বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১১

শীতে উৎকন্ঠা বাড়ছে ছিন্নমূল মানুষের

এসেছে শীতের আগমনী বার্তা। দিনের বেলা তেমনটা অনুভূত না হলেও রাতের বেলাতে বেশ শীত অনুভূত হয়। ফলে রাতে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সাধারণ পোশাকের সঙ্গে নিতে হচ্ছে অতিরিক্ত গরম কাপড়।

কিন্তু উৎকন্ঠা বাড়ছে নগরীর ছিন্নমূল মানুষগুলোর। যারা রাস্তায় রাত কাটান। ঘুমান ফুটপাতে। থাকেন বস্তিতে। অথবা জীবনের তাগিদে রাতে ব্যস্ত থাকতে হয়।

প্রতি বছর শীত আসলেই যেন তাদের কষ্টের শেষ থাকে না। তীব্র শীতের মধ্যে রাস্তায় ঘুমান এসব ছিন্নমূল মানুষগুলো। পত্র পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। কিন্তু ভাগ্যের কোনও পরিবর্তন হয় না এসব মানুষের।

এই সময়টাতে শীত একটু কম থাকলেও তাদের উৎকষ্টা বেড়ে যাচ্ছে। দিন যত যাবে। বাড়বে তাদের কষ্ট।

কারওয়ান বাজারে কথা হয় ছিন্নমূল মো. আব্দুল জলিল এর সঙ্গে। রাস্তায় ঘুমান। ঘুমাচ্ছিলেন একটি ব্যানার গাঁয়ে দিয়ে।

শীতে কষ্ট হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে বলেন, এহোন তো ঠান্ডা কুম (কম)। কয়দিন পর বুঝা যাবো ঠান্ডা কারে কয়।

রাতে কারওয়ান বাজারে মিনকীর কাজ করেন মো. ফজলু মিয়া বলেন, শীতে প্রচুর কষ্ট হয়। কিন্তু কি করা যাবে। কাজ না করলে তো আর পেটে ভাত যাবে না। তাই সব উপেক্ষা করেই কাজ করে যেতে হবে। তবে কাজ একটু কমই হয়।

রাজধানীতে জলিলের মতো ছিন্নমূল মানুষের সংখ্যা কম নয়। যারা রাস্তায় ঘুমান শীত আর ঝড় বৃষ্টি কে মাথায় নিয়ে। তাদের দেখার যেন কেউ নেই। প্রচ- শীতে দু’চারজন ধনাঢ্য ব্যক্তি তাদের জন্য এগিয়ে আসলেও তা সামান্য। তাই দরকার রাষ্ট্রীয় বড় উদ্যোগ।

এদিকে, বুধবার রাতে সরেজমিনে ঢাকার রাস্তা ঘুরে দেখা গেছে, যারাই রাতে বের হচ্ছেন তাদের গায়ে শীতের পোশাক। গাবতলী বাস টার্মিনালে রাজশাহী থেকে আসা জুয়েলের সঙ্গে কথা হয়। তার মতে, দিনে গরম কাপড় না পরতে হলেও রাতে পরতে হয়। তবে এখন হালকা ধরনের কাপড়ে চলে যাচ্ছে। ডিসেম্বরে সে সুযোগ আর থাকবে না।


Please share this with your friend and support them ... or you can join with us. Thanks to read this
Jasmin Akter Jui
Chittagong.

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ