রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৩

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মজিনার দিল্লি সফর, কূটনৈতিক মহলে বিস্ময়

mozinaবাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনার দিল্লিতে আলোচনা কূটনৈতিক মহলে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আনুষ্ঠানিক এসব বৈঠক নজিরবিহীন বলে মনে করছেন তারা। বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে মজিনার দিল্লি সফর কৌতূহলের পাশাপাশি নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির গতকাল বলেন, তৃতীয় কোনো দেশকে নিয়ে বিদেশী কূটনীতিকদের মধ্যে আলোচনা হয় না- এ কথা বলব না। তবে তা কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে থাকে। অর্থাৎ বাইরে প্রচার পায় না। কিন্তু এবার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দিল্লি সফর দেশের মিডিয়ায় বেশি প্রচার পেয়েছে। তাই এটি ভাবনারও বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা নিজেদের সমস্যাকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে গেছি যে বিদেশীরা তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনার সুযোগ পাচ্ছে। এটা দেশের ইমেজের জন্য সুখকর নয়। এই উপলব্ধিটা রাজনীতিকদের মধ্যে আসতে হবে।
চীনে নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত আশফাকুর রহমান বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে মজিনার আলোচনাকে ‘অস্বাভাবিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মজিনার দিল্লি সফরের ফলাফল নিয়ে গতকাল মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্রের সাথে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে নতুন করে কিছু জানানোর নেই বলে বলা হয়।
এর আগে রাষ্ট্রদূতের দিল্লি সফর সম্পর্কে মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে দিল্লিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের সাথে নিয়মিত আলোচনার অংশ হিসেবে রাষ্ট্রদূত মজিনা ভারত গেছেন। সেখানে তিনি ভারতের নাগরিক সমাজ ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বিস্তৃত সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবেন।
মজিনা গত শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং ও যুগ্মসচিব হর্ষ সিংলার সাথে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় করেন। এতে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন নিয়ে তাদের নীতি কোনো নির্দিষ্ট দলভিত্তিক নয়। ভারতে ক্ষমতাসীন সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে থাকে। তাই তাদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিষয়ে ভিন্ন মত প্রকাশ করা সম্ভব নয়। মার্কিন রাষ্ট্রদূতও এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন বলে জানা যায়।
এ দিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি এশিয়া-ইউরোপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দিতে ১১ নভেম্বর দিল্লি যাবেন। সম্মেলনের সাইডলাইনে তার সাথে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদের বৈঠক হতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ