মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১১

চা শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা । স্থবির হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ টি এষ্টেট স্টাফ এসোসিয়েশনের কার্যক্রম


বাংলাদেশের চা বাগানের কর্মরত স্টাফদের একমাত্র ট্রেড ইউনিয়ন ‘বাংলাদেশ টি এষ্টেট স্টাফ স্টাফ এসোসিয়েশন’র নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন নির্বাচিত কমিটির সদস্যরা। গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় শহরের চৌমূহনাস্থ একুশে রেস্তোরায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া। মতবিনিময় সভায় নব-নির্বাচিত কমিটি উলেখ করে নির্বাচনের প্রায় ৬ মাস অতিবাহিত হলেও পরাজিত কমিটির নানাবিদ অসাংগঠনিক কর্মকান্ডের কারণে তারা সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। এদিকে রেজিষ্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন কর্তৃক দু’পরে মধ্যে সমঝোতার চুক্তি স্বার উক্ত বিষয়ে নিস্পত্তির ল্েয কোন পদপে গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে চা শিল্পাঞ্চলে এক অস্থিতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বাংলাদেশ টি এষ্টেট স্টাফ এসোসিয়েশনের নির্বাচিত সভাপতি ইকবাল চৌধরী এবং সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া তাদের বক্তব্যে উলেখ করেন, সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১৫ নং ধারার আলোকে নির্বাহী কমিটি কর্তৃক নির্বাচন উপ-পরিষদ গঠন করে গত ২ মে তারিখে মোট ১২ টি সার্কেলে একসঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সময় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্য কর্তৃক স্বারিত সদস্য তালিকা অনুযায়ী নির্বাচন পরিষদ একটি ভোটার তালিকা প্রনয়ন করেন। ভোটার তালিকা প্রস্তুত হওয়ার পর তাতে কোন সংযোজন ও বিয়োজনের জন্য নির্বাচন উপ-পরিষদ কর্তৃক গুহরোডস্থ কার্য্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শন করা হলেও নির্বাচন পূববর্তী সময়ে কোন ধরণের আপত্তি বা সংশোধন প্রস্তাব পাওয়া যায়নি। অথচ নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর পরাজিত সভাপতি পদপ্রার্থী মাহবুব রেজা নির্বাচনী ফলাফল, ভোটার তালিকা এবং নির্বাচনী পদ্ধতিকে বিতর্কিত দাবী করে হাইকোর্টে একটি রিট মামলা (মামলা নং- ৪২০২) দায়ের করেন, যা গত ২৩ মে তারিখে হাই কোর্ট কর্তৃক নিস্পত্তি হয়। হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উত্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি উপ-শ্রম পরিচালক এবং মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কর্তৃক তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচিত সভাপতি মো. ইকবাল চৌধুরীকে তার দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকার আদেশ দেয়া হয়। উপ-শ্রম পরিচালক ও জেলা প্রশাসকের তদন্ত প্রতিবেদনে মাহবুব রেজা কর্তৃক আনিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে উদ্বুত বিষয়টি সমঝোতার মাধ্যমে সমাধানের জন্য গত ১১ অক্টোবর তারিখে যুগ্ম শ্রম পরিচালক ও রেজিষ্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন চট্টগ্রাম বিভাগের সংশিষ্ট সকলকে অর্থাৎ নির্বাচিত ও পরাজিত উভয় পকে তার দপ্তরে তলব করেন। বিস্তারিত আলোচনায় রেজিষ্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন শুধুমাত্র সভাপতি পদের জন্য পুনরায় ভোট গণনার মাধ্যমে বিষয়টি নিস্পত্তির প্রস্তাব দেন। মো. জাকারিয়া বলেন, যদিও আইনগতভাবে হাইকোর্টের নির্দেশ ব্যতিত ভোট পুনঃগণনার কোন অবকাশ নাই তথাপি বৃহত্তর স্বার্থে নব-নির্বাচিত কমিটির সকলেই রেজিষ্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়নের এই প্রস্তাব মেনে নিয়ে সমঝোতা স্মারকে স্বার করেন। তিনি আরো উলেখ করেন, সংশিষ্ট বিষয়ে নির্বাচনে পরাজিত সাধারণ সম্পাদক মোছাদ্দেক মেলা মৌলভীবাজার জজ আদালতে একটি মামলা (মামলা নং- ৪৮) দায়ের করেন। এ ব্যাপারে রেজিষ্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন মোছাদ্দেক মেলাকে তার দায়েরকৃত মামলাসহ অন্যান্য অভিযোগ সমুহ প্রত্যাহার সাপেে বিষয়টি নিস্পত্তির প্রস্তাব আনলেও অদ্যাবধি তিনি তার মামলা প্রত্যাহার করেননি। ফলে রেজিষ্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন উক্ত বিষয়ে নিস্পত্তির ল্েয কোন পদপে গ্রহণ করতে পারছেন না। এদিকে বিগত ২ মে তারিখে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ টি এষ্টেট স্টাফ এসোসিশেনের নির্বাচন সর্বকালের সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এতে সন্দেহের অবকাশ নাই উলেখ করে মো. জাকারিয়া বলেন, নির্বাচিত কমিটি তাদের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনে কোন প্রতিবন্ধকতা আছে বলে তারা মনে করছেন না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ