মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ‘বীর উত্তম’ খেতাব প্রাপ্ত বাংলাদেশের একমাত্র বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এখন “যুদ্ধাপরাধী”!!!
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমকে “যুদ্ধাপরাধী” হিসেবে সনাক্ত করে তাঁর বিচার দাবি করেছেন ‘বাসাইল-সখীপুর’ আসনের বর্তমান সাংসদ ও কৃষি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শওকত মোমেন শাহজাহান।
গতকাল বুধবার (১৬-১১-২০১১) টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার নলুয়া এয়ারফোর্স বাজারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও ফাঁসির দাবিতে আয়োজিত এক জনসভায় কৃষি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শওকত মোমেন শাহজাহান বলেছেন, ‘কাদের সিদ্দিকী একজন যুদ্ধাপরাধী। তাই তাঁর বিচার হওয়া উচিত।’
যাদবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
যুদ্ধাপরাধীর সংজ্ঞা দিতে গিয়ে টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের সাংসদ শওকত বলেন, ‘যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় লুণ্ঠন, ডাকাতি, ধর্ষণ ও মানুষ খুন করেছে তারাই যুদ্ধাপরাধী। যেহেতু কাদের সিদ্দিকী মুক্তিযুদ্ধের সময় টাঙ্গাইল সোনালী ব্যাংক থেকে ১৯ লাখ টাকা লুট করেছেন, ব্যাংকে রাখা ২০ কেজি স্বর্ণ ডাকাতি করেছেন, করটিয়া ও দেলদুয়ার জমিদার বাড়ি লুট করেছেন এবং যুদ্ধের সময় নিরপরাধ লোকজনকে হত্যা করেছেন, এ জন্য তিনিও একজন যুদ্ধাপরাধী। তাই তাঁর বিচার হওয়া উচিত।’
সূত্র: সাংসদ শওকতের দাবি, কাদের সিদ্দিকী ‘যুদ্ধাপরাধী’
মুক্তিযুদ্ধে বীর উত্তম খেতাব পাওয়া কাদের সিদ্দিকীকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়ায় সখীপুরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।।
এর আগে গত ০৯-০৭-২০১১ তারিখে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পালিমা বাসষ্ট্যান্ডে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত জনসভায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। সন্ধার দিকে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী পালিমা বাসষ্ট্যান্ডে পৌছলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী নেতাকর্মীরা তার গাড়ির গতি রোধ করে কাদের সিদ্দিকী কে উদ্দেশ্য করে ’কাদের সিদ্দিকী রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’ - সহ আপত্তিকর শ্লোগান দেয়।
যুদ্ধ চলাকালীন নিজেদের খরচের টাকা জোগার করতে তৎকালীন সরকারি ব্যাংক থেকে টাকা ‘লুট’ করার ঘটনা অনেক মুক্তিযোদ্ধারাই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন। তাঁরা তো বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কিছু করেননি, তাঁরা পাকিস্তানি শোষকদের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামের খরচ জোগাড় করার জন্যই এগুলো করেছেন।
আমার প্রশ্নঃ তাহলে কী তাঁরা সবাই “যুদ্ধাপরাধী”? আওয়ামী লীগ কী বলবে সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা কারা; তাদের কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধার সঠিক সংজ্ঞা পেতে পারি কী?
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমকে “যুদ্ধাপরাধী” হিসেবে সনাক্ত করে তাঁর বিচার দাবি করেছেন ‘বাসাইল-সখীপুর’ আসনের বর্তমান সাংসদ ও কৃষি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শওকত মোমেন শাহজাহান।
গতকাল বুধবার (১৬-১১-২০১১) টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার নলুয়া এয়ারফোর্স বাজারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও ফাঁসির দাবিতে আয়োজিত এক জনসভায় কৃষি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শওকত মোমেন শাহজাহান বলেছেন, ‘কাদের সিদ্দিকী একজন যুদ্ধাপরাধী। তাই তাঁর বিচার হওয়া উচিত।’
যাদবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
যুদ্ধাপরাধীর সংজ্ঞা দিতে গিয়ে টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের সাংসদ শওকত বলেন, ‘যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় লুণ্ঠন, ডাকাতি, ধর্ষণ ও মানুষ খুন করেছে তারাই যুদ্ধাপরাধী। যেহেতু কাদের সিদ্দিকী মুক্তিযুদ্ধের সময় টাঙ্গাইল সোনালী ব্যাংক থেকে ১৯ লাখ টাকা লুট করেছেন, ব্যাংকে রাখা ২০ কেজি স্বর্ণ ডাকাতি করেছেন, করটিয়া ও দেলদুয়ার জমিদার বাড়ি লুট করেছেন এবং যুদ্ধের সময় নিরপরাধ লোকজনকে হত্যা করেছেন, এ জন্য তিনিও একজন যুদ্ধাপরাধী। তাই তাঁর বিচার হওয়া উচিত।’
সূত্র: সাংসদ শওকতের দাবি, কাদের সিদ্দিকী ‘যুদ্ধাপরাধী’
মুক্তিযুদ্ধে বীর উত্তম খেতাব পাওয়া কাদের সিদ্দিকীকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়ায় সখীপুরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।।
এর আগে গত ০৯-০৭-২০১১ তারিখে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পালিমা বাসষ্ট্যান্ডে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত জনসভায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। সন্ধার দিকে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী পালিমা বাসষ্ট্যান্ডে পৌছলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী নেতাকর্মীরা তার গাড়ির গতি রোধ করে কাদের সিদ্দিকী কে উদ্দেশ্য করে ’কাদের সিদ্দিকী রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’ - সহ আপত্তিকর শ্লোগান দেয়।
যুদ্ধ চলাকালীন নিজেদের খরচের টাকা জোগার করতে তৎকালীন সরকারি ব্যাংক থেকে টাকা ‘লুট’ করার ঘটনা অনেক মুক্তিযোদ্ধারাই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন। তাঁরা তো বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কিছু করেননি, তাঁরা পাকিস্তানি শোষকদের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামের খরচ জোগাড় করার জন্যই এগুলো করেছেন।
আমার প্রশ্নঃ তাহলে কী তাঁরা সবাই “যুদ্ধাপরাধী”? আওয়ামী লীগ কী বলবে সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা কারা; তাদের কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধার সঠিক সংজ্ঞা পেতে পারি কী?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন