সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০১১

তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইবনা কেন

প্রভু বলিলেন- বৎসে, তোমাকে আমি প্রবল ক্ষমতা প্রদান করিব-যদি জলকেলীতে আমার আস্থাভাজন থাক।
দাস বলিল-আমি আপনার থেকে কখনোই বিমুখ হইবনা, কারণ আপনিই আমার একমাত্র আরাধ্য।
প্রভু বলিলেন-তথাস্তু।

অতপর গঙ্গা-ভাগীরথী আর টিপাইমুখে অনেক জল গড়াইয়া গেল। কিন্তু জলকেলীর সুফল প্রভু একাই ভোগ করিতে লাগিলেন।

সম্প্রতি একটি ঐশী সংবাদ দাসদেশীয় কেউ কেউ জানিতে পারিয়াছে। উহাতে বলা আছে প্রভু আর কখনোই নিজের কথার মর্যাদা রাখিতে পারিবেন না। কারণ, প্রভুর ক্ষমতা কমিয়া গেছে। তার অধীনস্ত অনেক বড় বড় অধিপতিকে ক্ষমতা প্রদান করিতে করিতে তার কাছে আর ক্ষমতা অবশিষ্ট নাই। তিনি নেহায়েতই নিধিরাম সর্দার হইয়া বৃদ্ধাঙ্গুলি চুষিতেছেন। এ প্রসংগে দাসের দেশের জনৈক অবাধ্য কলামিস্ট মমতা নাম্নীয় অতি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন আমাত্যের প্রসংগ টানিয়া বলিলেন, তাহার ধমকেই বেচারা প্রভুর লুঙ্গি খুলিয়া যাইবার উপক্রম হইয়াছে এই প্রভু আমাদের এখনি পাল্টানো দরকার।

দেশের আপামর জনতার চাপে পড়িয়া দাস মহাশয়া কিছুদিন আগে প্রভুর সাথে একটা আপোষরফা করিতে বাধ্য হইয়াছিল। তাহাতে প্রভু বলিয়াছিলেন, তোমার দেশের কোন ক্ষতি হয় এমন জলকেলী আর কখনোই হইবেনা। কিন্তু এবারও দাসের দেশীয়রা হতাশ হইয়া লক্ষ্য করিল আপোষরফার শর্ত লংঘন করিয়া প্রভু আবার নতুন জলকলীর নকশা আঁকিয়াছেন।

আপোষরফায় ছিল উহাদিগকে না জানিয়ে আর এধরনের কেলী করা হবেনা। কিন্তু তাহারা জানিয়াছে এক মাস আগেই প্রভু নতুন করিয়া টিপাইমুখে জলকেলীর আয়োজন করিয়াছে। যাহা তাহারা জানেইনা। এমনকি দাস-প্রভু যৌথ সমীক্ষা বা এ জাতীয় কিছু না করিয়াই প্রভু তার চরম বিশ্বাসঘাতকতার পরিচয় দিয়াছেন।

আগের থেকেই অবাধ্য দাসদেশীয় প্রজাগণ বলিতে শুরু করিয়াছে, অন্য কোন প্রভুর কাছে এই ব্যাপারে আগে থেকে নালিশ না করে রাখার খেসারত এখন আমাদিগকে দিতে হবে। আমরা আর কখনোই জলের হিস্যা পাইবোনা। এমনকি হিসু করিবার পরও নয়।

তবু প্রভুর প্রতি দাস মহাশয়ার অবিচল আস্থায় সামান্যতম চিড় ধরেনি। তিনি প্রভুকে বলিলেন -তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইবনা কেন ? তুমি যতই আমাদের জলকেলীর অধীকার কাড়িয়া নেওনা কেন, আমি যতদিন তোমার কৃপায় উহাদের অধিপত্নি আছি, ততদিন তোমার প্রতি আমার আস্থায় কোন নড়নচড়ন হবেনা।

প্রভু বলিলেন-বৎসে তোমার আস্থাই আমার ভরসা। মনে রাখিও আমি না থাকিলে তোমার অস্তিত্ব মিথ্যা হইয়া যাবে।
---------------------------------
খবরে প্রকাশ: দাস দেশীয়রা তাদের অধিপত্নি পাল্টানোর মনস্থ করেছে। কিন্তু প্রভু মুচকি হাসিয়া তার আমাত্যদের বলিতে লাগিলেন এইটাকে পাল্টাইয়া যেইটাকেই তারা তাদের অধিপতি করুক না কেন মনে রাখিবা সবাই আমার প্রতি নতজানু হইয়া থাকিবে।

ব্রেকিং নিউজ: দাসদেশীয় কয়েকটি নরাধম ব্লগে, পত্রিকার পাতায় এবং টকশোতে প্রভুর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা প্রদর্শন করিতেছে বিধায় দাস মহাশয়া তাদেরকে ন্যাংটা করিয়া প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় দাঁড় করাইয়া রাখার নির্দেশ প্রদান করিয়াছেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের টিপাইমুখ বাঁধ ও জলবিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের যৌথ বিনিয়োগ চুক্তি স্থগিত করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) জনতার প্রত্যাশা নামের একটি সংগঠনের আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বরাক নদের ওপর টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ না করার বিষয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশের জন্য ক্ষতি হয় এমন কিছু ভারত করবে না। এমন আশ্বাস সত্ত্বেও টিপাইমুখে বাঁধ ও বিদ্যুেকন্দ্র যদি নির্মিত হয়, সেটি হবে দুর্ভাগ্যজনক। এ ধরনের চুক্তির আগে যৌথ সমীক্ষার প্রয়োজন ছিল। তাহলে কোনো সংশয় থাকত না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারত সরকারের কাছে আহ্বান, বাংলাদেশের জনমনে হতাশা সৃষ্টি হয় এবং ভারতবিরোধী রাজনীতিতে এ দেশের মানুষ উত্সাহিত হয়—এমন বিষয়ে যাতে তারা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নে স্পর্শকাতর চুক্তির বিষয়টি বাংলাদেশকে জানালে ভালো হতো।’ 
তিনি দাবি করেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ভারত সরকারের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। 
ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে আবারও সংসদে ফেরার আহ্বান জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ