বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১১

কাপ্তাই লেক সম্পর্কে জানার পর টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে বিরোধিতা করুন


আমরা অনেকেই জানিনা টিপাইমুখ বাঁধ কি ও কোথায়। এ নিয়ে বিরোধীতা করার আগে হাইড্রলিক পাওয়ার প্লান্ট ও আমাদের দেশের কাপ্তাই লেক সম্পর্কে ভাল ধারনা রাখা জরুরী।

কাপ্তাই লেক হওয়ার আগে কর্নফুলি ও হালদা নদী শুকিয়ে যেত। কিন্তু হাইড্রলিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কাপ্তাই লেক নির্মানের পর কাপ্তাই লেকে অতিরিক্ত পানি জমিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে।

শীত কালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সে পানি ছাড়া হয় বলে কর্নফুলি ও হালদাতে শীত কালেও পানি থাকে। আর বর্ষা কালে কাপ্তাই এ অতিরিক্ত পানি ধরে রাখার সুবিধার জন্য বর্ষা কালে এই দুই নদীর উপকুলের মানুষেরা বন্যা থেকে রক্ষা পায়।

টিপাইমুখ বাঁধ আমাদের সিমান্ত থেকে এক শত কিলোমিটার দূরে, উঁচু পাহাড়ি স্থানে ভারতের মাটিতে অবস্থিত। ফারাক্কার মত পানি সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই এখানে। এখানে কাপ্তাই এর মত নির্দিষ্ট পরিমান পানি জমিয়ে রাখা সম্ভব। নির্দিষ্ট পরিমান পানির বেশী পানি আটকিয়ে রাখা যাবে না। সেখান থেকে নির্দিষ্ট ফিডার দিয়ে পানি ছেড়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যই পানি জমিয়ে রাখবে।

বর্ষা ও শীত কালে বরাক, কুশিয়ারা নদীর সব পানি গড়িয়ে সমুদ্রে চলে যায়। বর্ষা কালে অতিরিক্ত পানি বন্যা সৃষ্টি করে আর শীত মৌসুমে বারাক, কুশিয়ারা, সুরমা প্রায় শুকিয়ে যায়।

ভারতীয়রা বর্ষা মৌশুমের পানি শীত মৌসুমের জন্য জমিয়ে রাখবে ও শীত কালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সে পানি ছাড়তে বাধ্য হবে। এতে সুরমা, কুশিয়ারা ও কর্নফুলিতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী পানি প্রবাহিত হবে। এটাই স্বাভাবিক।

চট্টগ্রামের মানুষকে প্রশ্ন করে জেনে নিন, কাপ্তাই লেক হওয়ার পর কর্নফুলি ও হালদা নদীর অববাহিকার মানুষের জন্য কোন উপকার হয়েছে কিনা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ