শনিবার, ৩ মার্চ, ২০১২

প্রগতিশীল মনা পাগলা (১৮+)

আমি চুড়ান্ত রকমের প্রগতিশীল। গ্রামে আইসা তাদের অশিক্ষিত, বর্বরতা আমারে ভাবায়া তুললো তাই নিজ দায়িত্বে গ্রামের পোলাপানরে প্রগতিশীল বানানির চ্যালেঞ্জ নিলাম। যারা ঘুর ঘুর কইরা বেড়াইতো ক্রিকেট ফুটবলে শক্তি ক্ষয় করতো তাগো বুঝাইলাম হস্তমৈথুনে শক্তি অপচয় করো, শান্তি এবং শক্তি দুটাই লাভ করবা। পোলাপান নিজ দায়িত্বে আমার নবীত্ব গ্রহন করলো। সবাই মিল্যা একদিন বাজারের পাশে পতিত জমিখান দখল কইরা নাম দিয়া দিলাম প্রগতিশীল পাঠাগার। সিদ্ধির পাশাপাশি রসময় গুপ্ত আর নিজদের গুপ্তকেশ ফেলানোর চর্চাকেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্টিত হইলো। নওজোয়ানরা লাভ করলো সিদ্ধির সেই অপুর্ব স্বাদ আর আমি মিটি মিটি হাসি দিয়া তৃপ্তির ঢেঁকুর তুইলা ভাবলাম প্রগতিশীল হইতেছি। সমস্যা শুরু করলো অশিক্ষিত মসজিদের ইমাম স্কুলের শিক্ষক গোবিন্দ মশাই। আমিও ফতোয়া দিলাম, তোমাগো আল্লা খোদা বইলা কিচ্ছু নাই। হুদাই মাথা ফাটাইতেছো। অনেকে অসন্তুষ্ট হইলেও ভিন্নধর্মি আর যাদের কাছে এইডা অতি কষ্টের কাজ তারা আমারে পিথ চাপড়ায়া দিলো। বাড়লো আমার মুরিদ। দুইদিন পরে মেলা হইবো কইলাম মেলা করবা করো কিন্তু শিব নামক অচ্ছুতরে পুজা দিবার পারবানা এবার নাড়েরা খুশ হইলো। আর যাগো কাছে এটা একটা কষ্টের কাম তারাও খুশ হইলো। গ্রামে কাইজা বাধে বাধে আর্কি। আমি কইলাম সব বাদ দ্যান। তারপর থেইকা গ্রামটা নিস্প্রভ হইলেও আমি তৃপ্তির ঢেঁকুর তুইলা কইলাম আহ প্রগতিশিল হইতেছে দুইন্যা। আগে যহন কিষেন কাকা আর জমির চাচা একসাথে ঠাট্টা তামাশা কইরা গঞ্জে যাইতো অহন তারা একজন আরেকজনের ছায়াও মাড়াই না আমি খুশি তারাও খুশি মাঝে মাঝে আসে আমার কাছে বুদ্ধি পরামর্শ নিতে ক্যাম্নে মসজিদের পথ খুইড়া রাখন যাই ক্যাম্নে মন্দিরের মুর্তি হারায় ফেলন যায়। নিজেরে ধুমায়িত কইরা তাগো বুদ্ধি পরামর্শ দিতাম এম্নে এম্নে। আমার সাগরেদরা আমার মহানুভবতায় খুশি হইতো সেইসাথে সাহসের তারিফ ও করতো কারন গ্রামে আগে কেউ কখনো বড়দের সামনে ধুমপান করাতো দুরের কথা বইসাও থাকতো না। সম্মান দিয়া, সালাম কিংবা নমস্কার দিয়া চেয়ারখান আগায়া দিতো এহন তো আমিই রাজা ঐসব অর্ধ শিক্ষিত্রে সম্মান দেওনের টাইম কই। সাগরেদরা কম যায়না হেরাও শুরু করলো আমাগো অভ্যাস, কারে কেডা মানে সবাই রাজা। বাপ চাচা বইলা কোনো শব্দ নাই সব সমান। হেরাও মানুষ যদিও আগে আইছে তাতে কি হইছে আমরাও কম কিসে।

সেদিন দেহি রহিম চাচার মাইয়া লিপিরে লইয়া টানা হেচড়া করতেছে কয়েকটা সাগরেদ দিলাম রামধমক চইলা গেলো। এর পর নিজ দায়িত্বে হেরে হের বাপ-মার কাছে পৌঁছায়া দিলাম। হের বাপ-মা তো আমার মত প্রগতিশীল পোলারে পাইয়া যারপর্নাই খুশিতে ডগমগ। একরাশ অভিযোগ বেচারি লিপির নামে আমারে কইয়া কইলো কিছু উপদেশ টুপদেশ দিতে। আমি নির্ধিধায় দিয়া দিলাম উপদেশ নিরিবিলিতে। কিছুক্ষন পর একটানে বাহুল্য উড়না সরায়া কইলাম এইটা ক্যান রাখছো যদিও আমার দুইচোখ তারে পান করছিলো, আহ কি সুন্দর বক্ষ্য কি সুন্দর তনুঃ কি সুন্দর সরু কোমর। জ্বিব লকলক কইরা বাইর হইলেও সংযম করলাম, হেও অসস্তিতে পইড়া ঢাকতে চাইলো নিজেরে পুনরায় আমি কইলাম এইডা তোমার শরীর তোমার সম্পদ তোমার অধীকার। এরে লইয়া তুমি যা ইচ্ছা তাই কর্বা। কেডা কি কইলো তারজন্য এইরকম ভারবাহী বস্তু বহন কইরা তোমার সরু কোমরের বারোটা বাইয়ো না। হের আড়স্টতা একটু কমলে কইলো বাপ মায় বকবো। আমি কইলাম হু দ্যা হেল দিস বাপ মা। হেরা তোমারে লাভের আশায় লালন পালন কর্তাছে। এসব কিছুনা। তুমি চল্বা তোমার মত। কেডা কি কইলো তাতে কি আসে যায়, দুই দিনের দুনিয়া উপভোগ করো নাইলে পরে টের পাবা, কি হেলায় মিস করছো। ঐসব সতিত্ব পরীক্ষার চিন্তা বাদ দাও ঐটা ঐতিহাসিক আমলেই শুধু হইতো। যারে ভালো লাগবে দুইদন রাখবা তিনদিনের দিন ছাইড়া দিবা। কোনো স্যাক্রিফাইস নাই। স্যাক্রিফাইস শুধু একা করবা ক্যা? ঐসব ফালতু আবেগের স্থান নাই এই দুইন্যাই। বাপে একখান কইলে তুমি দশটা কইবা। বরে শাসনব করতে আইলে তারেও পিডাইবা কুনো মাপ নাই। হে রাগ করছে তাতে কি হইছে নিজেই চলবা নিজের মত। যদি বেশি সমস্যা দেখো তখন তারে ছাইড়া চইলা আবা। নয়া একখান খুজবা। এইসব মাপ কইরা দেওয়া দেয়ি খারাপ ট্রেন্ড সৃষ্টি করে। বয়ান দিতে দিতে কখন যে আমার হাত তার অলিগলিতে সাপের মত হিস হিস কইরা ঘুর ঘুর করছিলো নিজেই টের পাচ্ছিলাম না। হেও মজা পাইয়া চুপচাপ মজা নিলো।


প্রগতিশীলতা ভালই চলতাছিলো। আমার অনুসয়ারির সংখ্যা ক্রমেই বাড়তেছিলো। বাড়ারি কথা যেখানে কোনো বিধিনেষেধ নেই, যেখানে অন্যায় কর্তে গেলে ভাবতে বাধ্য করে না ধর্ম কি কয় মুরব্বীরা কি কয় সেখানে অনুসারী তো বাড়বে। আমাদের সিদ্ধির মাত্রাও বাড়তেও থাকলো। দুই একজন অনুসারী আবার ব্যপক প্রভাব বানায়া ফেললো। আমিও তৃপ্তির ঢেকুর তুলি। তারাও ফেলে। একদিন আমার বইন্ডা আইসা কইলো দাদা এবর্শন কই করন যায় তুমি নাকি জানো লিপি’দি কইলো। আমার মাথায় বাজ পড়লো কইলাম হারামজাদি এইডা কি কইলি?? হে কই ক্যান আমিও তো তোমার মত প্রগতিশীল হইছি। এইসব আলতু ফালতু বাচ্চা মানুশ করনের টাইম নাই। আমি কইলাম তোর এইডার জন্য কেডা দায়ী খালি একবার ক! হে নির্লিপ্তের মত কইলো একজন দায়ী নি?? তোমার সাগরেদই তো তিনচারজন। হেরাতো তোমার আমার খুব প্রিয়। মাথায় রক্ত চইড়া গেলো ছুটলাম ক্লাব ঘরে কইলাম কোন হারামজাদাক আমার বোনের এই সর্বনাশ করছস?? হেরা হাসে আর কয় ক্যান দাদা তুমিই তো শেখাইলা ক্যাম্নে প্রগতিশীল হইতে হয়। আমি কইলাম খুন করে ফেলপবো হারামজাদা। হেরা কয় তুমি তো পাগল হইয়া গেছো। এই কেডা আছস পাগলডারে বাইন্ধা রাখ। হে আমাগো প্রগতিশীলতার অন্তরায় হইবো।


আমার এখন স্থান গ্রামের নিরিবিলি পোড়াবাড়িতে মাঝে মাঝে খাবার আসে, মাঝে আসে না সেটা নিয়া কারোর মাথা ব্যাথা নাই। সবাই দূর দিয়া যায় আর কই ঐহানে প্রগতিশীল মনা পাগলা বান্ধা আছে কাছে যাস না কামড়ায়া দিবো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ