা আমাদের আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় সব বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দীর্ঘ বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে খুব হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে কথা হয়েছে। আমি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণার তরফ থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে  ধন্যবাদ জানিয়েছি। দুই দেশের মধ্যের সম্পর্ককে খুবই চমৎকার বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চান বাংলাদেশের সঙ্গে সর্বোচ্চ ভাল সম্পর্ক বজায় রাখতে। বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করে অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে বলে আশা করেন হাইকমিশনার। হাইকমিশনার বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনার সব ইস্যুই আলোচনার  টেবিলে রয়েছে। বাংলাদেশ-ভারতের দুই ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর মধ্যে আলোচনার সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে। আমরা এই পরিবেশ বজায় রাখতে চাই। দীপু মনির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ঢাকায় ভারতের উপ-হাইকমিশনার সঞ্জয় ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ