মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০১১

বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ঢোকার এতো আগ্রহ কেন এদের? ইস্লামিস্ট এবং তার অন্তর্গত দুই নাম্বারী সমুহ

জামাত/শিবির কখনোই সৎপথে কিছু করবে না, এদের গোড়াতেই গলদ। ইস্লামিস্ট বেশিরভাগ ভেঞ্চার শুরুই হয় দুই লাম্বারী দিয়ে। 

প্রায়ই শিবিরের প্রপাগান্ডা মেশিনারীর প্রস্তুতকৃত নানারকম ক্যু আমাদের চোখে পড়ে, যার ভেতর থেকে শেষ পর্যন্ত ভন্ডামি আর লুকাছাপাই বের হয়ে আসে। 

ফ্যালানি ইস্যুতে আমরা দেখেছি কিভাবে আড়ালে থেকে শিবিরের নিয়ন্ত্রনে মানববন্ধন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। 

ক'দিন আগে শিবিরের করা অপকর্ম ব্লগার-এক্টিভিস্টদের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টারও দেখা মিলেছে। 

বিশ্বের অন্য অনেকক্ষেত্রেও এই ইস্লামিস্ট পরিচালিত দুই নাম্বারীর দেখা মেলে। সর্বশেষ পাকিদের হাতে লর্ডসের টেস্ট ক্রিকেট জালিয়াতি দেখলাম আজকে। এ বছরের শুরুর দিকে লন্ডনের একটি বরা (ওয়ার্ড/সিটিকর্পোরেশনের) নির্বাচনেও জামাতের লন্ডন ভার্সন ইস্লামিক ফোরাম য়্যুরোপ নির্বাচন জালিয়াতি করেছে। আর খালেদার গত নির্বাচনে জামাতের সহায়তায় জালিয়াতির অভিযোগ তো সবারই জানা। 

তাই, শুধুমাত্র মেধার ভিত্তিতেই উক্ত মাদ্রাসা ছাগ্রগুলি প্রথম হয়েছে, ভাবাটা খুব একটা স্বাভাবিক নয়। জাফর ইকবালকে চড় মারা হয়েছে বলে যে উদ্ভট প্রপাগান্ডাটা চালানো হয়েছে, তার পেছনে সৌদি পেট্রোডলারের দুর ছায়া থাকতেও পারে। থাকাটা বিচিত্র নয়। 

ইস্লামিস্ট ভাবধারা সমর্থন করে, অথবা টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যাওয়া ভর্তি পরীক্ষার কর্মচারী আগেও আমরা দেখেছি। এমনটাও হতে পারে, পরকালের ছোয়াবের ভরসায়, অথবা নগদ নারায়নের আশ্বাসে পরীক্ষা জালিয়াতি করা হয়েছে। মাদ্রাসাবোর্ডের পরীক্ষায় অতি উচ্চ নাম্বার, আর গন নকলের কথা তো আমাদের কারো অজানা নয়।

ভর্তি পরীক্ষায় ভালো যে কেউ করতে পারে, তবে পরীক্ষায় ভালো করা ছাড়াও উচ্চ শিক্ষার সুযোগ তাদের জন্যই থাকা উচিত যারা দেশের কাজে আসবে, এবং দেশের প্রতি যাদের ভক্তি রয়েছে। এদের পড়াশোনার খরচ শেষ'তক্‌ দেশের করদাতাদের ঘাড়েই যায়। 

এখন আমাদের চিন্তা করা উচিত, মাদ্রাসা নামক সৌদি ধর্মগাধা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে যে ধোলাই মগজ বের হয়ে আসলো, তাকে আমরা আদৌ দেশের পয়সা খরচ করে পড়াবো কি না। কারন এই সৌদি ধর্মগাধা কোনোদিনও দেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না, প্রথমত ইস্লামিস্টরা কি এক খেলাফতে বিশ্বাস রাখে, আর খেলাফতপন্থী যদি না ও হয়, পাকি ভাবধারার শিক্ষক/পিতা/মাতার খপ্পরে পড়ে পাকিস্তান পেয়ারাবন্দ হওয়াও বিচিত্র নয়। 
এদের বেড়ে ওঠার প্রতিটা মূহুর্ত এদের মুখস্ত করানো হয়, এরা এক অনৈস্লামিক দেশে বাস করে, তাই এই দেশকে ধীরে হোক দ্রুত হৌক, সৌদি আদলের কিছু একটায় রূপান্তর করায় যেকোন পন্থাই আল্লার রাস্তায় কোরবাণী। আশা করি একে আরো ভেঙ্গে বলতে হবে না।

এখন আমাদেরই বুঝতে হবে, জনগনের পয়সায় চলা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ঢোকার জন্য এই মাদ্রাসাফেরৎ ছাগ্র সিন্ডিকেটের এতো হাপিত্যেশ কেনো? তাদের জন্য তো স্লামিক নামীয় নানা সৌদিবিদ্যালয় রয়েছেই। 

আমাদের বুঝতে হবে। আমাদের ভাবতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ