বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১১

পথের দিশারী

বন্ধু !
‘দুঃখ-কষ্ট’ আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ
প্রিয় কোন পার্থিব সম্পদ ;
ও আমার সাত রাজার অমূল্য ধন
তুমি ইচ্ছে করলেই-
এই মূল্যবান সম্পদ অর্জন করতে পারো না,
আবার কখন তোমার সামনে সে আসবে ?
তা-ও বলতে পারো না।
অতএব,যদি কেউ আমাকে
সেই সম্পত্তি উইল করে দেয়,
অথবা আমাকে নিঃশেষে সমর্পন করে-
তবে আমি সৌভাগ্যবানই বটে।
যন্ত্রণাকে দূরে ঠেলে দেবার অভ্যাস
আমার মধ্যে বিন্দুমাত্রও নেই।
কেননা,ওই আমাকে শেখায়
কিভাবে বাঁচতে হয়, কিভাবে চলতে হয় !
ও আমার পথের দিশারী।
যে আমাকে দুঃখ দিতে কৃপণতা করে
তাকে আমি মনে রাখতে পারি না,
ও আমাকে স্বার্থপরতা,আত্মকেন্দ্রিকতা সম্পর্কে
প্রচন্ড অভিজ্ঞ করে তুলেছে !
কেউ আমাকে ঐসব বললে-
মোটেও আমার খারাপ লাগে না,
আমি যা-তাই তো বলে।
বন্ধু,আমি সূর্য হতে চাই ;
দেখো না, তার আলোতে মানুষ কত চঞ্চল,
আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে।
অথচ,কে জানে কত কষ্ট তার ?
জন্ম-জন্মান্তরে সে জ্বলেই যাচ্ছে,
কোন অবসর নেই-নেই ছুটি।
সেই অগ্নিকুন্ডলীকে ঘিরেই-
জরাজীর্ণ পৃথিবীর ছুটে চলা,
তবুও সে কাঁদে না !
কাঁদে ঐ সাগর,
ওর কান্নায় প্রায় ডুবে গেছে পৃথিবী !
আমার কলিজার একদম মাঝখানে
সামান্য একটু ফাঁকা জায়গা আছে,
দুঃখগুলো সে অংশ দখল করে ফেলেছে ;
কষ্ট বাড়ে কিন্তু জায়গা বাড়ে না।
চাপাচাপি করে থাকতে হয় বলে
গুঁড়ো কৃমির মত মাঝে মাঝেই
আমাকে সুড়সুড়ি দেয় ;
ঔষধে সাময়িক প্রশমন হলেও
সময় ও কালের ব্যবধানে মাথা চাড়া দেয়।
তাই কষ্ট নামের সেই সম্পদ
আমার চাই-ই-চাই !
বন্ধু !! ওই আমার সবচেয়ে আপন,
আমার কলিজা থেকে ওকে কেড়ে নিও না
ও আমার পরম-আত্মীয়। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ