আজকে যারা ঢাকায় বের হইছেন খেয়াল করলে দেখবেন হলুদ গেন্জি পড়া কিছু পাংকু পোলাপান ফুল বিক্রি করতেছে।
এরা জাগো ফাউন্ডেশন। একটা স্টুডেন্ট অরগানাইজেশন যারা এদিক সেদিক থেকে টাকা তুলে "সমাজের উন্নয়ন" করতে চায়। আসলে কাজের কাজ কতটুকু হয় তা জানি না, কিন্তু এদের পুরা-বাংলাদেশকে-দেখিয়ে করা এসব উন্নয়ন কতটুকু এফেক্টিভ সেটা একটা বড় প্রশ্ন!!
যাই হোক, কয়েকটা পয়েন্ট বলি।
১) আপনি এদের কখনও যাত্রাবাড়ী, মৌচাক, বাড্ডা, সায়দাবাদের মত খারাপ এরিয়াতে দেখবেন না। এদের সবসময় গুলশান-উত্তরা-বনানী-ধানমন্ডির সিগানালে দেখা যায়।
২) এরা সিগনালের পিচ্চিদের পার্কে ঘুরাতে নিয়ে যায় বিনিময়ে ওদের ফুল/পপকর্নগুলা নিজেরা বিক্রি করে। ওদের দাবী এভাবে নাকি সমাজকে "জাগানো" যায় এসব শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে। আমার মনে হয় না রাস্তায় এভাবে হলুদ গেন্জি পড়ে ফুল বেচলে আসলেই এই শিশুগুলার কষ্ট বুঝা যাবে!
৩) ফেসবুকে একজনের কমেন্ট: এক ভলেনটিয়ার আইসা বলে, ভাইয়া ডোনেট করছেন? পোলা কয়, এই ডোনেশনের টাকা কই যায়? ভলেন্টিয়ার কয়: তাতো জানি না!!
৪) আমি ধানমন্ডির মেট্রো প্লাজার সামনে একটা মিনি ট্রাক দেখলাম। ট্রাকের অর্ধেক প্যাকেট করা খাবার আর বাকি অর্ধেকের মত কোল্ড ড্রিংকস দিয়া ভর্তি। ট্রাকে ২ জন হলুদ গেন্জি দাড়ায় আছে। মনে হয় এগুলা ওদের দুপুরের লান্চ। এরকম লান্চ গাড়ি ঢাকায় আরো কয়েকটা থাকার কথা! আমি ভাবতেছিলাম, এত গুলা টাকায় হয়তো আরো ৫০ জন বাচ্চার একমাস চলে যেতো!!
৫) প্রতি ৭/৮ জন গ্রুপের সাথে একটা ডিএসএলআর ক্যামেরা ম্যান থাকে। যেই এক মেয়ে/ছেলে ফুল বেচতে যায় সেটা ক্যামেরা বন্দী করে রাখা হয়!!
৬) আরেকজনের ফেসবুক স্ট্যাটাস: Some girls in yellow came up to me and said they were selling flowers "for poverty" (in shaky Banglish). I told them that I don't support poverty! Learn Bangla, you English medium douche bags!
৭) ওদের নেক্সট প্ল্যান নাকি শহরগুলাকে হলুদ রং করা। হয়তো এভাবে পোভার্টী ড়িমুভ ক্ষরা যায়। কে জানে?!! আমি ভাই বাংলা মিডিয়ামের মূর্খ! এতকিছু বুঝি না!
৮) বেশিরভাগ মানুষ বলে এরা নাকি টাকা মারে। আমার এক ফ্রেন্ড এদের সাথে কাজ করছে কয়েক মাস। সে আইসা বলে, তোরা যেই টাকা দেস, সেটার একটা বিরাট অংশ আমাগো বোতলের পিছে যায়গা! আর বাকি কিছু অংশ (এটার পরিমানও কম না!!) দিয়া একটা ধুমধাম করে অনুষ্ঠান করি বাচ্চাদের নিয়া।
তবে ছেলেবুড়ো সবাই একমতে স্বীকার করবে জাগোর মেয়ে ভলেন্টিয়ার গুলা কিরকম জোস!! টিশার্ট আর টাইট জিন্স পড়া এসব ফর্সা চামড়ার মেয়াগুলা দেখলে মাথা নষ্ট হতে বাধ্য! কে জানে, হয়তো ফর্সা রং বেশি করে চান্দা তুলতে সহায়ক
কেনো ওরা এত টাকা পায়? কারন ওদের সাপোর্ট করে মার্কিন এমবেসি, পিতজা হাট, কেএফসি, এয়ারটেল, ট্রান্সকম, ওয়ান্ডারল্যান্ডের মত প্রতিষ্ঠানরা। হয়তো বনানীর সেই BMW বিজনেসম্যান ভালো উদ্দেশ্যেই টাকা দিতেছে। কিন্তু সেটা কি আদৌ সমাজের কারো উপকারে লাগতেছে? ২০০৭ থেকে চলা জাগো আসলেই কি পারছে অন্তত রাস্তার ছেলেগুলাকে স্কুলমুখী করতে??
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন