সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৩

সত্য প্রকাশে আপোসহীন; দেখুন আওয়ামীলীগে কত্ত রাজাকার!! পারলে এদের শাস্তি দেন।

যুদ্ধাপরাধের বিচার করবো” এই ঢোল বাজায়া খাচ্ছে আওয়ামীলীগ। “মুক্তিযুদ্ধ” শব্দটা হইলো তাদের ব্যবসার পণ্য। আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করি না। আমাদের কাছে ১৯৭১ সালের যুদ্ধ হলো “স্বাধীনতার যুদ্ধ।”
হাসিনা ও আওয়ামীলীগ যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়া কোনো চিৎকার করতে পারবে না, যতক্ষণ নিজের কেবিনেট, সংসদ ওদলের বিভিন্ন পদে যেসব রাজকার ও যুদ্ধাপরাধীরা আছে, তাদের আদালতে তুলবে। আগে নিজের ঘর সাফ করে, তারপর অন্যের দিকে তাকাবেন।

কয়েকজন হাল ক্ষমতাসীন রাজাকার/ যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা:

১. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। লেবার মিনিষ্টার। হাসিনার বিয়াই। ৭১ সালে তার বাড়িতেই পাকবাহিনীর ক্যাম্প ছিলো। মোশারফের বাবাছিলেন ফরিদপুরের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান।

২. স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের ৯ মাস ময়মনসিংহে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (জেনারেল) ছিলেন। পাকিস্তান রক্ষার জন্য রাজাকার বাহিনী নিয়োগ কর্তাছিলেন।

৩. এইচ এন আশিকুর রহমান। আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ। বর্তমানে রংপুর-৫ আসনের এমপি এবং অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধকালে আশিকুর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসাবে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা।

৪. সাজেদা চৌধুরী। সংসদ উপনেতা। শেখ হাসিনার ফুফু। পাকিস্তানের গেজেট করা রাজাকার। ৭/৮/১৯৭১ তারিখের পাকিস্তান সরকারের গেজেটবদ্ধ।

৫. এ ছাড়া ১৯৯৬ এর কেবিনেটে জামালপুরের নুরু রাজাকারকে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী বানিয়েছিলো হাসিনা।

এবার দেখুন বর্তমানে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে যাদের আটক করা হয়েছে। তাদের সাথে আওমীলীগের আচারন কী ছিল:

১. ১৯৭৪ সালে জামায়াতের নেতাশাহ আজিজকে নিয়ে শেখ মুজিব পাকিস্তানে গিয়েছিলেন ওআইসি সম্মেলনে।

২. ১৯৯৪-৯৬ সাল পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর প্রধান মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর সাথে এক টেবিলে বসে মিটিং, সিটিং ও বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন।

৩. প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জামায়াতের সমর্থন আদায়ের জন্য শেখ হাসিনা নিজে অধ্যাপক গোলাম আযমের কাছে দু’বার গেছেন। পায়ে ধরে সালাম করেছেন


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ