প্রথমেই এক্সিকিউটিভ এমবিএ। দেশের শীর্ষস্থানীয় বিজনেস স্কুল আইবিএ তথাকথিত এ ডিগ্রী মতান্তরে ডিপ্লোমাটা চালু করেছে বছর ৩/৪ আগে। এটা চালুর কানাঘুষা চলাকালীন আমি ছিলাম সেখানকার ছাত্র। দেয়ালে কান পেতে যা বুঝেছি তা হল-
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকরা সরকারী সুবিধাই পান। তাদের যোগ্যতাও সরকারী মাপকাঠিতে নির্নীত! এবং বলাবাহুল্য বিদ্যমান বাজারে তা নিতান্তই অপ্রতুল। রীতিমত খেয়ে না খেয়ে দিন পার করার অবস্থা। তো কি করা যায়? প্রাইভেটের খ্যাপ আর কনসালটেন্সীর ভিক্ষেতো সবসময় সমান জোটেনা। পার্মানেন্ট কিছু করা চাই!
পার্মানেন্ট ব্যবস্থাটা হল ২ সেকশন বিবিএ, দিনের এমবিএ, রাতের এমবিএ থাকার পরও 'বেসরকারী' ধাঁচে সেখানে আরেকটি ডিগ্রী চালু করা- এক্সিকিউটিভ এমবিএ। বিল্ডিং, জমি, চেয়ার টেবিল, লাইট, এসি, ফ্যান, বই, লাইব্রেরী ও সর্বোপরি ব্র্যান্ড ভ্যালু সবই সরকারী। শুধু ডিগ্রীটার 'টিউশন ফি' এর সাইজ 'বেসরকারী।' আর এ বেসরকারী টাকার কিছু রয়ালটি আইবিএকে দিয়ে বাকীটা 'টিচাররাই' ভাগ বাটোয়ারা!! আহা! কি আনন্দ আকাশে বাতাসে!! দখল করার কস্ট ছাড়াই রীতিমত জমিদারী!
এবার পার্থ্যকটা জানা যাক-
২ বছরের সাধারন এমবিএ:
চার্জ কমবেশী ৩০,০০০ টাকা
কোর্স: ২০ টি
সিট: ১৫০
গড় প্রার্থী: ৬০০০+
অভিজ্ঞতা: দরকার নেই
প্রার্থীদের ধরন: বুয়েট, অন্যান্য য়েট, ঢাবি, এগ্রি, আই ইউটি, এনএস ইউ, জাবি, চবির কিছু বিভাগ, মেডিক্যাল, মিলিটারী ইত্যাদি গ্র্যাজুয়েট। মোস্টলি ফ্রেশ
একাডেমিক স্টাইল: রিগুরাস - কন্টিনিউয়াস - দৌড়ের উপর
ছিটকে পড়ার হার: ২০%
পিছিয়ে পড়ার হার: ২০%
১৮ মাসের এক্সি এমবিএ:
চার্জ: ১৫০,০০০ টাকা
কোর্স: ১৫ টি
সিট: জানিনা
গড় প্রার্থী: জানিনা। তবে টাকার ভয়ে সিংহভাগ পা মাড়ানোর কথা না
অভিজ্ঞতা: ৩ বছর। বেকাররা প্যাডসর্বস্ব এনজিওর নাম চালিয়ে দিন!
প্রার্থীদের ধরন: বিয়ে, প্রমোশন নানান কারণে এমবিএ সনদ আবশ্যক। তবে লেখাপড়া করার টাইম নাই এমনরা।
একাডেমিক স্টাইল: শ্বশুরালয় বা মামাবাড়ী! চা নাস্তার ব্যবস্থাও আছে।
ছিটকে পড়া: শুনিনি
পিছিয়ে পড়া: বাড়তি টাকার ভয়ে.......নো।
তবে আইবিএ কুকর্মটি করেছে কমার্স ফ্যাকাল্টি থেকে নকল করে। সেখানে 'ইভিনিং এমবিএ' নামে হাস্যকর নামের একটি মাস্টার্স ডিগ্রী বা ডিপ্লোমা বেচা শুরু হয়েছে আরো ৩/৪ বছর আগ থেকে। এভিনিং এ পড়াশোনায় কারো আপত্তি নাই। কিন্তু তা ডিগ্রীর নামের প্রিফিক্স ক্যামনে হয়?? এ ব্যবসাটার মডেলও উপরেরটার মত।
দেখাদেখি পলিটিক্যাল সাইন্স, পরিসংখ্যানের মত 'ভাত' না পাওয়া বিভাগের পন্ডিৎরাও থেমে থাকেনি। সরকারী গাভীর ঘাস খাওয়ানোর দায়িত্ব 'জনগনের' হাতে দিয়ে ওনারা 'বালতি' 'সরিষার তৈল' হাতে 'দুধ দোহনে' লিপ্ত হুয়েছেন! বিচিত্র এ দেশ! সত্যি সেলুকাস!!
আর পোলাপাইনও 'ফাঁক তালে' টাকার বিনিময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ভেজাল সার্টিফিকেটের' জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে!! ব্যবসাটা জমেছে ভালো। দে মামু কল্কিতে এক টান!!!!
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকরা সরকারী সুবিধাই পান। তাদের যোগ্যতাও সরকারী মাপকাঠিতে নির্নীত! এবং বলাবাহুল্য বিদ্যমান বাজারে তা নিতান্তই অপ্রতুল। রীতিমত খেয়ে না খেয়ে দিন পার করার অবস্থা। তো কি করা যায়? প্রাইভেটের খ্যাপ আর কনসালটেন্সীর ভিক্ষেতো সবসময় সমান জোটেনা। পার্মানেন্ট কিছু করা চাই!
পার্মানেন্ট ব্যবস্থাটা হল ২ সেকশন বিবিএ, দিনের এমবিএ, রাতের এমবিএ থাকার পরও 'বেসরকারী' ধাঁচে সেখানে আরেকটি ডিগ্রী চালু করা- এক্সিকিউটিভ এমবিএ। বিল্ডিং, জমি, চেয়ার টেবিল, লাইট, এসি, ফ্যান, বই, লাইব্রেরী ও সর্বোপরি ব্র্যান্ড ভ্যালু সবই সরকারী। শুধু ডিগ্রীটার 'টিউশন ফি' এর সাইজ 'বেসরকারী।' আর এ বেসরকারী টাকার কিছু রয়ালটি আইবিএকে দিয়ে বাকীটা 'টিচাররাই' ভাগ বাটোয়ারা!! আহা! কি আনন্দ আকাশে বাতাসে!! দখল করার কস্ট ছাড়াই রীতিমত জমিদারী!
এবার পার্থ্যকটা জানা যাক-
২ বছরের সাধারন এমবিএ:
চার্জ কমবেশী ৩০,০০০ টাকা
কোর্স: ২০ টি
সিট: ১৫০
গড় প্রার্থী: ৬০০০+
অভিজ্ঞতা: দরকার নেই
প্রার্থীদের ধরন: বুয়েট, অন্যান্য য়েট, ঢাবি, এগ্রি, আই ইউটি, এনএস ইউ, জাবি, চবির কিছু বিভাগ, মেডিক্যাল, মিলিটারী ইত্যাদি গ্র্যাজুয়েট। মোস্টলি ফ্রেশ
একাডেমিক স্টাইল: রিগুরাস - কন্টিনিউয়াস - দৌড়ের উপর
ছিটকে পড়ার হার: ২০%
পিছিয়ে পড়ার হার: ২০%
১৮ মাসের এক্সি এমবিএ:
চার্জ: ১৫০,০০০ টাকা
কোর্স: ১৫ টি
সিট: জানিনা
গড় প্রার্থী: জানিনা। তবে টাকার ভয়ে সিংহভাগ পা মাড়ানোর কথা না
অভিজ্ঞতা: ৩ বছর। বেকাররা প্যাডসর্বস্ব এনজিওর নাম চালিয়ে দিন!
প্রার্থীদের ধরন: বিয়ে, প্রমোশন নানান কারণে এমবিএ সনদ আবশ্যক। তবে লেখাপড়া করার টাইম নাই এমনরা।
একাডেমিক স্টাইল: শ্বশুরালয় বা মামাবাড়ী! চা নাস্তার ব্যবস্থাও আছে।
ছিটকে পড়া: শুনিনি
পিছিয়ে পড়া: বাড়তি টাকার ভয়ে.......নো।
তবে আইবিএ কুকর্মটি করেছে কমার্স ফ্যাকাল্টি থেকে নকল করে। সেখানে 'ইভিনিং এমবিএ' নামে হাস্যকর নামের একটি মাস্টার্স ডিগ্রী বা ডিপ্লোমা বেচা শুরু হয়েছে আরো ৩/৪ বছর আগ থেকে। এভিনিং এ পড়াশোনায় কারো আপত্তি নাই। কিন্তু তা ডিগ্রীর নামের প্রিফিক্স ক্যামনে হয়?? এ ব্যবসাটার মডেলও উপরেরটার মত।
দেখাদেখি পলিটিক্যাল সাইন্স, পরিসংখ্যানের মত 'ভাত' না পাওয়া বিভাগের পন্ডিৎরাও থেমে থাকেনি। সরকারী গাভীর ঘাস খাওয়ানোর দায়িত্ব 'জনগনের' হাতে দিয়ে ওনারা 'বালতি' 'সরিষার তৈল' হাতে 'দুধ দোহনে' লিপ্ত হুয়েছেন! বিচিত্র এ দেশ! সত্যি সেলুকাস!!
আর পোলাপাইনও 'ফাঁক তালে' টাকার বিনিময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ভেজাল সার্টিফিকেটের' জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে!! ব্যবসাটা জমেছে ভালো। দে মামু কল্কিতে এক টান!!!!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন