মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১১

লিবিয়া ফেরতদের জন্য সুসংবাদ

লিবিয়া ফেরত বাংলাদেশীদের জন্য সুসংবাদ। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠনের জন্য বাংলাদেশ থেকে যাওয়া পুরনো শ্রমিকদের আবারও ডাকা হচ্ছে। তাই সহসাই লিবিয়া ফেরতদের আবারও ওই দেশে যাওয়া শুরু হচ্ছে। বিষয়টি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরো এবং লিবিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস কঠোরভাবে মনিটরিং করছে। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে লিবিয়ার ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী বলেন, নতুন নিয়োগ নিয়ে লিবিয়ার মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি। এরই মধ্যে উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশের কোম্পানিগুলো চাইছে বাংলাদেশী শ্রমিকদের নতুন করে নিতে। তারা নিজেদের সুবিধার কথা চিন্তা করেই এমনটা করতে চাইছেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমদ বলেন, লিবিয়ার সব বিষয়ে তীক্ষ্ণভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয় ও বিএমইটি ছাড়াও লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস বিষয়টি নিয়ে সিরিয়াস। বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, তেল সমৃদ্ধ লিবিয়াতে কাজ করেন এমন একটি ইতালিয়ান কোম্পানি তাদের পুরনো ৩৮ জন শ্রমিককে ফেরত নিতে চাইছে। এ বিষয়ে দূতাবাসকে তারা অবহিত করেছে। ‘বোনাটটি’ নামের ওই কোম্পানিটি লিবিয়াতে অনেক দিন ধরে কাজ করছে। প্রথম সচিব (শ্রম) আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী বলেন, লিবিয়ার বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। তারা নিজ খরচায় বাংলাদেশী শ্রমিকদের নতুন করে কাজে নিতে চান। তাই নতুন করে কোন কোম্পানিতে শ্রমিক নেয়া হলে তারাই বিমান ভাড়া বহন করবে। এর আগে লিবিয়াতে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ৩৮ হাজার বাংলাদেশী দেশে ফিরে আসেন। এদের মধ্যে ডাক্তার, নার্স ও প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন। তাদেরও নতুন করে লিবিয়াতে যাওয়ার পথ সুগম হয়েছে। ওদিকে লিবিয়ার শ্রমবাজার দখলে নিতে বিভিন্ন দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। মিশর, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও তিউনেশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ শ্রম বাজার দখলের প্রতিযোগিতা করছে। ইতিমধ্যে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছে লিবিয়ার ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ