লাল সালাম এই মজলুম নেতা কে
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। দীর্ঘ কর্মময় জীবনে তিনি সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও সমাজ-রাষ্ট্রে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার কাজ করে গেছেন নিরলসভাবে; তিনি ছিলেন নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মুক্তির আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্রণী কিংবদন্তি। তিনি সামন্তবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে ছিলেন প্রতিবাদী। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের আন্দোলনে তার অবদান অবিস্মরণীয়। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা অনন্য।
মওলানা ভাসানী তার জীবনের বেশিরভাগ সময়ই টাঙ্গাইলের সন্তোষে কাটিয়েছেন। এখানে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এর অধীনে ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৯টি কারিগরি ও সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এসব প্রতিষ্ঠান এখনও রয়েছে, শুধু তার স্বপ্নের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়টিই নেই। তবে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ায় তার স্বপ্ন পূরণ হয়। সন্তোষ ট্রাস্টি বোর্ডের ১০৬ দশমিক ২৬ একর জমির ওপর এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত।
এই মহান নেতা ১৮৮০ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের শুরুতে মক্তবে শিক্ষা গ্রহণ করে মক্তবেই কিছুকাল শিক্ষকতা করেন। ১৯০৩ সালে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯১৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে খেলাফত ও অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নেন। এ সময়েই ১০ মাস কারাভোগ করেন তিনি।
কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নে ১৯২৯ সালে আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসানচরে প্রথম কৃষক সম্মেলন করেন। সেই থেকে তার নামের পেছনে ভাসানী শব্দ যুক্ত হয়। ১৯৩১ সালে টাঙ্গাইলের সন্তোষের কাগমারীতে, ১৯৩২ সালে সিরাজগঞ্জের কাওরাখোলায় এবং ১৯৩৩ সালে গাইবান্ধায় বিশাল কৃষক সম্মেলন করেন। ১৯৩৭ সালে কংগ্রেস ত্যাগ করে মুসলিম লীগে যোগ দেন। ১৯৪৪ সালে আসাম প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এ সময় পাকিস্তান আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য গ্রেফতার হন। ১৯৪৯-এর ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ গঠন করে এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন। ১৯৪৯-৫৭ সালে ভুখা মিছিলের নেতৃত্ব দেয়ার কারণে আবার তিনি গ্রেফতার হন।
১৯৫০ সালে সরকারি নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে অনশন ধর্মঘট করেন এবং মুক্তিলাভ করেন। বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকা জেলা বার লাইব্রেরি হলে তার সভাপতিত্বে এক সভায় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ গঠিত হয়। ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের জন্য পুনরায় গ্রেফতার হন। ১৯৫৬ সালে বাংলায় খাদ্যজনিত দুর্ভিক্ষ রোধে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকায় অনশন করেন। ১৯৫৭ সালের ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের কাগমারী সম্মেলনে ভাসানী পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তি বাতিলের দাবি জানান। তখনকার প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করলে ১৮ মার্চ (১৯৫৭) আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেন। একই বছর ২৫ জুলাই ঢাকার রূপমহল সিনেমা হলে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠন করে এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন। ১৯৫৮ সালে সামরিক আইন জারি করে জেনারেল আইয়ুব খান ক্ষমতায় এলে মওলানা ভাসানী গ্রেফতার হন। এ সময় বন্দি অবস্থায় ১৯৬২ সালে বন্যাদুর্গতদের সাহায্য, পাটের ন্যায্যমূল্য, মোহাজেরদের পুনর্বাসন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের দাবিতে অনশন ধর্মঘট করেন। ১৯৬৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর চীনের বিপ্লব দিবস উত্সবে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান মাও সেতুং ও সে দেশের প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাইয়ের আমন্ত্রণে চীন সফরে যান। ১৯৬৯ সালে আইয়ুববিরোধী গণআন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা কর্মসূচির প্রতি দৃঢ় সমর্থন দেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে শেখ মুজিবুর রহমানসহ এ মামলার সব আসামির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। ১৯৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তানের বন্যা সমস্যা সমাধানের দাবিতে সন্তোষে অনশন ধর্মঘট পালন করেন।
১৯৭০ সালের নভেম্বরে উপকূলীয় এলাকায় প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় হলে দুর্গত এলাকায় ত্রাণকাজে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালের ৪ ডিসেম্বর ঢাকার পল্টন ময়দানে এক জনসভায় ভাষণ দিয়ে স্বাধীন পূর্ব পাকিস্তান দাবি উত্থাপন করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত অসহযোগ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দেন। ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হন। এ সময় তিনি ভারতে ছিলেন। ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে একই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি সাপ্তাহিক ‘হক-কথা’ প্রকাশ করেন। মুজিব সরকারের ব্যাংক বীমা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ নীতি এবং ১৯৭২ সালে সংবিধানের প্রতি সমর্থন দেন। ১৯৭৩ সালে (১৫-২২ মে) খাদ্যের দাবিতে ঢাকায় অনশন ধর্মঘট পালন করেন। ১৯৭৪ সালের ৮ এপ্রিল হুকুমতে রাববানিয়া সমিতি গঠন করেন।
১৯৭৬ সালের ১৫ মে ফারাক্কা মিছিলের নেতৃত্ব দেন। একই বছরের ১ অক্টোবর তার নেতৃত্বে খোদাই খিদমতগার সংগঠন গঠিত হয়। ১৯৫৭ সালের ৯-১১ ফেব্রুয়ারি কাগমারীতে যে আফ্রো-এশিয়া সাংস্কৃতিক সম্মেলন হয়, তা তার জীবনের এক অমর কীর্তি। তার লেখা গ্রন্থ দেশের সমস্যা ও সমাধান (১৯৬২), মাও সেতুং-এর দেশে (১৯৬৩) ব্যাপক সমাদৃত হয়। তিনি ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। দীর্ঘ কর্মময় জীবনে তিনি সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও সমাজ-রাষ্ট্রে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার কাজ করে গেছেন নিরলসভাবে; তিনি ছিলেন নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মুক্তির আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্রণী কিংবদন্তি। তিনি সামন্তবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে ছিলেন প্রতিবাদী। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের আন্দোলনে তার অবদান অবিস্মরণীয়। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা অনন্য।
মওলানা ভাসানী তার জীবনের বেশিরভাগ সময়ই টাঙ্গাইলের সন্তোষে কাটিয়েছেন। এখানে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এর অধীনে ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৯টি কারিগরি ও সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এসব প্রতিষ্ঠান এখনও রয়েছে, শুধু তার স্বপ্নের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়টিই নেই। তবে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ায় তার স্বপ্ন পূরণ হয়। সন্তোষ ট্রাস্টি বোর্ডের ১০৬ দশমিক ২৬ একর জমির ওপর এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত।
এই মহান নেতা ১৮৮০ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের শুরুতে মক্তবে শিক্ষা গ্রহণ করে মক্তবেই কিছুকাল শিক্ষকতা করেন। ১৯০৩ সালে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯১৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে খেলাফত ও অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নেন। এ সময়েই ১০ মাস কারাভোগ করেন তিনি।
কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নে ১৯২৯ সালে আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসানচরে প্রথম কৃষক সম্মেলন করেন। সেই থেকে তার নামের পেছনে ভাসানী শব্দ যুক্ত হয়। ১৯৩১ সালে টাঙ্গাইলের সন্তোষের কাগমারীতে, ১৯৩২ সালে সিরাজগঞ্জের কাওরাখোলায় এবং ১৯৩৩ সালে গাইবান্ধায় বিশাল কৃষক সম্মেলন করেন। ১৯৩৭ সালে কংগ্রেস ত্যাগ করে মুসলিম লীগে যোগ দেন। ১৯৪৪ সালে আসাম প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এ সময় পাকিস্তান আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য গ্রেফতার হন। ১৯৪৯-এর ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ গঠন করে এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন। ১৯৪৯-৫৭ সালে ভুখা মিছিলের নেতৃত্ব দেয়ার কারণে আবার তিনি গ্রেফতার হন।
১৯৫০ সালে সরকারি নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে অনশন ধর্মঘট করেন এবং মুক্তিলাভ করেন। বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকা জেলা বার লাইব্রেরি হলে তার সভাপতিত্বে এক সভায় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ গঠিত হয়। ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের জন্য পুনরায় গ্রেফতার হন। ১৯৫৬ সালে বাংলায় খাদ্যজনিত দুর্ভিক্ষ রোধে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকায় অনশন করেন। ১৯৫৭ সালের ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের কাগমারী সম্মেলনে ভাসানী পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তি বাতিলের দাবি জানান। তখনকার প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করলে ১৮ মার্চ (১৯৫৭) আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেন। একই বছর ২৫ জুলাই ঢাকার রূপমহল সিনেমা হলে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠন করে এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন। ১৯৫৮ সালে সামরিক আইন জারি করে জেনারেল আইয়ুব খান ক্ষমতায় এলে মওলানা ভাসানী গ্রেফতার হন। এ সময় বন্দি অবস্থায় ১৯৬২ সালে বন্যাদুর্গতদের সাহায্য, পাটের ন্যায্যমূল্য, মোহাজেরদের পুনর্বাসন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের দাবিতে অনশন ধর্মঘট করেন। ১৯৬৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর চীনের বিপ্লব দিবস উত্সবে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান মাও সেতুং ও সে দেশের প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাইয়ের আমন্ত্রণে চীন সফরে যান। ১৯৬৯ সালে আইয়ুববিরোধী গণআন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা কর্মসূচির প্রতি দৃঢ় সমর্থন দেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে শেখ মুজিবুর রহমানসহ এ মামলার সব আসামির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। ১৯৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তানের বন্যা সমস্যা সমাধানের দাবিতে সন্তোষে অনশন ধর্মঘট পালন করেন।
১৯৭০ সালের নভেম্বরে উপকূলীয় এলাকায় প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় হলে দুর্গত এলাকায় ত্রাণকাজে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালের ৪ ডিসেম্বর ঢাকার পল্টন ময়দানে এক জনসভায় ভাষণ দিয়ে স্বাধীন পূর্ব পাকিস্তান দাবি উত্থাপন করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত অসহযোগ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দেন। ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হন। এ সময় তিনি ভারতে ছিলেন। ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে একই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি সাপ্তাহিক ‘হক-কথা’ প্রকাশ করেন। মুজিব সরকারের ব্যাংক বীমা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ নীতি এবং ১৯৭২ সালে সংবিধানের প্রতি সমর্থন দেন। ১৯৭৩ সালে (১৫-২২ মে) খাদ্যের দাবিতে ঢাকায় অনশন ধর্মঘট পালন করেন। ১৯৭৪ সালের ৮ এপ্রিল হুকুমতে রাববানিয়া সমিতি গঠন করেন।
১৯৭৬ সালের ১৫ মে ফারাক্কা মিছিলের নেতৃত্ব দেন। একই বছরের ১ অক্টোবর তার নেতৃত্বে খোদাই খিদমতগার সংগঠন গঠিত হয়। ১৯৫৭ সালের ৯-১১ ফেব্রুয়ারি কাগমারীতে যে আফ্রো-এশিয়া সাংস্কৃতিক সম্মেলন হয়, তা তার জীবনের এক অমর কীর্তি। তার লেখা গ্রন্থ দেশের সমস্যা ও সমাধান (১৯৬২), মাও সেতুং-এর দেশে (১৯৬৩) ব্যাপক সমাদৃত হয়। তিনি ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন