তক্ষক দেখতে অনেকটা গুইসাপের মত হলেও আকারে ছোট। তবে এর চোখগুলো লাল। এরা গাছের কুঠুরী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কল কারখানা, পুরাতন ভবন ও ঘরের অন্ধকার স্থানে বসবাস করে। বিষাক্ত ও ক্ষতিকারক পোকা মাকড় খেয়ে এসব প্রাণী জীবন ধারন করে থাকে। ঘরের আনাচেকানাচে এদের টোটট্যাং, টোটট্যাং ডাকের কারনে স্থানীয়ভাবে এ প্রাণী টোটট্যাং নামে পরিচিতি পায়।
সংশি¬ষ্ট সুত্রে জানা গেছে, গত বছর থেকে কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন বনাঞ্চল থেকে মানুষ এ প্রাণী ধরা শুরু করে। কিন্তু তখনও এর ব্যাপকতা বৃদ্ধি পায়নি। অধিক মূল্য পাওয়ার আশায় এক শ্রেণীর মানুষ ইদানিং ব্যাপক আকারে এ প্রাণী ধরতে থাকে। জীবিত একটি ৩শ’ গ্রামের চেয়ে বেশী ওজনের তক্ষক স্থানীয়ভাবে ৭ থেকে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যে কারনে মানুষ স্থানীয় বনাঞ্চল সহ অন্যান্য স্থান থেকে এ প্রাণী সংগ্রহে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে। একটি তক্ষক ধরতে গিয়ে একাধিক তক্ষক মারা পড়ছে। এতে তক্ষক বিলুপ্তির আশংকা করা হচ্ছে। চিৎমরমের স্থানীয় অধিবাসী জসিম জানায়, ”বেশ কিছুদিন ধরে কতিপয় লোকজন এলাকায় তক্ষক খুঁেজ বেড়াচ্ছে। একটি সিন্ডিকেট মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে তক্ষক সংগ্রহ করছে। তবে কি কারনে তক্ষক ধরছে এবং কোথায় নিচ্ছে তা তিনি জানেননা”। অপর এক সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম-কুমিল¬¬া হয়ে এসব প্রাণী ভারতে পাচার হচ্ছে। ভারত থেকে এগুলো চড়ামূল্যে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যৌন উত্তেজক ওসুধ তৈরির জন্য পাচার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে কাপ্তাই অঞ্চল থেকে ৪ থেকে ৫ হাজার তক্ষক পাচার হয়ে গেছে বলে সূত্র জানায়।
এ ব্যাপারে কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা আসাদুল¬াহর দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি জানান, ইতিমধ্যে কাপ্তাই, চন্দঘোনা সহ পার্বত্যাঞ্চলের বিভিন্নস্থানে তক্ষক সহ কিছু পাচারকারীদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের লোকজন বিভিন্নস্থানে তক্ষক পাচারকারীদের আটক করার জন্য সর্বদা সজাগ রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন