সারাদিন একটানা দুশ্চিন্তায় মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কোষসমূহে এক ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ জমা হয়। শুধু দুশ্চিন্তা নয়, নিত্যদিনের যে কাজগুলো মানুষকে করতে হয় তা সুন্দরভাবে সমাধা করতে বহু কিছু চিন্তা করতে হয়, সিদ্ধান্ত নিতে হয়। রাতের বেলায় সুনিদ্রার তাৎপর্য নিয়ে বহু গবেষণা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত এক গবেষণায় এবার নতুন একটি তথ্য উঠে এসেছে। বিখ্যাত ‘সায়েন্স’ জার্নালে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ঘুমের প্রধান যে কারণগুলো রয়েছে, তার মধ্যে ‘বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ প্রক্রিয়া’ অন্যতম। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমানোর সময় মানুষের মস্তিষ্কের কোষসমূহ সঙ্কুচিত হয়। এতে নিউরনসমূহের মধ্যে ফাঁকা স্থান তৈরি হয়, যার মধ্য দিয়ে মস্তিষ্কের কোষগুলোয় তরল পদার্থ প্রবাহিত হতে পারে। সারাদিন ধরে বিষাক্ত যতো বর্জ্য পদার্থ কোষগুলোতে জমা হয়, তা ধুয়ে পরিস্কার হয়ে যায় ঘুমের সময়। তবে, ধোয়ার এ প্রক্রিয়ায় বিষাক্ত কিছু প্রোটিন যদি থেকে যায়, তা পরবর্তীতে মস্তিষ্কের কোন সমস্যা হিসেবে দেখা দিতে পারে। এমনকি সেটা প্রাণঘাতী আকারও ধারণ করতে পারে। জঙ্গলে শিকারী ও হিংস্র জন্তুর হামলার আশঙ্কা সত্ত্বেও জীবজন্তুরা কেন ঘুমায়, এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে বিজ্ঞানীরা এ তথ্য পেয়েছেন। তারা আরও বলছেন, স্মৃতিশক্তি ও শেখার ক্ষমতাকে বাড়াতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে ঘুম। তাই প্রতি রাতে একটি সুনির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের জন্য ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম অপরিহার্য।
সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৩
মস্তিষ্কের বিষাক্ত পদার্থ পরিস্কার করে ঘুম
সারাদিন একটানা দুশ্চিন্তায় মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কোষসমূহে এক ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ জমা হয়। শুধু দুশ্চিন্তা নয়, নিত্যদিনের যে কাজগুলো মানুষকে করতে হয় তা সুন্দরভাবে সমাধা করতে বহু কিছু চিন্তা করতে হয়, সিদ্ধান্ত নিতে হয়। রাতের বেলায় সুনিদ্রার তাৎপর্য নিয়ে বহু গবেষণা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত এক গবেষণায় এবার নতুন একটি তথ্য উঠে এসেছে। বিখ্যাত ‘সায়েন্স’ জার্নালে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ঘুমের প্রধান যে কারণগুলো রয়েছে, তার মধ্যে ‘বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ প্রক্রিয়া’ অন্যতম। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমানোর সময় মানুষের মস্তিষ্কের কোষসমূহ সঙ্কুচিত হয়। এতে নিউরনসমূহের মধ্যে ফাঁকা স্থান তৈরি হয়, যার মধ্য দিয়ে মস্তিষ্কের কোষগুলোয় তরল পদার্থ প্রবাহিত হতে পারে। সারাদিন ধরে বিষাক্ত যতো বর্জ্য পদার্থ কোষগুলোতে জমা হয়, তা ধুয়ে পরিস্কার হয়ে যায় ঘুমের সময়। তবে, ধোয়ার এ প্রক্রিয়ায় বিষাক্ত কিছু প্রোটিন যদি থেকে যায়, তা পরবর্তীতে মস্তিষ্কের কোন সমস্যা হিসেবে দেখা দিতে পারে। এমনকি সেটা প্রাণঘাতী আকারও ধারণ করতে পারে। জঙ্গলে শিকারী ও হিংস্র জন্তুর হামলার আশঙ্কা সত্ত্বেও জীবজন্তুরা কেন ঘুমায়, এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে বিজ্ঞানীরা এ তথ্য পেয়েছেন। তারা আরও বলছেন, স্মৃতিশক্তি ও শেখার ক্ষমতাকে বাড়াতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে ঘুম। তাই প্রতি রাতে একটি সুনির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের জন্য ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম অপরিহার্য।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন