মূল ঘটনা - ১৪ তারিখ রাত সাড়ে দশটায় ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের দেড়শজন কর্মী শহরের ৭০টির মতো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালিয়ে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মতো ক্ষতি করে।
ঘটনা - ১
চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ওছমান গনি পাটওয়ারীর সম্পর্কে ভাগিনা ছাত্রলীগের উঠতি নেতা জিলানী। চাপাতি নিয়ে পারফরমেন্স ভালো হওয়ায় তাকে সবাই বেশ সমীহ করে কিন্তু বেচারাকে কোন পদ দেওয়া হয়নি। তো এবার সে কলেজ কমিটিতে স্থানের চেস্টা চালায় কিন্তু যোগ্যতা না থাকায় পায়নি, পরে উপজেলা ও জেলা কমিটিতেও চেস্টা চালিয়ে সে হালে পানি পায় না। শেষ পর্যন্ত সে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়ার মত অযৌক্তিক আবদার করে। শেষ পর্যন্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও স্থান না পেয়ে সে এবং তার সমর্থকরা প্রায় ২কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। পুলিশ ছিলো শুধুমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী। ওদের হামলা থেকে হোটেল, ফার্মেসী, মিস্টির দোকান, এমনকি নিম্নআয়ের ফলের দোকানদারও রক্ষা পায়নি।
ঘটনা - ২
পরেরদিন পত্রিকাগুলো নিষ্ঠার সাথে প্রকৃত সংবাদ ছাপে। ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। ৩ ঘন্টা পুরো শহরের দোকান-পাট বন্ধ থাকে। যার ফলশ্রুতিতে শহর যুবলীগের জরুরী বৈঠক হয়। বৈঠকে যুবলীগের জেলা সভাপতি কালু ভূইয়া নিন্দা জানান এবং সুষ্ঠ তদন্তের দাবী জানান। তিনি সাথে এও বলেন শেখ মুজিবের আদর্শের সৈনিকেরা কখনো এ কাজ করতে পারে না। তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ছাত্রলীগ এর মধ্যে বহিরাগতদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেন। বক্তব্যের শেষে তিনি শহরের ব্যবসায়ীদের ভদ্র ভাষায় হুমকী দিয়ে বলেন "এ ঘটনা নিয়ে আর কোন কর্মসূচী না দিতে"। যদিও ততক্ষনে ব্যবসায়ীরা ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলো।
ঘটনা -৩
মডেল থানায় সকল ব্যবসায়ী এবং ব্যবসায়ী নেতৃবিন্দ এবং আওয়ামী রাজনীতিবিদদের বৈঠক। বৈঠকে প্রবীণ আওয়ামীনেতাদের দায়সারা শোক প্রকাশ এবং বজ্রকন্ঠে তদন্তের আশ্বাস। তারপরে যুবলীগ সভাপতি কালু ভূইয়ার যুগান্তকারী আবিস্কার যে এই হামলা ছাত্রলীগ করেনি করেছে ছাত্রদল ও শিবির। তাই তিনি এখন ছাত্রদল ও শিবিরের বিচারের দাবী জানাচ্ছেন।
পরের দিন উপরের মহল থেকে ঝারী খেয়ে সবগুলো পত্রিকার এই সংবাদ প্রকাশ যে ছাত্রলীগের মাঝে ছাত্রদল ও শিবিরের অনুপ্রবেশ ঘটেছে এবং এই হামলার জন্য ওরাই দায়ী। ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের কোন দোষই নেই।
আশা করা যায় চাঁদপুর পুলিশ আজকে থেকে ছাত্রদল ও শিবিরের পুলাপাইনদের দৌড়ের উপর রাখবে।
সবাই বলেন আওয়ামীলীগ জিন্দাবাদ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন