মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০১১

গ্রাম থেকে বলছি

গ্রাম থেকে বলছি। তবে এই গ্রামে বিদ্যুত আছে। আমার সাথে আছে কম্পিউটার এবং নেট লাইন। আর কি চাই! 

কিছুক্ষন আগে গ্রামের বন্ধুদের সাথে অনেক ক্ষন চাদের আলো জ্যোৎস্না শরীরে মেখে আসলাম। এই গ্রামীন সৌন্দর্য্যের বর্ননা আমি আপনাদের দিতে পারব না। আমি নিশ্চিত পৃথিবীর কোন কি বোর্ড থেকে এই সৌন্দর্য্যের কথা লিখা যাবে না!

গ্রামীন পথে গাছ পাতার ফাকে ফাকে জ্যোৎস্না মাটিতে এসে লুটায় পড়ছে। আমার বন্ধুদের কথা শুন ছিলাম আর আমি গ্রামের ছবি দেখছিলাম। অসাধারন। তবে হালকা কুয়াশা আছে। দূরে চোখ গেলে একটা সীমা হয় বটে!

বন্ধুদের বললাম চল বড় ধান ক্ষেতের মাঠের দিকে যাই, ধান ক্ষেতের নাম - মগের পাথর। অনেক আগে নাকি এই পাথরের শেষ পান্তে মগেরা বাস করত। কাছে গিয়ে আমি অনেকটা অভিভুত। এই অনুভূতির কথা বলে বুঝাতে পারব না। কবি হলে, আজ কবিতা লিখে ফেলতাম। হা হা হা.।

কিছু পরে বন্ধুদের একজন বলল, নদীর পাড়ে যেতে। নদী আমাদের গ্রামে নেই, তিন চার গ্রাম পেরিয়ে একটা খালের মত (এটা এক সময় বড় ছিলো) আছে। ওরা আমাকে নিয়ে নদীর পথে বের হল। জোয়ারের সময়, নদীতে পানি ফুলে উঠেছে। জ্যোৎস্না উপচে পড়ছে সারা খালের পানিতে।

নদীর পাড়ের ছোট রাস্তার মোড়ে একটা চা দোকান খোলা দেখে সবাই মিলে চা বিস্কুট খেলাম। দোকানী টিভি দেখছিলেন। আমরা দোকানে গেলে তিনি উঠে আসলেন। গ্রামের প্রায় চা দোকানে টিভি দেখা যায়। বিষয় টা ভাল লাগে। 

 

বাড়ীতে এসে কম্পিউটার এবং টিভি নিয়ে বসলাম। মাঝে মাঝে কম্পিউটার, মাঝে মাঝে টিভি! ডিস লাইন আছে। তবুও কোন জানি বিটিভি দেখছি! একি গত কাল (ঈদের দিন থেকে) থেকে বিটিভি সরকারী এম পি রা মনে হয় দখল করে আছে! এমপিরা নানা অনুষ্ঠানে আসছেন দলে দলে। কেউ গান, কেউ লিপ মিলাচ্ছেন। তাদের স্ত্রীদেরো নিয়ে আসছেন! সাব্বাস। আমাদের বাকী থাকল, প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে নদীর পাড়ে নেচে গেয়ে গান শুনা! হয়ত শুনবো একদিন! জ্যোৎস্না রাতে।

আমি গ্রাম থেকে বলছি! কসম মিথ্যা বলছি না!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ