বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১১

খালেদার চিঠি ও হাসিনার বিদ্রুপ

হাসিবু বলেছেন, এখন পত্র লেখেন কেন? এটা যে প্রেম পত্র নয় তা হাসিবুও জানেন। বেগম গোলাপজানের চিঠি লেখাটাও দোষের হয়েছে। তিনি যে সাহস করে পত্র লিখেছেন সেটাই বা কম কিসে। তিনি দুই দুইবার ক্ষমতায় থাকা সত্তেও কাজের কাজতো কিছুই করতে পারেননি তো তাতে কি, ভারতে গেলে বাংলাদেশের সমস্ত সমস্যার কথা বলতে পর্যন্ত বেমালুম ভুলে যেতেন। ভাগ্যিস উনত্রিশ সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী হয়েছিলেন বলে আমাদের এ যাত্রায় রক্ষা। তিনি কি হাত পা গুটিয়ে বসে থাকবেন। আপনার না হয় দায় দায়িত্ববোধের প্রচন্ড অভাব, তাই বলে কি গোরাপজানের দায়িত্ববোধ থাকবে না। রাজাকার প্রেমিক ও পাকি পন্থিদের সামনে নিজেকে জাহির না করতে পারলে যে, ওনার মান থাকে না। এই হাসিনা নিম্নী মহিলাটির লজ্জা শরম হায়া কিচ্ছু নাই। দেশটাকে ভরতের করদরাজ্যে পরিনত করেও তার আস মিটে নাই। গতবার ফেনী পর্যন্ত ভারত বানিয়ে ছেড়েছিলেন। হিন্দু গন্ধযুক্ত নাপাক পানি আমদানি করে, সাঈদি ও মোজাহিদির মত ভন্ড ধর্ম ব্যাবসায়ীদের ধর্ম পালনে নানা ভাবে বাধার সৃষ্টি করেছিলেন। যা পরিশুদ্ধ করতে তাদের মতো চিহ্নিত রাজাকারদের তিনি মন্ত্রী বানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বলাৎকার করতেও দ্বীধা বোধ করেননি। ২০০১ সালে বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সাঈদির মত দেশে মডারেট ইসলাম কায়েম করার সার্থে পাঁচ বছর যে তান্ডব নৃত্য পরিবেশন করেছিলেন, সবাই তাতে অতিষ্ট হয়ে তাদের চিরতরে পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল। ক্ষমতায় আশার স্বপ্ন দেখাটা অন্যায় নয়, এটা বিএনপির গনতান্ত্রিক অধিকার। তবে এই সব চিঠিফিটি লিখে আর ক্ষমতায় ফিরে আসা যাবে বলে মনে হয় না। মানুষ এখন বেশ সচেতন। এসব ফালতু কথায় চিরে ভিজবে না। মমতা বহিন চোখ উল্টে দিতে এক সেকেন্ড সময় নেননি। ভারতীয়রা বাঙ্গালী কম দেশপ্রেমিক বেশী, আর আপনাদের মত ষ্টান্টবাজ নন। যদি সম্ভব হয় ভরতের কাছ থেকে কিছু শিখুন। অন্তত সার্থ রক্ষা করার কায়দাটা যা তারা বরাবর খুবই কৌশলে করে যাচ্ছে আর আমরা পড়ে পড়ে মার খাচ্ছি। চীনারা বা পাকিরা কোন কাজেই আসবে না, যদি নিজের রক্ষা নিজেরা করতে না পারি।

অতএব কথা না বাড়িয়ে দুজনে একত্রে বসে সমস্ত সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে আসুন। তাহলেই দেশ এগুবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ