শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০১১

জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখের ছুবহে ছাদিক হতে ১২ তারিখের সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যদি কোন পুরুষ ও মহিলা মালিকে নিছাব হয় তখন তার জন্যই কুরবানী করা ওয়াজিব।


মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, আপনার যিনি রব উনার সন্তুষ্টির জন্য নামায আদায় করুন এবং কুরবানী করুন।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন- সামর্থ্য থাকার পরও যে ব্যক্তি কুরবানী করলো না সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়।
শরীয়তের ফায়ছালা হলো- জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখের ছুবহে ছাদিক হতে ১২ তারিখের সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যদি কোন পুরুষ ও মহিলা মালিকে নিছাব হয় তখন তার জন্যই কুরবানী করা ওয়াজিব।
কাজেই ওয়াজিব হওয়ার ও সামর্থ্য থাকার পরও যারা কুরবানী করবে না তারা কবীরা গুনাহে গুনাহগার হবে
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উভয়ের অসন্তুষ্টির পাত্র হবে।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘সূরা কাওছার’-এর মধ্যে সামর্থ্যবান বান্দা-বান্দীকে কুরবানী করার জন্য সরাসরি নির্দেশ প্রদান করেছেন। যেমন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘আপনার যিনি রব উনার (সন্তুষ্টি অর্জনের) জন্য নামায আদায় করুন এবং কুরবানী করুন।’ আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুরবানীর গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে ইরশাদ করেন, ‘সামর্থ্য থাকার পরও যে ব্যক্তি কুরবানী করে না সে যেন ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়।’ অর্থাৎ সামর্থ্য থাকার পরও যারা কুরবানী করে না তাদের উপর মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা কঠিন অসন্তুষ্ট হন। নাউযুবিল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, শরীয়তের ফায়সালা হলো, জিলহজ্জ মাসের ১০, ১১, ১২ অর্থাৎ ১০ তারিখের সুবহে সাদিক হতে ১২ তারিখের সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যদি কেউ মালিকে নিছাব হয় অর্থাৎ হাওয়ায়েজে আছলিয়াহ (নিত্য প্রয়োজনীয় ধন-সম্পদ) বাদ দিয়ে সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রূপা বা তার সমপরিমাণ মূল্যের মালিক হয়, তাহলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব। যদি কারো নিকট প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থাকে এবং তা যদি নিছাব পরিমাণ হয়, যেমন- কারো পাঁচটি ঘর আছে, একটির মধ্যে সে থাকে আর তিনটির ভাড়া দিয়ে সে সংসার চালায় আর একটি অতিরিক্ত, যার মূল্য নিছাব পরিমাণ। এ ক্ষেত্রে তার উপরে কুরবানী ওয়াজিব হবে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব তাদের উচিত কুরবানীর দিন কুরবানী করে মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নৈকট্য হাছিল করা।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, আদম সন্তান কুরবানীর দিন যেসব নেক কাজ করে থাকে তন্মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় আমল হলো কুরবানী করা। ক্বিয়ামত দিবসে কুরবানীর পশু তার শিঙ, পশম ও খুরসহ উপস্থিত হবে এবং কুরবানীদাতার নাজাতের ব্যাপারে সাক্ষ্য দান করবে। কুরবানীর পশুর প্রতিটি পশমের পরিবর্তে আল্লাহ পাক তিনি কুরবানীদাতার আমলনামায় অসংখ্য নেকী দান করেন। সুবহানাল্লাহ!

হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “ঈদুল আদ্বহার দিনে বান্দার কুরবানীর পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার পূর্বেই মহান আল্লাহ পাক তিনি তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেন।” সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “যে সমস্ত পশু দ্বারা কুরবানী করা হবে ক্বিয়ামতের দিন সেই পশুগুলো কুরবানীদাতাকে পিঠে করে বিদ্যুৎ বেগে পুলছিরাত পার করে বেহেশতে পৌঁছিয়ে দিবে।” সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কানা, খোঁড়া, রোগাক্রান্ত, কানকাটা, দন্তহীন ইত্যাদি যাবতীয় দোষযুক্ত পশু কুরবানী করা পরিহার করতঃ সম্পূর্ণ দোষমুক্ত সুস্থ ও সুন্দর পশু দ্বারা কুরবানী করা উচিত।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব তারা তো কুরবানী করে অফুরন্ত ফযীলত অর্জন করবেন। কিন্তু যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয় তারাও ইচ্ছা করলে একাধিকজন মিলে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক নামে গরু, খাসি, দুম্বা বা ভেড়া কুরবানী দিয়ে কুরবানীর ফযীলত লাভ করতে পারেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সকলের উচিত কেবলমাত্র মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি-রেযামন্দি হাছিলের উদ্দেশ্যে কুরবানী করা। এর মধ্যে যেন কোন রকম গাইরুল্লাহ বা রিয়া তথা লৌকিকতা স্থান না পায়। কেননা কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “মহান আল্লাহ তায়ালা উনার দরবারে কুরবানীকৃত পশুর গোশত কিংবা রক্ত কিছুই পৌঁছে না। বরং শুধুমাত্র তোমাদের তাক্বওয়া বা ইখলাছ উনার দরবারে পৌঁছে থাকে।” সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা পশুর কোন কিছুই গ্রহণ করেন না। উনারা দেখেন, কে উনাদের সন্তুষ্টির জন্য উনাদের নির্দেশ মুতাবিক কুরবানী করলো। আর কে গাইরুল্লাহর জন্য নিজের খেয়াল-খুশি মতো কুরবানী করলো।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, প্রত্যেক ছাহিবে নিছাব বা সামর্থ্যবান পুুরুষ বা মহিলার জন্যই মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি হাছিলের লক্ষ্যে কুরবানী করা ওয়াজিব। কাজেই সামর্থ্য থাকার পরও যারা কুরবানী করবে না তারা কবীরা গুনাহে গুনাহগার হওয়ার সাথে সাথে মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উভয়ের অসন্তুষ্টির পাত্র হবে। মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে উনার এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উভয়ের অসন্তুষ্টি থেকে হিফাযত করুন। (আমীন)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ