রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০১১

এ সপ্তাহের খুতবা!! তোমরা মেয়েসন্তানের পিতাদের গালি দিও না, কারণ আমি ও মেয়ে সন্তানের পিতা(রসূল স. এর বাণী)

যারা পড়তে পারেন নি তাদের জন্যে-বিশেষ বিবেচনায় রিপোষ্ট(১ম পর্ব)
দেশ বিদেশের সব ব্লগারদের জন্যে আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার সংস্করণ- আশা করি সবার ভালোলাগবে। :-P :(( :P
[su]না পড়লে যে আপনিও মিস করবেন!!! :D
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে পালিত হলো এ শুক্রবারের জুমার নামাজ। কাধে কাধ মিলিয়ে এক সাথে একই কাতারে সমবেত হন সব ধরণের পেশাজীবী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। সব বিভেদ ভুলে একসাথে জুমআর সালাতে পরম স্রষ্টায় সমর্পন করেন নিজেকে। নামাজের আগে খুতবায় দেশ ও জাতির সুষ্ঠু জাতিবোধ জাগ্রত করতে মসজিদে মসজিদে বিশেষ আলোচনা করেন ইমাম। ঢাকার স্থানীয় এক মসজিদে নারীর ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ধর্মীয় বিধিনিষেদ গুলো সুন্দরভাবে ব্যাখা করেন ইমাম।

নবীজীর এক হাদীসের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, তোমরা মেয়ে সন্তানের পিতাদের গালি দিও না, কারণ আমি ও মেয়ে সন্তানের পিতা। আর যে পিতা মেয়ে সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করবে ও এলম শিক্ষা দিবে; পরিণত বয়সে সত পাত্রে পাত্রস্থ করবে জান্নাতে সে পিতার অবস্থান হবে আমার পাশাপাশি। নবীজীর এ হাদীস থেকে স্পষ্ট ইসলাম কিভাবে আত্মিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা সবক্ষেত্রে মেয়েদেরকে স্বাধীনতা দিয়েছে।

যে সব পুরুষ নির্ধারিত মোহরানা আদায় করে না বিচার দিবসে তাদের অবস্থান হবে জিনা-কারীদের সাথে:

বিয়েতে মোহরানা সম্পর্কে তিনি বলেন, যে সব পুরুষ নির্ধারিত মোহরানা আদায় করে না বিচার দিবসে তাদের অবস্থান হবে জিনা-কারীদের সাথে। আর যেসব নারী স্বামীর সম্পদ বা ব্যাক্তিগত যে কোন গোপনীয়তা অন্যের নিকট প্রকাশ করবে; অন্যের সাথে পরচর্চা/গীবত করবে জাহান্নামে তাদের কঠিন শাস্তির প্রতি রসূল(স.)এর বিশেষ হাদিস তুলে ধরেন।

তিনি আরও বলেন, যে সব নারীর প্রতি তাদের স্বামী সন্তুষ্ট বা কোন কাজে মনোক্ষুন্ন নয় তারা জান্নাতি। যারা সালাত আদায় করবে; রোজা রাখবে ও ফরহেজগারীরর সাথে পরিবার এবং স্বামীর খেদমত করবে তারা জান্নাতের যেকোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ