শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৩

শেরপুরে যুবতী গণধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড়

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় এক যুবতী গণধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। ওই ঘটনায় মঞ্জু মিয়া (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার মূল নায়ক সুমন মিয়া সহ তার অন্য সহযোগীদের কাউকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পাশবিক নির্যাতনের ক্ষত নিয়ে নির্বাক-নিস্তেজ অবস্থায় ওই যুবতী শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ২৫ অক্টোবর শুক্রবার শেরপুর জেলা হাসপাতালে তার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত মঞ্জুকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বানুয়াকান্দা এলাকার ওই যুবতীর (২৭) সাথে মোবাইল ফোনে কথোপকথনের এক পর্যায়ে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ডাকড়াপাড়া গ্রামের আবেল মিয়ার ছেলে সুমনের (২৮) তার সম্পর্ক গড়ে উঠে। ওই সম্পর্কের সূত্রে সুমনের কথায় ওই যুবতী গত ২৩ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফুলপুর থেকে শেরপুর শহরের নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে চলে আসে। বাসস্ট্যান্ডে ওই যুবতীর জন্য বখাটে সুমন তার এক বন্ধুকে নিয়ে অপেক্ষায় থাকে। ওই যুবতী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছার পর রাত ৮ টার দিকে সিএনজিযোগে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীবরদীর ঝগড়ারচর বাজারে। সেখানে প্রায় এক ঘন্টা অবস্থানের পর রাত ৯ টার দিকে সুমন ওই যুবতীকে তার বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গ্রামের সরুপথে হাঁটতে থাকে। এক পর্যায়ে গ্রামের ধানক্ষেতে নিয়ে একই এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে শামীম (২০), মজিবরের পুত্র মঞ্জু মিয়া (২৩), মন্ডলের পুত্র আকতার (২০) সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন মিলে রাতভর ওই যুবতীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ওই অবস্থায় ধর্ষিতা যুবতী জ্ঞান হারালে লম্পট যুবকরা তাকে মৃত ভেবে ধান ক্ষেতে ফেলে চলে যায়। পরদিন সকালে এলাকাবাসী তাকে নিস্তেজ অবস্থায় উদ্ধার করে শ্রীবরদী থানায় পাঠায়। পরে পুলিশ তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয় শেরপুর জেলা হাসপাতালে।

এদিকে ওই ঘটনায় ধর্ষিতা যুবতীকে বাদী করে শ্রীবরদী থানায় পুলিশ একটি মামলা রেকর্ড করে। ওই মামলায় মঞ্জু মিয়া নামে এক লম্পটকে গ্রেপ্তার করা হলেও মূল নায়ক সুমন ও তার অন্য সহযোগিরা গা-ঢাকা দেয়। পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত মঞ্জুকে বৃহস্পতিবার বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বুলবুল আহম্মেদ ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুক্রবার থানা হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীবরদী থানার ওসি মোহাম্মদ আলী শেখ জানান, ইতোমধ্যে ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেপ্তারকত একজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।




পাতার শুরুতে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ