ভোলার তজুমদ্দিনে রাতের আধাঁরে ঘরে ডুকে ৭ম
শ্রেনীর এক ছাত্রীকে জোড় পূর্বক ধর্ষন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষিতার
পরিবার ধর্ষককে হাতে নাতে আটক করলেও এলাকার চাপে বিচার শালিসের নাম করে
অভিযুক্তকে থানায় না দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এব্যপারে ভিকটিমের পরিবার থানায়
লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত মামলা নেয়নি।
ভিকটিমের অভিযোগ করেন, উপজেলার চাঁদপুর
ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের কেয়ামূল্যাহ গ্রামের তার (লাইজু) (১৪) নানার সাথে
বসবাস করেন। সে মধ্য আড়ালিয়া আলিম মাদ্রাসায় ২০১২ সালে সপ্তম শ্রেণীতে
পড়লেও স্থানীয় বখাটেদের উৎপাতে এখন আর পড়েনা। ভিকটিমের নানা হারিচ আহম্মদ
পেশায় জেলে হওয়ায় বিভিন্ন সময় রাত করে বাসায় ফেরার সুযোগে একই গ্রামের
ফারুক মিস্ত্রীর ছেলে ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল ড্রাইভার রঞ্জু (২১) তাকে
বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করতো। গত ১৯ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১ টার দিকে রঞ্জু সিঁদ
কেটে ঘরে প্রবেশ করে ভিকটিমকে জোড় পূর্বক ধর্ষন করে। এরপর ভিকটিম ঘটনা
প্রকাশ করে দেয়ার কথা বললে রঞ্জু তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দেয়। এরপর ভয়ে
ভিকটিম বিষয়টি গোপন রাখে।
পরদিন ২০ অক্টোবর রঞ্জু একই ভাবে গভীর রাতে
ঘরে প্রবেশ করে আবারও ভিকটিমকে ধর্ষনের চেষ্টা করলে ভিকটিম ডাকচিৎকার দিলে
তার নানা হারিচ আহম্মদ এসে রঞ্জুকে হাতে নাতে আটক করে। পরে স্থানীয়রা
ভয়ভীতি দেখিয়ে রঞ্জুকে ছেড়ে দিতে বাধ্য করে। ভিকটিমের নানা হারিচ আহম্মদ
অভিযোগ করেন, গত ২০ অক্টোবর রাতে বাসায় এসে নাতনির চিৎকার শুনে ঘরে প্রবেশ
করে দেখে রঞ্জু তার নাতনিকে জোড় পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করছে। স্থানীয়রা
বিচার শালিস করবে বলে রঞ্জুকে ছাড়িয়ে নেয়। পরে নাতনির কাছে আগের দিন রাতে
জোড় পূর্বক ধর্ষনের ঘটনা শুনে সোমবার সন্ধ্যায় থানায় গিয়ে বিষয়টি অভিযোগ
করলে রাত সাড়ে ১১ টায় একটি লিখিত অভিযোগ রেখে পুলিশ তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
তিনি আরো অভিযোগ করেন পুলিশ তাকে কয়েক ঘন্টা থানায় বসিয়ে রেখেও কোন এজহার
নেয়নি। এজাহারের জন্য পুলিশ তার কাছে ৬-৭ হাজার টাকা দাবী করলে তিনি তা
দিতে না পারায় পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে ধর্ষনের ঘটনাকে পাশ কাটিয়ে শুধু
মাত্র শ্লীলতাহানির একটি অভিযোগ করতে পুলিশ তার কাছ থেকে ৭০০ টাকা নেয় বলে
তার অভিযোগ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন