মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১১

কিভাবে আপনি ১০০% নিশ্চিত হবেন টাকা জাল না আসল!

জাল টাকা হাতে পাননি জীবনে এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম । আজ আমি এখানে জাল টাকা ধরা যায় এ রকম একটি সস্তা ইলেকট্রিক ডিভাইস নিয়ে কথা বলবো । আগের যে কোন সময়ের থেকে এখন জাল টাকার পরিমাণ বেশী । খুব সাবধান না হলে যে কেউ প্রতারণার স্বীকার হতে পারেন । বিশেষ করে ১০০০ টাকার নোট এখন অনেক বেশী পরিমাণে জাল হচ্ছে । মূলত আমাদের অসচেতনতা এবং অজ্ঞতার কারণেই জাল টাকা নির্ধারণ করতে পারি না । অনেক গুলো বিষয় আছে যা দ্বারা জাল টাকা ধরা যায় তবে ইলেকট্রিক ডিভাইস সবচেয়ে নির্ভুল এবং সহজ পদ্ধতি । আমি এখানে আপনি কিভাবে ইলেকট্রিক ডিভাইস ব্যবহার করে জাল টাকা নির্ধারণ করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করবো । প্রথমে আসুন আমরা জেনে নিই আমাদের টাকায় জাল টাকা নির্ধারণের জন্য কি কি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে ।
 
বাংলাদেশী নোটগুলোর সিকিউরিটি ব্যবস্থা –
০১. নোটগুলো অসমতল (আপনি হাত দিয়ে নাড়লে বুঝতে পারবেন) কারণ এগুলো সিনথেটেক ফাইবার মিশ্রিত কাগজে তৈরি করা হয় ।
০২. ১০০০ টাকার নোটে শেখ মুজিবের বাম পাশে ৪ মি.মি হলোগ্রাফিক সুতা আছে যা রং পরিবর্তনশীল । সরাসরি তাকালে সাদা এবং ৯০ ডিগ্রী অ্যাংগেলে কালো রং প্রদর্শন করবে
০৩. ১০০০ টাকার নোটের (অন্যান্য নোটেও) উপিরের ডান পাশে রং পরিবর্তনশীল টাকার সংখ্যা লেখা আছে (১০০০,৫০০…….)
০৪. শেখ মুজিবের ডানপাশে ঠিক নিচে দেখেবেন বর্ডারের মাঝে লুকানো অবস্থায় ১০০০ টাকা লেখা আছে ।

ডিভাইস কিভাবে আপনাকে সাহায্য করবে টাকা জাল না আসল –
মূলত আপনি সচেতন থাকলে হয়তো ডিভাইস বাদেও জাল টাকা ধরতে পারবেন তবে এটা সময়সাধ্য আর প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে বিষয়টা কঠিন হয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে । জাল টাকা ধরার জন্য বিভিন্ন রকম ইলেকট্রিক ডিভাইস আছে । এগুলোর দাম খুবই কম । আমি আপনাদের একটা ডিভাইসগুলো নিয়ে বেসিক একটা ধারণা দিচ্ছি ।
 

Counterfeit Detector Pen 
সাধারণত যারা জাল টাকা তৈরি করে এরা কাঠ দিয়ে তৈরি কাগজ ব্যবহার করে কিন্তু আসল টাকা তৈরি হয় সিনথেটিক ফাইবার মিশ্রিত কাগজ দিয়ে । Counterfeit Detector Pen এই বিষয়টা ফোকাস করে টাকা জাল না আসল এটা নির্ধারণ করে । Counterfeit Detector Pen এ ব্যবহার করা হয় iodine এবং starch নামক দুই ধরনের কেমিক্যালের মিশ্রণ যা সিনথেটিক ফাইবার কাগজে কোন রং পরিবর্তন করে না । ধরুন এ কলম দিয়ে আপনি ১০০০ টাকার নোটের ইপর লিখলেন কিন্ত এর ফলে টাকার কালারের কোন পরিবর্তন হবে না কারণ সিনথেটিক ফাইবার মিশ্রিত কাগজে এরা বিক্রিয়া করে না । কিন্ত আপনি যখন জাল টাকায় যেগুলো সবসময় wood based কাগজ দিয়ে তৈরি করা হয় এটা ব্যবহার করবেন লেখার সাথে সাথে টাকার রং এর পরিবর্তন ঘটবে এবং একধরনের অমোচনীয় কালো রং এর দাগ পড়বে । এই ডিভাইস দ্বারা বাংলাদেশের সব টাকা পরীক্ষা করে দেখেতে পারবেন । ডিভাইসটির দাম খুবই কম । দাম এবং কেনার জন্য আপনি এই (click here) সাইটে যেতে পারেন ।
 

আলোর সাহায্যে জাল টাকা নির্ধারক ডিভাইস –
আসল টাকা সবসময় অসমতল এবং আমাদের টাকার উপিরে ডান পাশে রং পরিবর্তনশীল সংখ্যা ব্যবহার করা হয় । এই দুইটা বিষয়ের উপর ফোকাস করে মূলত এই ডিভাইস কাজ করে । কারণ জাল টাকা কখনোই অসমতল না, আপনি যখন UV Counterfeit ডিভাইসটি দিয়ে টাকার উপর আলো ফেলবেন এটা যদি অসমতল হয় তাহলে নীল আলোর মাধ্যমে আপনায় জানিয়ে দিবে টাকাটা আসল । আর যদি টাকা অসমতল না হয় সেক্ষেত্রে আপনার জন্য লাল বাতি অপেক্ষা করবে । একই ভাবে আপনি রং পরিবর্তনের বিষয়টা ধরতে পারবেন । এই ডিভাইসটিও অনেক সস্তা । দাম এবং কেনার জন্য আপনি এই (click here) সাইটে যেতে পারেন 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ