শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৩

পি.ডব্লিউ.ডি কুমিল্লা ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেনের দুর্নীতিচিত্র -৩

পি.ডব্লিউ.ডি কুমিল্লা ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেনের আওতায় থাকা ‘দরপত্র আহ্বান বিজ্ঞপ্তি’র নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করে কমিশন বাণিজ্য চালিয়ে  যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। টেন্ডার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে যা কিছু কৌশল করা দরকার তিনি তা করছেন এবং কোনো বাধা-বিপত্তি ছাড়াই লক্ষ্যেও পৌঁছে যাচ্ছেন। ধারাবাহিকভাবে অবৈধ টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে সরকারী  কোটি কোটি টাকা লোপাট করার এসব অভিযোগ প্রকাশিত প্রতিবেদনের আজ ৩য় পর্ব।

জানা গেছে, কুমিল্লা ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেনের দায়িত্বে কোনো ধরণের টেন্ডার নোটিশ আহ্বানের কাজ এলেই সেটিকে তিনি গোপনীয়তা বজায় রেখে নির্দিষ্ট ঠিকাদারের কাছে কমিশনের বিনিময়ে বিক্রি করে দেন। কখনো তিনি নির্দিষ্ট পত্রিকার  একটি পাতা নকল করেন, কখনো বা  টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি ছেপে পত্রিকা বাজারে যাবার আগেই গায়েব করে দেন। আবার কোনো পত্রিকার সাপ্লিমেন্ট পাতায় বিজ্ঞপ্তি থাকলেও সেই পাতাটি পত্রিকার সঙ্গে থাকছে না। অর্থাৎ, কোনো না কোনোভাবে ওই টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিটি লোক চক্ষুর আড়াল করে ফেলা হচ্ছে। ওই ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন এভাবেই একের পর এক টেন্ডার প্রক্রিয়া করে যাচ্ছেন। তার এসব অবৈধ কর্মকান্ড যেন দেখার কেউ নেই, তাকে কেউ কিছু বলবে বা তার বিচার করবে এমন কেউও বোধহয় নেই। এমনটিই মন্তব্য করলেন কিছু ঠিকাদার।

 জানা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের লট-১ ও লট-২ এর প্যাকেজের আওতায় লম্বা প্রস্তার-২০০সিট বিশিষ্ট মহিলা হোস্টেল নির্মাণ, ৬জন যাত্রী বা ১০০০ কেঃজিঃ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্য গুরুত্বপূর্ণ লিপ্টসমূহ ইত্যাদি কাজের জন্য একটি দরপত্র আহ্বান করা হয়। যার টেন্ডার প্যাকেজ নম্বর: T-01(E/M)2013-14. মেমো নম্বর: ১৩৫০, তারিখ: ২৪-০৭-২০১৩। টেন্ডারটি প্রকাশের সর্বশেষ তারিখ ৩০ জুলাই। টেন্ডার বিক্রয়ের শেষ তারিখ ১৮ আগস্ট অফিস চলাকালীন সময় উল্লেখ করা হয়। এছাড়া টেন্ডারটিি ক্লোজিং হয় ১৯ আগস্ট দুপুর ১২টায় এবং সেটি খোলার সময় দেয়া হয় ওই দিনই বেলা সাড়ে ১২টা। এসব অবৈধ কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে ঠিকাদারা বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে না গেলে এসব দুর্নীতি কোনো দিনই দেশ থেকে বিদায় নেবে না। কেউ কেই বলেন, এসব কাজের সাথে বর্তমান সরকারের উচ্চ মহলের বিশেষ ব্যাক্তিরা জড়িত থাকতে পারেন। তবে সুষ্ঠভাবে তদন্ত করলে সব কিছু বেরিয়ে আসবে বলেও তারা জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ